শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০২৭
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০২৭। আলী ইব্ন মা‘বাদ (রাহঃ)..... উম্মু হুমায়দ ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার আয়িশা (রাযিঃ)-এর কে আল্লাহ্ তাআলার বাণী ‘সালাতুল উস্তা’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বললেনঃ প্রথমে আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর যুগে এভাবে পড়তামঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ “তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাত ও আসরের সালাতের প্রতি এবং তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াবে”।
ফকীহ আলিমগণ বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা এই সমস্ত রিওয়ায়াত মুতাবিক যখন আল্লাহ তাআলাঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
বলেছেন এতে প্রমাণিত হলো যে, ‘সালাতুল উস্তা’ আসর ব্যতীত (অন্য সালাত)। কিন্তু আমাদের মতে এতে সে বিষয়ের স্বপহ্মে কোন দলীল নেই যা তাঁরা উল্লেখ করেছেন। কেননা হতে পারে আসরকে আসর’ও বলা হয়ে থেকে এবং উস্তা’ও বলা হয়ে থেকে । সুতরাং এখানে এর উভয় নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এটা তখন সম্ভব হবে যখন ঐ সমস্ত রিওয়ায়াতে প্রাপ্ত প্রসিদ্ধ কিরাআতের উপর (‘সালাতুল-আসর’-এর অতিরিক্ত কিরাআত প্রমাণিত সাব্যস্ত হবে। কিন্তু দলীলরূপে প্রতিষ্ঠিত তিলাওয়াতের দ্বারা এর পরিপন্থী সব কিছুই নাকচ হয়ে গিয়েছে। এটাও বর্ণিত আছে যে, এ বিষয়ে হাফসা (রাযিঃ)-এর মুসহাফে (কুরআন শরীফের কপি) আমাদের প্রথমোক্ত বর্ণিত রিওয়ায়াতের পরিপন্থী বর্ণনা রয়েছেঃ
ফকীহ আলিমগণ বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা এই সমস্ত রিওয়ায়াত মুতাবিক যখন আল্লাহ তাআলাঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
বলেছেন এতে প্রমাণিত হলো যে, ‘সালাতুল উস্তা’ আসর ব্যতীত (অন্য সালাত)। কিন্তু আমাদের মতে এতে সে বিষয়ের স্বপহ্মে কোন দলীল নেই যা তাঁরা উল্লেখ করেছেন। কেননা হতে পারে আসরকে আসর’ও বলা হয়ে থেকে এবং উস্তা’ও বলা হয়ে থেকে । সুতরাং এখানে এর উভয় নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এটা তখন সম্ভব হবে যখন ঐ সমস্ত রিওয়ায়াতে প্রাপ্ত প্রসিদ্ধ কিরাআতের উপর (‘সালাতুল-আসর’-এর অতিরিক্ত কিরাআত প্রমাণিত সাব্যস্ত হবে। কিন্তু দলীলরূপে প্রতিষ্ঠিত তিলাওয়াতের দ্বারা এর পরিপন্থী সব কিছুই নাকচ হয়ে গিয়েছে। এটাও বর্ণিত আছে যে, এ বিষয়ে হাফসা (রাযিঃ)-এর মুসহাফে (কুরআন শরীফের কপি) আমাদের প্রথমোক্ত বর্ণিত রিওয়ায়াতের পরিপন্থী বর্ণনা রয়েছেঃ
1027 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ حُمَيْدٍ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، سَأَلَتْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {الصَّلَاةِ الْوُسْطَى} [البقرة: 238] فَقَالَتْ: كُنَّا نَقْرَؤُهَا عَلَى الْحَرْفِ الْأَوَّلِ , عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ» قَالُوا فَلَمَّا قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي هَذِهِ الْآثَارِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ» ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُسْطَى غَيْرُ الْعَصْرِ. وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عِنْدَنَا عَلَى مَا ذَكَرُوا لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْعَصْرُ مُسَمَّاةً بِالْعَصْرِ , وَمُسَمَّاةً بِالْوُسْطَى فَذَكَرَهَا هَاهُنَا بِاسْمَيْهِمَا جَمِيعًا. هَذَا يَجُوزُ لَوْ ثَبَتَ مَا فِي تِلْكَ الْآثَارِ مِنَ التِّلَاوَةِ الزَّائِدَةِ عَلَى التِّلَاوَةِ الَّتِي قَامَتْ بِهَا الْحُجَّةُ , مَعَ أَنَّ التِّلَاوَةَ الَّتِي قَامَتْ بِهَا الْحُجَّةُ , دَافِعَةٌ لِكُلِّ مَا خَالَفَهَا. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ الَّذِي كَانَ فِي مُصْحَفِ حَفْصَةَ مِنْ ذَلِكَ , غَيْرُ مَا رَوَيْنَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ
