শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৫৩
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৩। আহমদ ইব্ন দাউদ (রঃ).......আমর ইবনে মুররা (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার 'হাযরা মাউত'-এর মসজিদে প্রবেশ করলাম, দেখলাম আলকামা ইব্ন ওয়াইল (রঃ) তাঁর পিতা থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রূকূর পূর্বে ও পরে হাত তুলতেন। আমি বিষয়টি ইবরাহীম (রঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি রাগান্বিত হয়ে পড়লেন এবং বললেনঃ তিনিই তাঁকে দেখেছেন, আর আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) ও অন্য সাহাবীগন তাঁকে দেখেননি??
ইমাম তাহাবী (রঃ)- এর মন্তব্যঃ
বস্তুত যা কিছু আমরা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছি এটা এই অভিমত পোষণকারীদের অভিমতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধী পক্ষের দলীল হলোঃ তাঁরা বলেন, আমাদের নিকট যে সমস্ত রিওয়ায়াত রয়েছে সেগুলো সব মুতাওয়াতির, সহীহ (বিশুদ্ধ) ও সুদৃঢ় সনদ বিশিষ্ট। সুতরাং আমাদের অভিমত আপনাদের অভিমত অপেক্ষা উত্তম বলে বিবেচিত।
এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, যা আমরা ইনশাআল্লাহ্ তা শীঘ্রই করবো।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছিঃ
ইমাম তাহাবী (রঃ)- এর মন্তব্যঃ
বস্তুত যা কিছু আমরা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছি এটা এই অভিমত পোষণকারীদের অভিমতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধী পক্ষের দলীল হলোঃ তাঁরা বলেন, আমাদের নিকট যে সমস্ত রিওয়ায়াত রয়েছে সেগুলো সব মুতাওয়াতির, সহীহ (বিশুদ্ধ) ও সুদৃঢ় সনদ বিশিষ্ট। সুতরাং আমাদের অভিমত আপনাদের অভিমত অপেক্ষা উত্তম বলে বিবেচিত।
এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, যা আমরা ইনশাআল্লাহ্ তা শীঘ্রই করবো।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছিঃ
1353 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ثنا حُصَيْنٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: دَخَلْتُ مَسْجِدَ حَضْرَمَوْتَ , فَإِذَا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ يُحَدِّثُ , عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ قَبْلَ الرُّكُوعِ , وَبَعْدَهُ» فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِإِبْرَاهِيمَ فَغَضِبَ وَقَالَ: رَآهُ هُوَ وَلَمْ يَرَهُ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَلَا أَصْحَابُهُ فَكَانَ هَذَا مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ هَذَا الْقَوْلِ , لِقَوْلِهِمْ مِمَّا رَوَيْنَاهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مُخَالِفِهِمْ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنْ قَالَ: مَا رَوَيْنَا نَحْنُ , بِتَوَاتُرِ الْآثَارِ , وَصِحَّةِ أَسَانِيدِهَا وَاسْتِقَامَتِهَا , فَقَوْلُنَا أَوْلَى مِنْ قَوْلِكُمْ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ مَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. أَمَّا مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ الَّذِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ
