শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৬
তায়াম্মুমের পদ্ধতি কিরূপ
৬৭৩-৬৭৬। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ)...... আম্মার এই হাদীসের ইসনাদে এরূপই বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুর রহমান ইব্‌ন আবযা (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। অথচ যির (রাহঃ) আব্দুর রহমান থেকে (প্রত্যক্ষভাবে নয় বরং) তাঁর পুত্র সাঈদ (রাহঃ)-এর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ)..... সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি যির (রাহঃ) থেকে শুনেছি, তিনি ইবন আবৃদির রহমান ইবন আবযা তাঁর পিতা থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সালাম (রাহঃ) বলেন, আমার স্মরণ নেই, তিনি বাহু পর্যন্ত পৌঁছার কথা উল্লেখ করেছেন কিনা।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)...... আব্দুর রহমান ইবন আবযা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি এটা অতিরিক্ত রিওয়ায়াত করেছেনঃ "এরপর তিনি উভয় হাত দ্বারা চেহারা ও কনুইয়ের অর্ধেক পর্যন্ত হাত মাসেহ করেন।"

আবু বাকরা (রাহঃ)......সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

বিশ্লেষণ

আম্মার (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে 'ইতিরাব' (গন্ডগোল) সৃষ্টি হয়েছে। তবে সমস্ত রাবীগণ একথা অস্বীকার করেছেন যে, তা কাঁধ এবং বগল পর্যন্ত পৌঁছবে। এতে সেই বিষয়ের অস্বীকৃতি সাব্যস্ত হল, যা তাঁর থেকে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে অথবা ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে এবং শেষোক্ত দুই অভিমতের একটি সাব্যস্ত হয়ে গেল। এ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে, আবু জুহায়ম (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি তাঁর চেহারা ও দুই হাতের কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করেছেন।

ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী বলেনঃ এটা তাদের স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে, যারা কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার বক্তব্য প্রদান করে। নাফি' (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি কনুই পর্যন্ত তায়াম্মুম করেছেন। আমি এ দু'টি হাদীসই 'ঋতুবতী মহিলার কুরআন পড়া' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
673 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هَكَذَا» وَضَرَبَ شُعْبَةُ بِكَفَّيْهِ إِلَى الْأَرْضِ وَأَدْنَاهُمَا مِنْ فِيهِ ; فَنَفَخَ فِيهِمَا ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: هَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ فِي إِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى , عَنْ أَبِيهِ , وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ ذَرٍّ , عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ

674 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ ذَرًّا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، نَحْوَهُ. قَالَ سَلَمَةُ: لَا أَدْرِي , بَلَغَ الذِّرَاعَيْنِ أَمْ لَا.

675 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، مِثْلَهُ وَزَادَ «فَمَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى أَنْصَافِ الذِّرَاعِ»

676 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَقَدِ اضْطَرَبَ عَلَيْنَا حَدِيثُ عَمَّارٍ هَذَا , غَيْرَ أَنَّهُمْ جَمِيعًا , قَدْ نَفَوْا أَنْ يَكُونَ قَدْ بَلَغَ الْمَنْكِبَيْنِ وَالْإِبْطَيْنِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ انْتِفَاءُ مَا رُوِيَ عَنْهُ فِي حَدِيثِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ , أَوِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَثَبَتَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ الْآخَرَيْنِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا أَبُو جُهَيْمٍ قَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يَمَّمَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ. فَذَلِكَ حُجَّةٌ لِمَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ التَّيَمُّمَ إِلَى الْكَفَّيْنِ. وَرَوَى نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَيَمَّمَ إِلَى مِرْفَقَيْهِ. وَقَدْ ذَكَرْتُ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا فِي بَابِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ لِلْحَائِضِ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬৭৩ | মুসলিম বাংলা