শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১০০৭
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৭। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ)...... আবুয্ যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার জাবির (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) কি এ কথা বলেছেন : “আমার যদি কোন বাধা না হত, তাহলে আমি কোন এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতাম যে, সে লোকদের ইমামতি করবে। তারপর আমি তাদেরকে তাদের ঘরে জ্বালিয়ে দিতাম"! জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি তা জনৈক ব্যক্তির কারণে বলেছেন, যার সম্পর্কে তাঁর কাছে একটি সংবাদ পৌঁছেছিল, তখন বললেন, “যদি সে বিরত না হয় তাহলে আমি তাকে ঘরে জ্বালিয়ে দেব”।

জাবির (রাযিঃ)-এর ব্যাখ্যা

বস্তুত এই জাবির (রাযিঃ) বলছেন, নবী ((ﷺ))-এর পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য এরূপ বস্তু থেকে পিছনে থাকার জন্য ছিল, যার থেকে পিছনে থাকাটা বাঞ্ছনীয় নয়। সুতরাং এই রিওয়ায়াতে এবং পূর্ববর্তী রিওয়ায়াতসমূহের কোন কিছুতে 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটির স্বপক্ষে কোনরূপ প্রমাণ নেই।

যেহেতু আমাদের উল্লিখিত আলোচনার ভিত্তিতে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা ওই বিষয়ের (সালাতুল উসতার) উপর দলীল পাওয়াটা নাকচ হয়ে গেল, তাই আমরা সেই রিওয়ায়াতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি যা ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এতেও নবী ((ﷺ)) থেকে কোন কিছু বর্ণিত নেই। বরং তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। যেহেতু তিনি বলেছেন, “তা হল সেই সালাত যাতে রাসূলুল্লাহ্ ((ﷺ)) কে কা'বার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।" ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য সনদে এর পরিপন্থী বর্ণনাও আছেঃ
1007 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِرًا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا شَيْءٌ لَأَمَرْتُ رَجُلًا أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ , ثُمَّ حَرَّقْتُ بُيُوتًا , عَلَى مَا فِيهَا» قَالَ جَابِرٌ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ مِنْ أَجْلِ رَجُلٍ بَلَغَهُ عَنْهُ شَيْءٌ فَقَالَ: «لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ لَأُحَرِّقَنَّ بَيْتَهُ عَلَى مَا فِيهِ» فَهَذَا جَابِرٌ يُخْبِرُ أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِنَّمَا كَانَ لِلتَّخَلُّفِ عَمَّا لَا يَنْبَغِي التَّخَلُّفُ عَنْهُ. فَلَيْسَ فِي هَذَا وَلَا فِي شَيْءٍ مِمَّا تَقَدَّمَهُ الدَّلِيلُ عَلَى الصَّلَاةِ الْوُسْطَى مَا هِيَ. فَلَمَّا انْتَفَى بِمَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ فِيمَا رَوَيْنَا عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ دَلِيلٌ , رَجَعْنَا إِلَى مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ , فَإِذَا لَيْسَ فِيهِ حِكَايَةٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَإِنَّمَا هُوَ مِنْ قَوْلِهِ لِأَنَّهُ قَالَ: هِيَ الصَّلَاةُ الَّتِي وُجِّهَ فِيهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ خِلَافُ ذَلِكَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১০০৭ | মুসলিম বাংলা