শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৯৪
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৪। আলী ইবন শায়বা (রাযিঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ)-কে বললাম! সূরা আনফাল, যা সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্যতম এবং সূরা বারাআত যা শতাধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরাগুলোর অন্যতম, এ উভয়টিকে একত্রিত করার উপর আপনাদেরকে কিসে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আপনারা এ উভয়টিকে সাতটি দীর্ঘতম সূরার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর এই দুই সূরার মাঝখানে বিসমিল্লাহ .... লিপিবদ্ধ করেননি। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উপর যখন কোন আয়াত অবতীর্ণ হত তখন বলতেন, এটাকে সেই সূরার অন্তর্ভুক্ত কর যাতে অমুক অমুক বিষয় রয়েছে। (এ দু'টি সূরার) একটির বিষয়বস্তু অপরটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইন্তিকাল করে গেছেন এবং আমি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিনি। আমার আশংকা হল দ্বিতীয়টি প্রথমটির অংশ হতে পারে, তাই আমি উভয়টিকে একত্রিত করে ফেললাম এবং উভয়ের মাঝখানে বিসমিল্লাহ..... লিখলাম না। আর উভয় সূরাকে সাতটি দীর্ঘতম সূরার অন্তর্ভুক্ত করে দিলাম।
আবু জা'ফর তাহাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান (রাযিঃ), যিনি এই হাদীসে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাঁর মতে বিসমিল্লাহ .....সূরার অংশ ছিল না। তিনি তা সূরাগুলোকে পৃথক করার নিমিত্ত লিখতেন এবং এটা সূরাগুলো থেকে ভিন্ন বস্তু। এটা এ বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতের পরিপন্থী। মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) সকলেই সালাতে বিসমিল্লাহ.... জোরে পড়তেন না।
আবু জা'ফর তাহাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান (রাযিঃ), যিনি এই হাদীসে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাঁর মতে বিসমিল্লাহ .....সূরার অংশ ছিল না। তিনি তা সূরাগুলোকে পৃথক করার নিমিত্ত লিখতেন এবং এটা সূরাগুলো থেকে ভিন্ন বস্তু। এটা এ বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতের পরিপন্থী। মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) সকলেই সালাতে বিসমিল্লাহ.... জোরে পড়তেন না।
1194 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا هَوْذَةُ بْنُ خَلِيفَةَ , عَنْ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا حَمَلَكُمْ عَلَى أَنْ عَمَدْتُمْ إِلَى الْأَنْفَالِ , وَهِيَ مِنَ السَّبْعِ الطُّوَلِ وَإِلَى بَرَاءَةٌ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ؟ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا , وَجَعَلْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ , وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1]فَقَالَ عُثْمَانُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْآيَةُ فَيَقُولُ: اجْعَلُوهَا فِي السُّورَةِ الَّتِي يَذْكُرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا " , وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا. فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَمْ أَسْأَلْهُ عَنْ ذَلِكَ , فَخِفْتُ أَنْ تَكُونَ مِنْهَا فَقَرَنْتُ بَيْنَهُمَا , وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهَا سَطْرَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] وَجَعَلْتُهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يُخْبِرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] لَمْ تَكُنْ عِنْدَهُ مِنَ السُّورَةِ , وَأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ يَكْتُبُهَا فِي فَصْلِ السُّوَرِ , وَهِيَ غَيْرُهُنَّ: فَهَذَا خِلَافُ , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ جَاءَتِ الْآثَارُ مُتَوَاتِرَةً عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَجْهَرُونَ بِهَا فِي الصَّلَاةِ
