শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯০৬
সালাতের ওয়াক্ত
৯০৬। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ)...... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা (রাহঃ) তাঁর পিতা বুরায়দা (রাযিঃ) সূত্রে নবী সাঃ থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার জনৈক ব্যক্তি তাঁকে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, তুমি আমাদের সাথে সালাত আদায় কর। পরে তিনি সূর্য যখন ঢলে পড়লো বিলালকে আযানের নির্দেশ দিলেন। এরপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন, তিনি আসরের সালাতের ইকামত বললেন আর সূর্য তখন ছিল উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ। পরে তাঁকে মাগরিবের নির্দেশ দিলেন যখন সূর্য অস্তমিত হল। তাঁকে ইশার নির্দেশ দিলেন, তিনি ইশার ইকামত বললেন, যখন 'শাফাক' অর্থাৎ দিগন্তের লালিমার পরবর্তী শুভ্রতা মিলিয়ে গেল। এরপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন তিনি ফজরের ইকামত বললেন, যখন সুবহে সাদিকের উন্মেষ ঘটে গেল। পরবর্তী দিন তিনি বিলালকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যুহরের আযান দিলেন যখন সূর্যের প্রখর তেজ প্রশমিত ও খুবই শীতল হল। আসরের সালাত তখন আদায় করেছেন যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে ছিল, তবে পূর্বদিনের অপেক্ষা বিলম্ব করেছেন। 'শাফাক' অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পূর্বে মাগরিবের সালাত আদায় করেছেন। রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর ইশার সালাত আদায় করেছেন। ফজরের সালাতকে ফর্সা করে আদায় করেন। তারপর বললেন সালাতের ওয়াক্ত জিজ্ঞাসাকারী ব্যক্তি কোথায়? ঐ ব্যক্তি বলল এই যে, আমি হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বলছেন তোমাদের সালাতের ওয়াক্ত এর উভয়ের মধ্যবর্তী সময়, যা তোমরা দেখেছ।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এই সমস্ত রিওয়ায়াতে ফজরের সালাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা:)থেকে যা কিছু বর্ণিত আছে, এতে তাঁরা (ইমামগণ) মতভেদ করেননি যে, প্রথম দিন তিনি তা সুবহে সাদিকের উন্মেষ ঘটার পর আদায় করেছেন আর তা হচ্ছে এর প্রথম ওয়াক্ত। দ্বিতীয় দিন তা আদায় করেছেন যখন সূর্য উদয় হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। আর এতে মুসলমানদের ঐকমত্য রয়েছে যে, ফজরের সালাতের প্রথম ওয়াক্ত হল যখন সুবহে সাদিকের উন্মেষ ঘটে, আর তার শেষ ওয়াক্ত হল যখন সূর্য উদয় হয়।
পক্ষান্তরে যুহরের সালাতের ব্যাপারে তাঁর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি তা আদায় করেছেন যখন সূর্য হেলে পড়েছিল এবং এতে মুসলমানদের ঐকমত্য রয়েছে যে, ওটা এর প্রথম ওয়াক্ত। কিন্তু এর শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাযিঃ), আবু সাঈদ (রাযিঃ), জাবির (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি তা দ্বিতীয় দিন আদায় করেছেন, যখন প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হল। এতে একথার সম্ভাবনা আছে যে, প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়ার পরও যুহরের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে। আবার একবারও সম্ভাবনা আছে যে, প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। আর এটা অভিধানিকভাবে বৈধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ “যখন তোমরা স্ত্রীকে তালাক দাও এবং তারা ইদ্দত পূর্তির 'নিকটবর্তী' হয় তখন তোমরা হয়। যথাবিধি তাদেরকে রেখে দিবে অথবা বিধিমত মুক্ত করে দিবে" (সূরা ২০ ২৩১)। বস্তুত এটা উদ্দেশ্য নয় যে, ইদ্দত পূর্তির পরে তাকে রেখে দেওয়া হবে বা মুক্ত করে দেওয়া হবে। যেহেতু ইদত পূর্তির পরে পৃথক হয়ে গেছে এবং তাকে আটকে রাখা তার উপর হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা বিষয়টি অন্যস্থানে এভাবে বর্ণনা করেছেন ইরশাদ করেন।
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ
“তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে, (তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয়) তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে বিবাহ করতে চাইলে তোমরা তাদেরকে বাধা দিওনা" (সূরা ২:২৩২)।
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর তাদের জন্য বিবাহ করা হালাল (বৈধ)। এতে সাব্যস্ত হল যে পূর্বোক্ত আয়াতে স্বামীদেরকে তাদের ব্যাপারে যা কিছু ইখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে তা তখন যখন ইদ্দত পূর্ন হওয়ার নিকটবর্তী হবে কিন্তু ইদ্দত পূর্ন হওয়ার পরে নয়।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এই সমস্ত রিওয়ায়াতে ফজরের সালাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা:)থেকে যা কিছু বর্ণিত আছে, এতে তাঁরা (ইমামগণ) মতভেদ করেননি যে, প্রথম দিন তিনি তা সুবহে সাদিকের উন্মেষ ঘটার পর আদায় করেছেন আর তা হচ্ছে এর প্রথম ওয়াক্ত। দ্বিতীয় দিন তা আদায় করেছেন যখন সূর্য উদয় হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। আর এতে মুসলমানদের ঐকমত্য রয়েছে যে, ফজরের সালাতের প্রথম ওয়াক্ত হল যখন সুবহে সাদিকের উন্মেষ ঘটে, আর তার শেষ ওয়াক্ত হল যখন সূর্য উদয় হয়।
পক্ষান্তরে যুহরের সালাতের ব্যাপারে তাঁর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি তা আদায় করেছেন যখন সূর্য হেলে পড়েছিল এবং এতে মুসলমানদের ঐকমত্য রয়েছে যে, ওটা এর প্রথম ওয়াক্ত। কিন্তু এর শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাযিঃ), আবু সাঈদ (রাযিঃ), জাবির (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি তা দ্বিতীয় দিন আদায় করেছেন, যখন প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হল। এতে একথার সম্ভাবনা আছে যে, প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়ার পরও যুহরের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে। আবার একবারও সম্ভাবনা আছে যে, প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। আর এটা অভিধানিকভাবে বৈধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ “যখন তোমরা স্ত্রীকে তালাক দাও এবং তারা ইদ্দত পূর্তির 'নিকটবর্তী' হয় তখন তোমরা হয়। যথাবিধি তাদেরকে রেখে দিবে অথবা বিধিমত মুক্ত করে দিবে" (সূরা ২০ ২৩১)। বস্তুত এটা উদ্দেশ্য নয় যে, ইদ্দত পূর্তির পরে তাকে রেখে দেওয়া হবে বা মুক্ত করে দেওয়া হবে। যেহেতু ইদত পূর্তির পরে পৃথক হয়ে গেছে এবং তাকে আটকে রাখা তার উপর হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা বিষয়টি অন্যস্থানে এভাবে বর্ণনা করেছেন ইরশাদ করেন।
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ
“তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে, (তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয়) তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে বিবাহ করতে চাইলে তোমরা তাদেরকে বাধা দিওনা" (সূরা ২:২৩২)।
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর তাদের জন্য বিবাহ করা হালাল (বৈধ)। এতে সাব্যস্ত হল যে পূর্বোক্ত আয়াতে স্বামীদেরকে তাদের ব্যাপারে যা কিছু ইখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে তা তখন যখন ইদ্দত পূর্ন হওয়ার নিকটবর্তী হবে কিন্তু ইদ্দত পূর্ন হওয়ার পরে নয়।
906 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُوسَى، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ: «صَلِّ مَعَنَا» قَالَ: فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ نَقِيَّةٌ , ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ , ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ تَطْلُعُ الْفَجْرُ. فَلَمَّا كَانَ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي أَمَرَهُ فَأَذَّنَ لِلظُّهْرِ فَأَبْرَدَ بِهَا فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا , وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ , أَخَّرَهَا فَوْقَ الَّذِي كَانَ , وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ , وَصَلَّى الْعِشَاءَ بَعْدَمَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ , وَصَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ قَالَ: أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ , فَقَالَ: «وَقْتُ صَلَاتِكُمْ فِيمَا بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ» فَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ , فَلَمْ يَخْتَلِفُوا عَنْهُ فِيهِ أَنَّهُ صَلَّاهَا فِي الْيَوْمِ الْأَوَّلِ , حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ , وَهُوَ أَوَّلُ وَقْتِهَا , وَصَلَّاهَا فِي الْيَوْمِ التَّالِي حِينَ كَادَتِ الشَّمْسُ أَنْ تَطْلُعَ وَهَذَا اتِّفَاقُ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ , حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ. أَمَّا مَا ذُكِرَ عَنْهُ فِي صَلَاةِ الظُّهْرِ , فَإِنَّهُ ذُكِرَ عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّاهَا حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ عَلَى ذَلِكَ اتِّفَاقُ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ ذَلِكَ أَوَّلُ وَقْتِهَا. وَأَمَّا آخِرُ وَقْتِهَا فَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَأَبَا سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَجَابِرًا , وَأَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ رَوَوْا عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّاهَا فِي الْيَوْمِ التَّالِي , حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٌ مِثْلَهُ فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ هُوَ وَقْتُ الظُّهْرِ بَعْدُ. وَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى قُرْبِ أَنْ يَصِيرَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ , وَهَذَا جَائِزٌ فِي اللُّغَةِ , قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: { «وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ» } [البقرة: 231] فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ الْإِمْسَاكُ وَالتَّسْرِيحُ مَقْصُودًا بِهِ أَنْ يُفْعَلَ بَعْدَ بُلُوغِ الْأَجَلِ لِأَنَّهَا بَعْدَ بُلُوغِ الْأَجَلِ , قَدْ بَانَتْ وَحُرِّمَ عَلَيْهِ أَنْ يُمْسِكَهَا. وَقَدْ بَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ فَقَالَ: { «وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ» } [البقرة: 232] , فَأَخْبَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّ حَلَالًا لَهُنَّ بَعْدَ بُلُوغِ أَجَلِهِنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا جُعِلَ لِلْأَزْوَاجِ عَلَيْهِنَّ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى , إِنَّمَا هُوَ فِي قُرْبِ بُلُوغِ الْأَجَلِ , لَا بَعْدَ بُلُوغِ الْأَجَلِ. فَكَذَلِكَ مَا رُوِيَ عَمَّنْ ذَكَرْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ صَلَّى الظُّهْرَ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي حِينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ» يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ عَلَى قُرْبِ أَنْ يَصِيرَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ , فَيَكُونُ الظِّلُّ إِذَا صَارَ مِثْلَهُ , فَقَدْ خَرَجَ وَقْتُ الظُّهْرِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ , أَنَّ الَّذِينَ ذَكَرُوا هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ ذَكَرُوا عَنْهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَيْضًا , " أَنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ فِي الْيَوْمِ الْأَوَّلِ حِينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ , ثُمَّ قَالَ: «مَا بَيْنَ هَذَيْنِ وَقْتٌ» فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ مَا بَيْنَهُمَا وَقْتٌ , وَقَدْ جَمَعَهُمَا فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ , وَلَكِنْ مَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ مَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا فِي حَدِيثِ أَبِي مُوسَى , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ فِيمَا أَخْبَرَ عَنْ صَلَاتِهِ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي , «ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْعَصْرِ» فَأَخْبَرَ أَنَّهُ إِنَّمَا صَلَّاهَا فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ فِي قُرْبِ دُخُولِ وَقْتِ الْعَصْرِ , لَا فِي وَقْتِ الْعَصْرِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ إِذَا أَجْمَعُوا فِي هَذِهِ الرِّوَايَاتِ أَنَّ بَعْدَ مَا يَصِيرُ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ وَقْتًا لِلْعَصْرِ أَنَّهُ مُحَالٌ أَنْ يَكُونَ وَقْتًا لِلظُّهْرِ , لِإِخْبَارِهِ أَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي لِكُلِّ صَلَاةٍ , فِيمَا بَيْنَ صَلَاتَيْهِ فِي الْيَوْمَيْنِ. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
