শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৭
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৬৫-১৩৬৭। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)..........আসওয়াদ (রঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমি উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি প্রথম তাকবীরে হাত তুলতেন। তারপর পুনরায় হাত তুলতেন না। রাবী ( যুবায়র ইব্ন আদী রঃ) বলেনঃ এবং আমি ইবরাহীম (রঃ) ও শা’বী (রঃ) কেও অনুরুপ করতে দেখেছি।

আবু জাফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ ইনি হলেন উমার (রাঃ), যিনি এই হাদীস মোতাবেক ‍শুধু প্রথম তাকবীরে হাত তুলতেন। আর এটা সহীহ্ হাদীস। যেহেতু এই হাদীসের ভিত্তি হলো হাসান ইব্ন আইয়াশ (রঃ)-এর উপর এবং তিনি নির্ভরযোগ্য এবং প্রামন্য হুজ্জত (রাবী)। যেমনটি ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রঃ) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন।
আপনাদের কি ধারনা যে, উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে এটি গোপন থাকবে যে, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রূকু ও সিজদায় হাত তুলতেন আর অন্যরা তা জ্ঞাত হয়েছেন। আর এটাও কি সম্ভব যে তাঁর সাথীদের তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আমলের পরিপহ্নী করতে দেখেছেন, তারপরও এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। আমাদের মতে এটা অসম্ভব ব্যাপার । উমার (রাঃ)-এর এই আমল এবং সাহাবীগণ কর্তৃক এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা এ বিষযের সহীহ দলীল যে, এটাই সঠিক পহ্না, কারো জন্য এর বিরোধীতা করা সমীচীন নয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে রিওয়ায়াত রয়েছে তা তো ইসমাঈল ইব্ন আইয়াশ (রঃ)-এর মাধ্যমে সলিহ ইব্ন কায়সাল থেকে বর্ণিত। তাঁরা (বিরোধীগণ) ইসমাঈল কর্তৃক শাম দেশীয় রাবীদের ব্যতীত অন্যদের থেকে রিওয়ায়াতকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি দেন না। তাহলে তাঁরা নিজেদের পতিপক্ষের বিরুদ্ধে এরুপ রিওয়ায়াত দ্বারা কিরুপ প্রমাণ পেশ করতে পারেন, যে ক্ষেত্রে এর দ্বারা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করা হলে তা গ্রহণ করেন না।
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-এর হাদীসের ব্যাপারে তাঁদের ধারনা যে, তা ভুল (সহীহ নয়)। কেননা ওটাকে বিশেষ করে আব্দুল ওগাব সাকাফী (রঃ) ব্যতীত অন্য কেউ ’মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেননি। আর (হাদীসের) হাফিজগণ এটাকে আনাস (রাঃ)-এর উপর ’মাউকুফ’ হিসাবে বর্ণনা করেন।
আব্দুল হামিদ ইব্ন জা’ফর (রঃ)-এর হাদীসের ব্যাপারে বলা যায় যে, তাঁরা আব্দুল হামিদ (রঃ) কে দূর্বলরুপে সাব্যস্ত করেন এবং তাঁরা তাঁকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি দেন না। সুতরাং এরুপ বিষয়ে তাঁরা তাঁর দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করবেন? তাছাড়া মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন আতা (রঃ) এই হাদীস না আব্দুল হামিদ থেকে শুনেছেন না তাদের থেকে যাদেরকে ওই হাদীসে তাঁর সঙ্গেে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু তাদের উভয়ের মাঝে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিদ্যমান রয়েছে। আত্তাফ ইব্ন খালিদ তার সূত্রে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। আমি তা ‘সালাতে বসা’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে ইনশা আল্লহ্ বর্ণনা করবো। আব্দুল হামিদ থেকে আবু আসিম এর সেই রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, সকলে বলেছেনঃ তুমি সত্য বলেছো। আবু আসিম (রঃ) ব্যতীত একথা কেউ বলেননি।

আলী ইব্ন আবী শায়বা (রঃ) ও ইব্ন আবী ইমরান (রঃ)....... হুশাইম (রঃ) ও আব্দুল হামিদ (রঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁরা এটা বলেননি যে, তাঁরা (সাহাবা) সকলে বলেছেন, ’তুমি সত্য বলেছো্’। আব্দুল হামিদ ব্যতীত অন্যরাও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। আমরা ‘সালাতে বসা’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে তা উল্লেখ করেছি।

সঠিক বিশ্লেষণঃ

এই সমস্ত রিওয়ায়াতের অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের পরে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, রূকুতে হাত তোলা যাবে না। হাদীস সমূহে বর্ণনার ভিত্তিতে এই অনুচ্ছেদের এটাই হচ্ছে সঠিক বিশ্লেষণ ।

ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ এর দ্বারা কোন আলিমের দুর্বলতা বর্ণনা করা আমার উদ্দেশ্য নয় এবং না এটা আমার নীতে। বরং আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই যুলুমকে স্পষ্ট করা, যা আমাদের বিরোধীগণ আমাদের উপর করেছেন।

যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণঃ তাঁরা (আলিমগণ) সকলে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, প্রথম তাকবীরে হাত তোলার বিধান রয়েছে। কিন্ত দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীর বলার সময় হাত তোলার বিধান নেই। বস্তুত তাঁরা উঠে দাঁড়াবার তাকবীরে এবং রূকুর তাকবীরের মতবিরোধ করেছেন।

একদল আলিম বলেছেনঃ এর বিধান প্রথম তাকবীরের বিধানের অনুরুপ এবং দু’য়ের মাঝে অনুরুপ ভাবে হাত হাত তুলবে যেমনিভাবে প্রথম তাকবীরে তোলা হয় । অপরাপর আলিমগণ বলেন, এই দু’য়ের বিধান হলো দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীরের বিধানের অনুরুপ। ওই দু’য়ের মাঝে হাত তোলা নেই, যেমনিভাবে সিজ্দার মাঝে নেই।
আমরা লক্ষ্য করছি যে, প্রথম তাকবীর সালাতের রুকন সমূহের অন্যতম। এটা ব্যতীত সালাত হয় না। পক্ষান্তরে দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীর এরুপ নয়। কারণ, কোন ব্যক্তি যদি তা পরিত্যাগ করে তাহলে তার সালাত বিনষ্ট হয় না এবং আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, রূকু এবং রূকু থেকে উঠার তাকবীর সালাতের রূকুন সমূহের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ, কোন পরিত্যাগকার যদি তা পরিত্যাগ করে তাহলে তার সালাত বিনষ্ট হয় না। বরং তা হলো সালাতের সুন্নত সমূহের অন্তর্ভূক্ত । যখন এটাও সিজ্দার মধ্যবর্তী তাকবীরের ন্যায় সালাতের সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত, তাহলে ওই দুইটা তার ন্যায় হবে যে, ঐ দুইটাতেও হাত তোলা নেই, যেমনিভাবে তাতে হাত তোলা নেই। এটাই হলো এই অনুচ্ছেদের যুক্তি ভিত্তিক বিশ্লেষণ। আর এটা-ই হলো আবু হানীফা (রঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ)-এর অভিমত।

ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).....আবু বাকর ইব্ন আইয়াশ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি কোন ফকীহ (আলিম)-কে কখনও প্রথম তাকবীর ব্যতীত হাত তুলতে দেখিনি।
1365 - كَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ , عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ , عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ , ثُمَّ لَا يَعُودُ , قَالَ: وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ , وَالشَّعْبِيَّ يَفْعَلَانِ ذَلِكَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَكُنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ أَيْضًا إِلَّا فِي التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ لِأَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَيَّاشٍ , وَإِنْ كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ إِنَّمَا دَارَ عَلَيْهِ , فَإِنَّهُ ثِقَةٌ حُجَّةٌ , قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ. أَفَتَرَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَفِيَ عَلَيْهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , وَعَلِمَ بِذَلِكَ مَنْ دُونَهُ , وَمَنْ هُوَ مَعَهُ يَرَاهُ يَفْعَلُ غَيْرَ مَا رَأَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ , ثُمَّ لَا يُنْكِرُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , هَذَا عِنْدَنَا مُحَالٌ. وَفَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا وَتَرَكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ عَلَى ذَلِكَ , دَلِيلٌ صَحِيحٌ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ الْحَقُّ الَّذِي لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ خِلَافُهُ. وَأَمَّا مَا رَوَوْهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا هُوَ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ. وَهُمْ لَا يَجْعَلُونَ إِسْمَاعِيلَ فِيمَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِ الشَّامِيِّينَ , حَجَّةً , فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ عَلَى خَصْمِهِمْ , بِمَا لَوِ احْتَجَّ بِمِثْلِهِ عَلَيْهِمْ , لَمْ يُسَوِّغُوهُ إِيَّاهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ خَطَأٌ , وَأَنَّهُ لَمْ يَرْفَعْهُ أَحَدٌ إِلَّا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ خَاصَّةً , وَالْحُفَّاظُ يُوقِفُونَهُ , عَلَى أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ , فَإِنَّهُمْ يُضَعِّفُونَ عَبْدَ الْحَمِيدِ , فَلَا يُقِيمُونَ بِهِ حُجَّةً , فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ فِي مِثْلِ هَذَا. وَمَعَ ذَلِكَ فَإِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ لَمْ يَسْمَعْ ذَلِكَ الْحَدِيثَ مِنْ أَبِي حُمَيْدٍ , وَلَا مِمَّنْ ذُكِرَ مَعَهُ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ بَيْنَهُمَا رَجُلٌ مَجْهُولٌ , قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ عَنْهُ , عَنْ رَجُلٍ , وَأَنَا ذَاكِرٌ ذَلِكَ فِي بَابِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلَاةِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَحَدِيثُ أَبِي عَاصِمٍ , عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ هَذَا , فَفِيهِ فَقَالُوا جَمِيعًا: صَدَقْتَ فَلَيْسَ يَقُولُ ذَلِكَ أَحَدٌ غَيْرُ أَبِي عَاصِمٍ ,

1366 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ ح

1367 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ، فَذَكَرَاهُ بِإِسْنَادِهِ , وَلَمْ يَقُولَا فَقَالُوا جَمِيعًا صَدَقْتَ وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلَاةِ. فَمَا نَرَى كَشْفَ هَذِهِ الْآثَارِ , يُوجِبُ لِمَا وَقَفَ عَلَى حَقَائِقِهَا وَكَشَفَ مَخَارِجَهَا إِلَّا تَرْكَ الرَّفْعِ فِي الرُّكُوعِ فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَمَا أَرَدْتُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ تَضْعِيفَ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ , وَمَا هَكَذَا مَذْهَبِي , وَلَكِنِّي أَرَدْتُ بَيَانَ ظُلْمِ الْخَصْمِ لَنَا. وَأَمَّا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى , مَعَهَا رَفْعٌ , وَالتَّكْبِيرَةُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ لَا رَفْعَ مَعَهَا. وَاخْتَلَفُوا فِي تَكْبِيرَةِ النُّهُوضِ , وَتَكْبِيرَةِ الرُّكُوعِ فَقَالَ قَوْمٌ: حُكْمُهَا حُكْمُ تَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , وَفِيهِمَا الرَّفْعُ كَمَا فِيهَا الرَّفْعُ. وَقَالَ آخَرُونَ حُكْمُهَا حُكْمُ التَّكْبِيرَةِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ , وَلَا رَفْعَ فِيهِمَا , كَمَا لَا رَفْعَ فِيهَا. وَقَدْ رَأَيْنَا تَكْبِيرَةَ الِافْتِتَاحِ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ لَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا , وَرَأَيْنَا التَّكْبِيرَةَ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ , لَيْسَتْ كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَوْ تَرَكَهَا تَارِكٌ , لَمْ تَفْسُدْ عَلَيْهِ صَلَاتُهُ. وَرَأَيْنَا تَكْبِيرَةَ الرُّكُوعِ , وَتَكْبِيرَةَ النُّهُوضِ , لَيْسَتَا مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ لِأَنَّهُ لَوْ تَرَكَهَا تَارِكٌ لَمْ تَفْسُدْ عَلَيْهِ صَلَاتُهُ , وَهُمَا مِنْ سُنَنِهَا. فَلَمَّا كَانَتْ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ , كَمَا أَنَّ الْكَبِيرَةَ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ , كَانَتَا كَهِيَ , فِي أَنْ لَا رَفْعَ فِيهِمَا , كَمَا لَا رَفْعَ فِيهَا. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَلَقَدْ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ فَقِيهًا قَطُّ يَفْعَلُهُ , يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي غَيْرِ التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১৩৬৫ | মুসলিম বাংলা