শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫৭
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৪-১৩৫৭। আবু বাকরা (রঃ).......আসিম ইব্ন কুলায়ব (রঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রাঃ) সালাতের প্রথম তাকবীরের সময় হাত তুলতেন। তারপর আর পরবর্তীতে হাত তুলতেন না।
ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).....আসিম (রঃ) তাঁর পিতা থেকে, যিনি আলী (রাঃ)-এর সাথীদের অন্যতম ছিলেন, রিওয়ায়াত করেন, তিনি আলী (রাঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেন।
আসিম ইব্ন কুলায়ব (রঃ)-এর এই হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইব্ন আবিযযিনাদ (রঃ)-এর হাদীস দুই অবস্থা থেকে কোন একটির উপর প্রয়োগ হবে। হয় তা স্বয়ং দুর্বল হবে অথবা তাতে হাত তোলার উল্লেখ মোটেও নেই। যেমনটি অন্যরা রিওয়ায়াত করেছেনঃ
ইব্ন খুযায়মা (রঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)....... আব্দুল্লাহ ইব্ন রাজা (রঃ), আব্দুল্লাহ ইব্ন সালিহ্ (রঃ) ও ওয়াহবী (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা সকলে বলেছেন, আমাদেরকে আব্দুল আযীয ইব্ন আবী সালামা (রঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন ফযল (রঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে খবর দিয়েছেন যে, তাঁরা সকলে সনদ (সূত্র) এবং মতন (হাদীসের মূল পাঠ)-এর দিক দিয়ে ইব্ন আবিয যিনাদ (রঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁরা সকলে কোথাও হাত তোলার উল্লেখ করেন নি। যদি এই হাদীস সংরক্ষিত এবং ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস ভুল হয়, তাহলে এতে আপনাদের জন্য ভুল হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করা নাকচ হয়ে যাওয়া আবশ্যক হবে। আর ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ) যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তা যদি সহীহ হয় যেহেতু তাতে অন্যদের রিওয়ায়াত অপেক্ষা অতিরিক্ত রয়েছে, তবে তা এজন্য হতে পারে না যে, আলী (রাঃ) নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে হাত তুলতে যদি দেখে থাকেন তাহলে তারপর পরবর্তীতে হাত তোলা পরিত্যাগ করেন কিভাবে! হ্যাঁ এটা তখন সম্ভব হতে পারে যে, তাঁর নিকট হাত তোলার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আলী (রাঃ)-এর হাদীস 'সহীহ' হওয়ার অবস্থায় তাতে সেই সমস্ত লোকের প্রামণ অধিক (গুরুত্বপূর্ণ) হবে, যারা হাত তোলাকে বিধেয় মনে করেন না।
আর ইব্ন উমার (রাঃ)-এর পূর্ব বর্ণিত হাদীসে (যে হাত উঠানোর উল্লেখ রয়েছে) যা তাঁর সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমরা বর্ণনা করেছি। কিন্তু তারপর নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অব্যবহিত পরে তাঁর থেকে এর পরিপন্থী আমল বর্ণিত আছেঃ
ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).....আসিম (রঃ) তাঁর পিতা থেকে, যিনি আলী (রাঃ)-এর সাথীদের অন্যতম ছিলেন, রিওয়ায়াত করেন, তিনি আলী (রাঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেন।
আসিম ইব্ন কুলায়ব (রঃ)-এর এই হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইব্ন আবিযযিনাদ (রঃ)-এর হাদীস দুই অবস্থা থেকে কোন একটির উপর প্রয়োগ হবে। হয় তা স্বয়ং দুর্বল হবে অথবা তাতে হাত তোলার উল্লেখ মোটেও নেই। যেমনটি অন্যরা রিওয়ায়াত করেছেনঃ
ইব্ন খুযায়মা (রঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)....... আব্দুল্লাহ ইব্ন রাজা (রঃ), আব্দুল্লাহ ইব্ন সালিহ্ (রঃ) ও ওয়াহবী (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা সকলে বলেছেন, আমাদেরকে আব্দুল আযীয ইব্ন আবী সালামা (রঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন ফযল (রঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে খবর দিয়েছেন যে, তাঁরা সকলে সনদ (সূত্র) এবং মতন (হাদীসের মূল পাঠ)-এর দিক দিয়ে ইব্ন আবিয যিনাদ (রঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁরা সকলে কোথাও হাত তোলার উল্লেখ করেন নি। যদি এই হাদীস সংরক্ষিত এবং ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস ভুল হয়, তাহলে এতে আপনাদের জন্য ভুল হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করা নাকচ হয়ে যাওয়া আবশ্যক হবে। আর ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ) যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তা যদি সহীহ হয় যেহেতু তাতে অন্যদের রিওয়ায়াত অপেক্ষা অতিরিক্ত রয়েছে, তবে তা এজন্য হতে পারে না যে, আলী (রাঃ) নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে হাত তুলতে যদি দেখে থাকেন তাহলে তারপর পরবর্তীতে হাত তোলা পরিত্যাগ করেন কিভাবে! হ্যাঁ এটা তখন সম্ভব হতে পারে যে, তাঁর নিকট হাত তোলার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আলী (রাঃ)-এর হাদীস 'সহীহ' হওয়ার অবস্থায় তাতে সেই সমস্ত লোকের প্রামণ অধিক (গুরুত্বপূর্ণ) হবে, যারা হাত তোলাকে বিধেয় মনে করেন না।
আর ইব্ন উমার (রাঃ)-এর পূর্ব বর্ণিত হাদীসে (যে হাত উঠানোর উল্লেখ রয়েছে) যা তাঁর সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমরা বর্ণনা করেছি। কিন্তু তারপর নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অব্যবহিত পরে তাঁর থেকে এর পরিপন্থী আমল বর্ণিত আছেঃ
1354 - فَإِنَّ أَبَا بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ , قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ مِنَ الصَّلَاةِ , ثُمَّ لَا يَرْفَعُ بَعْدُ»
1355 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ؟ عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ فَحَدِيثُ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ هَذَا , قَدْ دَلَّ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَلَى أَحَدِ وَجْهَيْنِ. إِمَّا أَنْ يَكُونَ فِي نَفْسِهِ سَقِيمًا أَوْ لَا يَكُونُ فِيهِ ذِكْرُ الرَّفْعِ أَصْلًا , كَمَا قَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ ,
1356 - فَإِنَّ ابْنَ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ ح
1357 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ وَالْوَهْبِيُّ , قَالُوا: أَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ. فَذَكَرُوا مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ فِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ , وَلَمْ يَذْكُرُوا الرَّفْعَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ الْمَحْفُوظُ , وَحَدِيثُ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ خَطَأٌ , فَقَدِ ارْتَفَعَ بِذَلِكَ أَنْ يَجِبَ لَكُمْ بِحَدِيثٍ خَطَأٍ حُجَّةٌ. وَإِنْ كَانَ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ صَحِيحًا لِأَنَّهُ زَادَ عَلَى مَا رَوَى غَيْرُهُ , فَإِنَّ عَلِيًّا لَمْ يَكُنْ لِيَرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ , ثُمَّ يَتْرُكُ هُوَ الرَّفْعَ بَعْدَهُ إِلَّا وَقَدْ ثَبَتَ عِنْدَهُ نَسْخُ الرَّفْعِ. فَحَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , إِذَا صَحَّ , فَفِيهِ أَكْثَرُ الْحُجَّةِ لِقَوْلِ , مَنْ لَا يَرَى الرَّفْعَ. وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى عَنْهُ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رُوِيَ عَنْهُ , مَنْ فِعْلِهِ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ
1355 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ؟ عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ فَحَدِيثُ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ هَذَا , قَدْ دَلَّ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَلَى أَحَدِ وَجْهَيْنِ. إِمَّا أَنْ يَكُونَ فِي نَفْسِهِ سَقِيمًا أَوْ لَا يَكُونُ فِيهِ ذِكْرُ الرَّفْعِ أَصْلًا , كَمَا قَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ ,
1356 - فَإِنَّ ابْنَ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ ح
1357 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ وَالْوَهْبِيُّ , قَالُوا: أَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ. فَذَكَرُوا مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ فِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ , وَلَمْ يَذْكُرُوا الرَّفْعَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ الْمَحْفُوظُ , وَحَدِيثُ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ خَطَأٌ , فَقَدِ ارْتَفَعَ بِذَلِكَ أَنْ يَجِبَ لَكُمْ بِحَدِيثٍ خَطَأٍ حُجَّةٌ. وَإِنْ كَانَ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ صَحِيحًا لِأَنَّهُ زَادَ عَلَى مَا رَوَى غَيْرُهُ , فَإِنَّ عَلِيًّا لَمْ يَكُنْ لِيَرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ , ثُمَّ يَتْرُكُ هُوَ الرَّفْعَ بَعْدَهُ إِلَّا وَقَدْ ثَبَتَ عِنْدَهُ نَسْخُ الرَّفْعِ. فَحَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , إِذَا صَحَّ , فَفِيهِ أَكْثَرُ الْحُجَّةِ لِقَوْلِ , مَنْ لَا يَرَى الرَّفْعَ. وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى عَنْهُ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رُوِيَ عَنْهُ , مَنْ فِعْلِهِ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ
