শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮৬৫
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৫। ইউনুস (রাহঃ)..... হাফসা বিনত উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মুয়াযযিন যখন ফজরের আযান দিত তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে যেতেন এবং ফজরের দু’রাকাত (সুন্নত) পড়তেন তারপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেহেন এবং আহার করা হারাম ঘোষণা করতেন। আর ফজরের পূর্বে আযান হত না।

ইমাম তাহাবী বিশ্লেষণ
ইনি হচ্ছেন ইব্ন উমার (রাযিঃ) যিনি হাফসা (রাযিঃ) থেকে খবর দিচ্ছেন যে মুয়াযযিনগণ সালাতের জন্য ফজর উদয় হওয়ার পরে-ই আযান দিতেন। নবী (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে পুনরায় আযান দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি ঘোষণা করবেন, আল্লাহর বান্দা (বিলাল রা) ঘুমিয়ে পড়েছিল। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদের অভ্যাস হচ্ছে, তারা ফজরের পূর্বে আযানকে আযান হিসাবে জানতেন না। যদি তারা সেটাকে আযান হিসাবে জানতেন তাহলে এই ঘোষণার মুখাপেহ্মী হতেন না। আমাদের মতে ওই ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল (আল্লাহই উত্তমরূপে জ্ঞাত) যে, তিনি তাদেরকে সতর্ক করে দিবেন যে, ওই আযানের পর রাত (বাকী রয়েছে) যেন যে ব্যক্তি রাতে সালাত আদায় করতে চায়, সে তা আদায় করতে পারে এবং সেই সমস্ত বস্তু থেকে বিরত না থাকে, যা থেকে সিয়াম পালনকারী বিরত থাকে। আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, বিলাল (রাযিঃ) তাঁর ধারণা ফজর উদয় হয়ে গিয়েছে ভেবে সেই সময় আযান দিতেন যদিও দৃষ্টি শক্তির দুর্বলতার কারণে সঠিক সময় নির্ধারিত করতে সহ্মম হতেন না। এ সম্পর্কে দলীল হল নিম্নরূফঃ
865 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ عَنْ نَافِعِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ بِالْفَجْرِ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَحَرَّمَ الطَّعَامَ , وَكَانَ لَا يُؤَذِّنُ حَتَّى يُصْبِحَ» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُخْبِرُ عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُؤَذِّنُونَ لِلصَّلَاةِ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ وَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا بِلَالًا أَنْ يَرْجِعَ فَيُنَادِيَ أَلَا إِنَّ الْعَبْدَ قَدْ نَامَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ عَادَتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَعْرِفُونَ أَذَانًا قَبْلَ الْفَجْرِ. وَلَوْ كَانُوا يَعْرِفُونَ ذَلِكَ أَذَانًا , لَمَا احْتَاجُوا إِلَى هَذَا النِّدَاءِ , وَأَرَادَ بِهِ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ النِّدَاءِ إِنَّمَا هُوَ لِيُعْلِمَهُمْ أَنَّهُمْ فِي لَيْلٍ بعد حَتَّى يُصَلِّيَ مَنْ آثَرَ مِنْهُمْ أَنْ يُصَلِّيَ وَلَا يَمَسَّكَ عَمَّا يَمَسُّكَ عَنْهُ الصَّائِمُ. وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ بِلَالٌ كَانَ يُؤَذِّنُ فِي وَقْتٍ كَانَ يَرَى أَنَّ الْفَجْرَ قَدْ طَلَعَ فِيهِ وَلَا يَتَحَقَّقُ ذَلِكَ , لِضَعْفِ بَصَرِهِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
مَا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৮৬৫ | মুসলিম বাংলা