শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৮৬
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
জানাবাতগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ঘুম, পানাহার বা স্ত্রী মিলনের বিধান প্রসঙ্গে
৭৮৬। ফাহাদ (রাহঃ)..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জানাবাত অবস্থায় যখন আহার করতে ইচ্ছা পোষণ করতেন তখন উভয় হাত ধৌত করে নিতেন।

বিশ্লেষণ
বস্তুত যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এটা আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।অথচ, তাঁর (আয়িশা রা) থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনাও রয়েছে, যা আমরা তাঁরই সূত্রে রিওয়ায়াত করেছি যে, তিনি (ﷺ) সালাতের উযূর অনুরূপ উযূ করতেন।যেহেতু তাঁর থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত পরস্পর বিরোধী হয়ে গেল, তাই আমাদের মতে এ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে যে, (আল্লাহই উত্তমরূপে জ্ঞাত) তাঁর এই উযূ সেই সময়কার, যা আমরা অন্য অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি যে, যখন তিনি (বীর্য) দেখতে পেতেন, কথা বলতেন না। তাই কথা বলার জন্য উযূ করতেন, এরপর বিসমিল্লাহ পড়তেন, আহার করতেন। তারপর এ বিধান রহিত হয়ে যায়। তখন তিনি পরিচ্ছন্নতা অর্জনের জন্য হাত ধুতেন এবং উযূ করা ত্যাগ করেছেন। অনুরূপভাবে ঘুমাবার সময় তাঁর (ﷺ) উযূ করাটা সম্ভবত এ জন্য যেন যিকিরের অবস্থায় ঘুমাতে পারেন। তারপর তা রহিত হয়ে যায় এবং জুনুবী ব্যক্তির জন্য আল্লাহর যিকির করা বৈধ হয়ে যায়। সুতরাং সেই কারণ অবশিষ্ট থাকেনি, যার জন্য তিনি উযূ করেছেন।
আমরা অন্যস্থানে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পায়খানা থেকে বের হলেন, তখন তাঁকে বলা হল, আপনি কি উযূ করবেন না ? তিনি বললেন, আমি যখন সালাত আদায় করতে ইচ্ছা করি তখন উযূ করি। সুতরাং তিনি বলেছেন, তিনি (ফরয) উযূ একমাত্র সালাত আদায়ের জন্য করেন। উপরন্তু এতে জুনুবীর জন্য যখন সে ঘুম বা পানাহারের ইচ্ছা পোষণ করে উযূ আবশ্যকীয় নয় বলে প্রমাণিত হল। ওটি রহিত হওয়ার প্রমাণসমূহ থেকে একটি হচ্ছে ইব্ন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, তিনি উমার (রাযিঃ)-এর উত্তরে বলেছেন। তারপর তাঁর থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরবর্তীতে নিম্নরূপ বলেছেনঃ
كتاب الطهارة
786 - أَنَّ فَهْدًا حَدَّثَنَا قَالَ: أَخْبَرَنِي سُحَيْمٌ الْحَرَّانِيُّ , قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ الْأَيْلِيُّ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ وَهُوَ جُنُبٌ غَسَلَ كَفَّيْهِ» فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ مَا ذَكَرْنَا , وَرُوِيَ عَنْهَا خِلَافُ ذَلِكَ أَيْضًا مِمَّا رَوَيْنَا عَنْهَا أَنَّهُ كَانَ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ , فَلَمَّا تَضَادَّ ذَلِكَ , احْتَمَلَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ أَنْ يَكُونَ وُضُوءُهُ حِينَ كَانَ يَتَوَضَّأُ فِي الْوَقْتِ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْبَابِ أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَأَى الْمَاءَ لَمْ يَتَكَلَّمْ , فَكَانَ يَتَوَضَّأُ لِيَتَكَلَّمَ فَيُسَمِّي وَيَأْكُلُ ثُمَّ نَسَخَ ذَلِكَ , فَغَسَلَ كَفَّيْهِ لِلتَّنْظِيفِ , وَتَرَكَ الْوُضُوءَ. وَكَذَلِكَ وُضُوءُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ النَّوْمِ , يَحْتَمِلُ أَنَّهُ كَانَ يَفْعَلُهُ أَيْضًا لِيَنَامَ عَلَى ذِكْرٍ , ثُمَّ نَسَخَ ذَلِكَ , فَأُبِيحَ لِلْجُنُبِ ذِكْرُ اللهِ , فَارْتَفَعَ الْمَعْنَى الَّذِي لَهُ تَوَضَّأَ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ فَقِيلَ لَهُ: أَلَا تَتَوَضَّأُ؟ فَقَالَ: «أُرِيدُ الصَّلَاةَ فَأَتَوَضَّأُ» , فَأَخْبَرَ أَنَّهُ لَا يَتَوَضَّأُ إِلَّا لِلصَّلَاةِ. فَفِي ذَلِكَ أَيْضًا نَفْيُ الْوُضُوءِ عَنِ الْجُنُبِ إِذَا أَرَادَ النَّوْمَ أَوِ الْأَكْلَ أَوِ الشُّرْبَ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى نَسْخِ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَوَى مَا ذَكَرْنَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَوَابِهِ لِعُمَرَ. ثُمَّ جَاءَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৭৮৬ | মুসলিম বাংলা