শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৩২
যুহরের সালাতের মুস্তাহাব ওয়াক্ত
১১৩২। ফাহাদ (রাহঃ)....... মায়মূন ইবন মিহরান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, দ্বিপ্রহরে (সূর্য ঢলে পড়ার পর) সালাত পড়তে কোন রূপ অসুবিধা নেই। তাঁরা (সাহাবীগণ) দ্বিপ্রহরের সময় সালাত আদায় করা এজন্য পছন্দ করতেন না যে, তাঁরা মক্কায় সালাত আদায় করতেন, যেখানে প্রচন্ড গরম হত এবং তাঁদের জন্য কোন ছায়াও ছিল না। তাই তিনি বলেছেন, তা ঠাণ্ডা করে আদায় করবে।
উত্তরে তাকে বলা হবে : এটা অবম্ভব ব্যাপার। কেননা এটা যদি এরূপ হত, যেমনটি তুমি উল্লেখ করেছ, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা সফরে বিলম্ব করতেন না। কারণ, সেখানে তো ছায়া এবং গৃহ ইত্যাদি থাকত না। যেমন আবু যার (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং তিনি তা তখন আদায় করতেন। যেহেতু ছায়া ও গৃহ ইত্যাদি ব্যতীত তা তার প্রথম ওয়াক্তে ছিল। সুতরাং তাঁর সেই সময় সালাত আদায় না করা প্রমাণ বহন করে যে, ঠাণ্ডা সময় সালাত পড়া সম্পর্কে তাঁর নির্দেশ এজন্য ছিল না যে, প্রচণ্ড গরমের সময় তাঁরা ছায়াতে থাকবেন অতঃপর বেরিয়ে গরম অবসানের অবস্থায় যুহরের সালাত আদায় করবে না। কারণ, যদি ব্যাপারটি অনুরূপ হত তাহলে তিনি ছায়া না হওয়া অবস্থায় তা প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতেন। সুতরাং আমাদের মতে (আল্লাহ্-ই উত্তমরূপে জ্ঞাত) এ বিষয়ে তাঁর এই নির্দেশ ওয়াজিব হিসাবে আরোপিত হয়েছে এবং এর সুন্নত তরীকা এটাই। ছায়া বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
উত্তরে তাকে বলা হবে : এটা অবম্ভব ব্যাপার। কেননা এটা যদি এরূপ হত, যেমনটি তুমি উল্লেখ করেছ, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা সফরে বিলম্ব করতেন না। কারণ, সেখানে তো ছায়া এবং গৃহ ইত্যাদি থাকত না। যেমন আবু যার (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং তিনি তা তখন আদায় করতেন। যেহেতু ছায়া ও গৃহ ইত্যাদি ব্যতীত তা তার প্রথম ওয়াক্তে ছিল। সুতরাং তাঁর সেই সময় সালাত আদায় না করা প্রমাণ বহন করে যে, ঠাণ্ডা সময় সালাত পড়া সম্পর্কে তাঁর নির্দেশ এজন্য ছিল না যে, প্রচণ্ড গরমের সময় তাঁরা ছায়াতে থাকবেন অতঃপর বেরিয়ে গরম অবসানের অবস্থায় যুহরের সালাত আদায় করবে না। কারণ, যদি ব্যাপারটি অনুরূপ হত তাহলে তিনি ছায়া না হওয়া অবস্থায় তা প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতেন। সুতরাং আমাদের মতে (আল্লাহ্-ই উত্তমরূপে জ্ঞাত) এ বিষয়ে তাঁর এই নির্দেশ ওয়াজিব হিসাবে আরোপিত হয়েছে এবং এর সুন্নত তরীকা এটাই। ছায়া বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
1132 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، قَالَ: " لَا بَأْسَ بِالصَّلَاةِ نِصْفَ النَّهَارِ , وَإِنَّمَا كَانُوا يَكْرَهُونَ الصَّلَاةَ نِصْفَ النَّهَارِ , لِأَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ بِمَكَّةَ , وَكَانَتْ شَدِيدَةَ الْحَرِّ , وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ ظِلَالٌ فَقَالَ: أَبْرِدُوا بِهَا " قِيلَ لَهُ: هَذَا كَلَامٌ يَسْتَحِيلُ لِأَنَّ هَذَا لَوْ كَانَ كَمَا ذَكَرْتُ , لَمَا أَخَّرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ فِي السَّفَرِ , حَيْثُ لَا كِنَّ وَلَا ظِلَّ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ , وَيُصَلِّيهَا حِينَئِذٍ لِأَنَّهُ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا , مِنْ غَيْرِ كُنَّ وَلَا ظِلَّ. فَتَرْكُهُ الصَّلَاةَ حِينَئِذٍ , دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ مِنْهُ مِنَ الْأَمْرِ بِالْإِبْرَادِ , لَيْسَ لَأَنْ يَكُونُوا فِي شِدَّةِ الْحَرِّ فِي الْكِنِّ , ثُمَّ يَخْرُجُونَ , فَيُصَلُّونَ الظُّهْرَ فِي حَالِ ذَهَابِ الْحَرِّ. لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَصَلَّاهَا حَيْثُ لَا كِنَّ أَوَّلَ وَقْتِهَا وَلَكِنْ مَا كَانَ مِنْهُ فِي هَذَا الْقَوْلِ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ إِيجَابٌ مِنْهُ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ سُنَّتِهَا , كَانَ الْكِنُّ مَوْجُودًا أَوْ مَعْدُومًا , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
