শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০২১
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০২১। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).....আবুল আশহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার জাবির ইব্ন যায়িদ (রাহঃ)-কে ‘কুনূত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, সমস্ত সালাতই কুনূত। তোমরা যা করছ আমি জানি না তা কি।
ব্যাখ্যা
ইনি হলেন যায়দ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথে সেই সমস্ত মনীষীগণ যাদের উল্লেখ আমরা করেছি, তাঁরা সকলে বলছেন : এই আয়াতে তাদেরকে যেই কুনূতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা হল সেই কথাবার্তা থেকে নিশ্চুপ থাকা যা তারা সালাতের মাঝে করতেন। সুতরাং এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত দ্বারা ফজরের সালাতের কুনূতের উপর দলীল হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেল। কতিপয় লোক এই কথাও অস্বীকার করেছেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ফজরের সালাতে কুনূত পড়তেন। আমরা তা ‘ফজরের সালাতে কুনূত' অনুচ্ছেদে এর সনদ সহকারে রিওয়ায়াত করেছি। যদি এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত ফজরের সালাতের কুনূত হত তাহলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন না। কেননা কুরআন শরীফ-এর নির্দেশ দিয়েছে।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামতের স্বপক্ষে অন্য দলীলও বর্ণিত আছেঃ
ব্যাখ্যা
ইনি হলেন যায়দ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথে সেই সমস্ত মনীষীগণ যাদের উল্লেখ আমরা করেছি, তাঁরা সকলে বলছেন : এই আয়াতে তাদেরকে যেই কুনূতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা হল সেই কথাবার্তা থেকে নিশ্চুপ থাকা যা তারা সালাতের মাঝে করতেন। সুতরাং এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত দ্বারা ফজরের সালাতের কুনূতের উপর দলীল হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেল। কতিপয় লোক এই কথাও অস্বীকার করেছেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ফজরের সালাতে কুনূত পড়তেন। আমরা তা ‘ফজরের সালাতে কুনূত' অনুচ্ছেদে এর সনদ সহকারে রিওয়ায়াত করেছি। যদি এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত ফজরের সালাতের কুনূত হত তাহলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন না। কেননা কুরআন শরীফ-এর নির্দেশ দিয়েছে।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামতের স্বপক্ষে অন্য দলীলও বর্ণিত আছেঃ
1021 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ زَيْدٍ عَنِ الْقُنُوتِ، فَقَالَ: «الصَّلَاةُ كُلُّهَا قُنُوتٌ، أَمَّا الَّذِي تَصْنَعُونَ فَلَا أَدْرِي مَا هُوَ» فَهَذَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ وَمَنْ ذَكَرْنَا مَعَهُ , يُخْبِرُونَ أَنَّ ذَلِكَ الْقُنُوتَ الَّذِي أُمِرَ بِهِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , هُوَ السُّكُوتُ عَنِ الْكَلَامِ الَّذِي كَانُوا يَتَكَلَّمُونَ بِهِ فِي الصَّلَاةِ. فَيَخْرُجُ بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْقُنُوتَ الْمَذْكُورَ فِيهَا , هُوَ الْقُنُوتُ الْمَفْعُولُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَقَدْ أَنْكَرَ قَوْمٌ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَانَ يَقْنُتُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَقَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي بَابِ الْقُنُوتِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ. فَلَوْ كَانَ هَذَا الْقُنُوتُ الْمَذْكُورُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , هُوَ الْقُنُوتُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ إِذًا لَمَا تَرَكَهُ , إِذَا كَانَ قَدْ أَمَرَ بِهِ الْكِتَابُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ , مَعْنًى آخَرُ
