শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৬৮
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৮। রাবী ইব্ন সুলায়মান আল্ জীযী (রাহঃ)..... আবু যির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বিলাল (রাযিঃ) বলেছেনঃ তুমি সেই সময় আযান দিয়ে থাক যখন প্রভাতের আলো (দিগন্তে) প্রলম্বিত হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটা কিন্তু প্রভাত নয়; বরং প্রভাত এভাবে (দিগন্তে) চওড়াভাবে প্রসারিত হয়।
বিশ্লেষণ
তিনি তাঁকে এই হাদীসে বলেছেন যে, তিনি সেই বস্তু উদয় হওয়ার উপর আযান দেন, যাকে তিনি ফজর মনে করেন; কিন্তু তা বাস্তবে ফজর নয়। আমরা আয়িশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পনাহার কর যতহ্মণ না ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়। তিনি (আয়িশা রা) বলেন, উভয়ের মাঝে শুধু এতটুকু ব্যবধান থাকত যে, ইনি (আযানের জন্য) আরোহণ করতেন এবং উনি (আযানের স্থান থেকে) অবতরণ করতেন। যেহেতু তাঁদের উভয়ের আযানের মাঝে এতটুকু নৈকট্য ছিল, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাই সাব্যস্ত হল যে, তাঁরা উভয়ে অভিন্ন সময় অর্থাৎ ফজর উদয় হওয়ার ইচ্ছা করতেন। বিলাল (রাযিঃ) দৃষ্টিশক্তিতে অসুবিধার কারণে তাতে ভুল করতেন এবং ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) সঠিক সময়ে আযান দিতেন। যেহেতু
তিনি ততহ্মণ পর্যন্ত আযান দিতেন না যতহ্মণ না জমাতের লোকজন বলত ‘সকাল করে ফেলেছে’ ‘সকাল করে ফেলেছে’। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর (ইন্তিকালের) পরে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ
বিশ্লেষণ
তিনি তাঁকে এই হাদীসে বলেছেন যে, তিনি সেই বস্তু উদয় হওয়ার উপর আযান দেন, যাকে তিনি ফজর মনে করেন; কিন্তু তা বাস্তবে ফজর নয়। আমরা আয়িশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পনাহার কর যতহ্মণ না ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়। তিনি (আয়িশা রা) বলেন, উভয়ের মাঝে শুধু এতটুকু ব্যবধান থাকত যে, ইনি (আযানের জন্য) আরোহণ করতেন এবং উনি (আযানের স্থান থেকে) অবতরণ করতেন। যেহেতু তাঁদের উভয়ের আযানের মাঝে এতটুকু নৈকট্য ছিল, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাই সাব্যস্ত হল যে, তাঁরা উভয়ে অভিন্ন সময় অর্থাৎ ফজর উদয় হওয়ার ইচ্ছা করতেন। বিলাল (রাযিঃ) দৃষ্টিশক্তিতে অসুবিধার কারণে তাতে ভুল করতেন এবং ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) সঠিক সময়ে আযান দিতেন। যেহেতু
তিনি ততহ্মণ পর্যন্ত আযান দিতেন না যতহ্মণ না জমাতের লোকজন বলত ‘সকাল করে ফেলেছে’ ‘সকাল করে ফেলেছে’। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর (ইন্তিকালের) পরে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ
868 - وَقَدْ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ عَنِ ابْنِ عُثْمَانَ , أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ: «إِنَّكَ تُؤَذِّنُ إِذَا كَانَ الْفَجْرُ سَاطِعًا , وَلَيْسَ ذَلِكَ الصُّبْحَ , إِنَّمَا الصُّبْحُ هَكَذَا مُعْتَرِضًا» فَأَخْبَرَهُ فِي هَذَا الْأَثَرِ أَنَّهُ كَانَ يُؤَذِّنُ بِطُلُوعِ مَا يَرَى أَنَّهُ الْفَجْرُ , وَلَيْسَ هُوَ فِي الْحَقِيقَةِ بِفَجْرٍ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» قَالَتْ: وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلَّا مِقْدَارُ مَا يَصْعَدُ هَذَا وَيَنْزِلُ هَذَا. فَلَمَّا كَانَ بَيْنَ أَذَانِهِمَا مِنَ الْقُرْبِ مَا ذَكَرْنَا , ثَبَتَ أَنَّهُمَا كَانَا يَقْصِدَانِ وَقْتًا وَاحِدًا وَهُوَ طُلُوعُ الْفَجْرِ , فَيُخْطِئُهُ بِلَالٌ لَمَّا يُبْصِرُهُ , وَيُصِيبُهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَفْعَلُهُ حَتَّى يَقُولَ لَهُ الْجَمَاعَةُ «أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ» . ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
