শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৬
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৪৫-৬৪৬। বাকর ইবন ইদরীস (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে বলেন, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে তারপর সে একবার গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করবে।
হুসাইন ইন নসর (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)........ শা'বী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম তাহাবীর বিশ্লেষণ
যখন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সেই বিষয়টি বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরে তিনি এই ফাতওয়া দিতেন, মুস্তাহাযা মহিলার বিধান যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে, আবার যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে, এবং আরো যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে হায়য়ের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল এবং উযূ করবে। বস্তুত এসব কিছু আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। সুতরাং তাঁর এই উত্তর দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, এই বিধান অপর দুই বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু আমাদের মতে তাঁর সম্পর্কে এ ধারণা করা বৈধ নয় যে, তিনি রহিতকারী (হাদীস) ছেড়ে দিয়েছেন এবং মানসূখ (রহিত) হাদীস অনুযায়ী ফাতওয়া দিতেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁর রিওয়ায়াত রহিত হয়ে যেত। যখন সাব্যস্ত হল যে, এটাই রহিতকারী যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাহলে এ অভিমতকে গ্রহণ করা আবশ্যক এবং এর পরিপন্থী বিধান জায়িয। রিওয়ায়াতসমূহের উল্লিখিত মর্মও হতে পারে আবার এতে অন্য সম্ভাবনাও আছে। সম্ভবত ফাতিমা বিধৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) সম্পর্কে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তা এর পরিপন্থী হবে না যা তাঁর থেকে সাহলা বিত সুহায়ল (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে। যেহেতু ফাতিমা বিনৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল, সাহলা (রাযিঃ)-এর দিনগুলো অজ্ঞাত ছিল। তবে তাঁর রক্ত কোন সময় বন্ধ হয়ে যেত এবং কোন সময় প্রত্যাবর্তন করত। এজন্য তাঁর এমন ধারণা থাকতে পারে যে, গোসলের পরেও হায়য থেকে পাক হননি। যার কারণে তিনি এক গোসল দ্বারা দুই সালাত আদায় করতেন।
যদি বিষয়টি এরূপ হয়ে থাকে তাহলে আমরা একই সঙ্গে উভয় হাদীসের মর্মই গ্রহণ করি। ফাতিমা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান-এর উপর প্রয়োগ করি, যেরূপ আমরা ব্যাখ্যা করেছি। (অর্থাৎ হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত হওয়া)। আর সাহলা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান তাই হবে যা আমরা বর্ণনা করেছি। আর উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি বিরোধের সাথে বর্ণিত হয়েছে। কতেক রাবী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁর হায়যের দিনগুলো উল্লেখ করেননি। হতে পারে তিনি তাঁকে এ বিধান এ জন্য প্রদান করেছেন যেন ওরই পানি তাঁর জন্য চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু তা (পানি) গর্ভাশয়ের রক্তকে খতম করে দেয় ফলে তা প্রবাহিত হয় না। কতেক রাবী এটাকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেন তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। আবার এটাও হতে পারে যে, এর দ্বারা আমাদের পূর্ব বর্ণিত সেই বিষয়টিই তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল। যেহেতু তাঁর রক্ত সর্বদা প্রবাহিত হতে থাকত এবং প্রত্যেক সালাতের সময় হায়য থেকে পাক হওয়ার সম্ভাবনা হত আর গোসল করার পর-ই সালাত আদায় করতে পারতেন। এরই ভিত্তিতে তাঁকে গোসলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়, তাহলে আমরা সেই মহিলার ব্যাপারে যার রক্ত সর্বদা ঝরতে থাকে এবং হায়যের দিনগুলো অজ্ঞাত থাকে তার সম্পর্কে এই অভিমতই ব্যক্ত করি।
বস্তুত যখন এই সমস্ত হাদীসে এইরূপ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরে আয়েশা (রাযিঃ)-এর অভিমত আমরা সেই মর্মে রিওয়ায়াত করেছি যা আমরা বর্ণনা করেছি। এতে সাব্যস্ত হল যে, এটা সেই ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার বিধান যার (হায়যের) দিনগুলো জানা নেই এবং আরো সাব্যস্ত হল যে, যা কিছু এর পরিপন্থী উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) না থেকে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণিত তা অন্য ইস্তিহাযা অথবা ঐ মুস্তাহাযা সম্পর্কে যার ইস্তিহাযা এই ইস্তিহাযার অনুরূপ। কিন্তু এতে যাই উদ্দেশ্য হউক না কেন ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত আছে তাই উত্তম। যেহেতু নবী এর পরে আয়েশা (রাযিঃ) তাই গ্রহণ করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক এর অনুকূল বা পরিপন্থী যত উক্তি ছিল সবই তাঁর জানা ছিল। অনুরূপভাবে যা কিছু আমরা ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার ব্যাপারে আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং যা কিছু আমরা তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে। তাছাড়াও তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে যে, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং উযূ করবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর (আলী রা) উক্তিসমূহ বিভিন্ন রকম হয়েছে ইস্তিহাযা বিভিন্ন রকম হওয়ার কারণে যে সম্পর্কে তিনি ফাতওয়া দিয়েছেন।
যা কিছু তাঁরা উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন যে, সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে, আমাদের মতে গোসলের উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। হাদীসসমূহ বর্ণনার ভিত্তিতে এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ। আর এতে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারাই প্রমাণ পেশ করা হয়।
অতঃপর সেই সমস্ত আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন, যারা বলেছেন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, বরং প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। তারা এ বিষয়ে ওয়াক্তের উল্লেখ সম্পর্কে স্বীকৃতি দেন না।
আমরা দুই অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটিকে বের করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি তাঁরা (আলিমগণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যখন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা এক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করে এবং সালাত আদায় করার পূর্বেই ওয়াক্ত চলে যায়, এরপর উক্ত উযূ দ্বারা সালাত আদায় করতে চায় তাহলে সে এরূপ করতে পারবে না (জায়িয হবে না) যতক্ষণ না নতুন উস্ করবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, যদি যে কোন সালাতের ওয়াক্তে উযূ করে সালাত আদায় করে, তারপর উক্ত উযূ দ্বারা নফল সালাত আদায় করতে ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকবে তা তার জন্য জায়িয আছে।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে প্রমাণিত হয় যে, তার উযূ ওয়াক্ত চলে যাওয়ার কারণে ভেঙ্গে যায় এবং ওয়াক্ত (প্রবেশের) দ্বারাই তার উপর উযূ ওয়াজিব হয়, সালাতের দ্বারা নয়। আরো দেখছি, তার যদি কয়েকটি সালাত কাযা হয়ে যায় এবং তা আদায় (কাযা) করতে চায় তাহলে সে তা এক ওয়াক্তে এক উযূর দ্বারা করতে পারবে। যদি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ ওয়াজিব হত তাহলে তার জন্য আবশ্যক হত ছুটে যাওয়া সালাতসমূহ থেকে প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক উযূ করা যাতে সে ওই সমস্ত সালাত এক উযূর দ্বারা আদায় করতে পারে। এতে প্রমাণিত হল যে, তার উপর সালাত নয় বরং ওয়াক্তের কারণে উযূ ওয়াজিব হয়।
দ্বিতীয় দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, হাদাসসমূহ দ্বারা তাহারাত (উযূ) নষ্ট হয়। ঐ সমস্ত হাদাস এর মধ্যে পায়খানা ও পেশাব অন্যতম। কিছু তাহারাত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার কারণেও ভেঙ্গে যায় আর তা হচ্ছে চামড়ার মোজায় মাসেহ করার তাহারাত। মুসাফির ও মুর্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তা ভেঙ্গে যায়। বস্তুত এই সমস্ত তাহারাতের বিষয়ে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে। এগুলোকে ভঙ্গকারী বস্তুর মধ্যে আমরা সালাতকে দেখতে পাই না। এগুলোকে ভঙ্গ করে হয় হাদাস নয়ত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। আর এটা সাব্যস্ত হল যে, মুস্তাহাযার তাহারাত এরূপ তাহারাত যা হাদাস অথবা হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু দ্বারা ভেঙ্গে যায়। একদল আলিম বলেছেন, এই হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু হচ্ছে ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়া (শেষ করা)। আমরা এই ক্ষেত্র ব্যতীত কোথাও 'সালাত থেকে অবসর হওয়া'কে হাদাস হিসেবে দেখতে পাইনা। তবে ওয়াক্ত বের হওয়া’কে এই ক্ষেত্র ব্যতীতও হাদাস হিসাবে দেখতে পাই। তাই সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আমরা বিরোধপূর্ণ হাদাসের পরিবর্তে একে সেই হাদাসের অনুরূপ সাব্যস্ত করব, যার উপর ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে এবং এর জন্য কোন ভিত্তি রয়েছে। একে আমরা সেইরূপ সাব্যস্ত করব না, যার উপর ইমামদের ঐকমত্যও নেই এবং এর জন্য কোন ভিত্তিও নেই। সুতরাং এতে তাঁদের অভিমত প্রমাণিত সাব্যস্ত হল, যারা বলেছেন যে, সে (ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা) প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। আর এটা হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
হুসাইন ইন নসর (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)........ শা'বী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম তাহাবীর বিশ্লেষণ
যখন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সেই বিষয়টি বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরে তিনি এই ফাতওয়া দিতেন, মুস্তাহাযা মহিলার বিধান যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে, আবার যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে, এবং আরো যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে হায়য়ের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল এবং উযূ করবে। বস্তুত এসব কিছু আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। সুতরাং তাঁর এই উত্তর দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, এই বিধান অপর দুই বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু আমাদের মতে তাঁর সম্পর্কে এ ধারণা করা বৈধ নয় যে, তিনি রহিতকারী (হাদীস) ছেড়ে দিয়েছেন এবং মানসূখ (রহিত) হাদীস অনুযায়ী ফাতওয়া দিতেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁর রিওয়ায়াত রহিত হয়ে যেত। যখন সাব্যস্ত হল যে, এটাই রহিতকারী যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাহলে এ অভিমতকে গ্রহণ করা আবশ্যক এবং এর পরিপন্থী বিধান জায়িয। রিওয়ায়াতসমূহের উল্লিখিত মর্মও হতে পারে আবার এতে অন্য সম্ভাবনাও আছে। সম্ভবত ফাতিমা বিধৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) সম্পর্কে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তা এর পরিপন্থী হবে না যা তাঁর থেকে সাহলা বিত সুহায়ল (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে। যেহেতু ফাতিমা বিনৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল, সাহলা (রাযিঃ)-এর দিনগুলো অজ্ঞাত ছিল। তবে তাঁর রক্ত কোন সময় বন্ধ হয়ে যেত এবং কোন সময় প্রত্যাবর্তন করত। এজন্য তাঁর এমন ধারণা থাকতে পারে যে, গোসলের পরেও হায়য থেকে পাক হননি। যার কারণে তিনি এক গোসল দ্বারা দুই সালাত আদায় করতেন।
যদি বিষয়টি এরূপ হয়ে থাকে তাহলে আমরা একই সঙ্গে উভয় হাদীসের মর্মই গ্রহণ করি। ফাতিমা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান-এর উপর প্রয়োগ করি, যেরূপ আমরা ব্যাখ্যা করেছি। (অর্থাৎ হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত হওয়া)। আর সাহলা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান তাই হবে যা আমরা বর্ণনা করেছি। আর উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি বিরোধের সাথে বর্ণিত হয়েছে। কতেক রাবী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁর হায়যের দিনগুলো উল্লেখ করেননি। হতে পারে তিনি তাঁকে এ বিধান এ জন্য প্রদান করেছেন যেন ওরই পানি তাঁর জন্য চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু তা (পানি) গর্ভাশয়ের রক্তকে খতম করে দেয় ফলে তা প্রবাহিত হয় না। কতেক রাবী এটাকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেন তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। আবার এটাও হতে পারে যে, এর দ্বারা আমাদের পূর্ব বর্ণিত সেই বিষয়টিই তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল। যেহেতু তাঁর রক্ত সর্বদা প্রবাহিত হতে থাকত এবং প্রত্যেক সালাতের সময় হায়য থেকে পাক হওয়ার সম্ভাবনা হত আর গোসল করার পর-ই সালাত আদায় করতে পারতেন। এরই ভিত্তিতে তাঁকে গোসলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়, তাহলে আমরা সেই মহিলার ব্যাপারে যার রক্ত সর্বদা ঝরতে থাকে এবং হায়যের দিনগুলো অজ্ঞাত থাকে তার সম্পর্কে এই অভিমতই ব্যক্ত করি।
বস্তুত যখন এই সমস্ত হাদীসে এইরূপ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরে আয়েশা (রাযিঃ)-এর অভিমত আমরা সেই মর্মে রিওয়ায়াত করেছি যা আমরা বর্ণনা করেছি। এতে সাব্যস্ত হল যে, এটা সেই ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার বিধান যার (হায়যের) দিনগুলো জানা নেই এবং আরো সাব্যস্ত হল যে, যা কিছু এর পরিপন্থী উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) না থেকে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণিত তা অন্য ইস্তিহাযা অথবা ঐ মুস্তাহাযা সম্পর্কে যার ইস্তিহাযা এই ইস্তিহাযার অনুরূপ। কিন্তু এতে যাই উদ্দেশ্য হউক না কেন ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত আছে তাই উত্তম। যেহেতু নবী এর পরে আয়েশা (রাযিঃ) তাই গ্রহণ করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক এর অনুকূল বা পরিপন্থী যত উক্তি ছিল সবই তাঁর জানা ছিল। অনুরূপভাবে যা কিছু আমরা ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার ব্যাপারে আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং যা কিছু আমরা তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে। তাছাড়াও তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে যে, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং উযূ করবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর (আলী রা) উক্তিসমূহ বিভিন্ন রকম হয়েছে ইস্তিহাযা বিভিন্ন রকম হওয়ার কারণে যে সম্পর্কে তিনি ফাতওয়া দিয়েছেন।
যা কিছু তাঁরা উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন যে, সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে, আমাদের মতে গোসলের উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। হাদীসসমূহ বর্ণনার ভিত্তিতে এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ। আর এতে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারাই প্রমাণ পেশ করা হয়।
অতঃপর সেই সমস্ত আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন, যারা বলেছেন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, বরং প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। তারা এ বিষয়ে ওয়াক্তের উল্লেখ সম্পর্কে স্বীকৃতি দেন না।
আমরা দুই অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটিকে বের করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি তাঁরা (আলিমগণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যখন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা এক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করে এবং সালাত আদায় করার পূর্বেই ওয়াক্ত চলে যায়, এরপর উক্ত উযূ দ্বারা সালাত আদায় করতে চায় তাহলে সে এরূপ করতে পারবে না (জায়িয হবে না) যতক্ষণ না নতুন উস্ করবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, যদি যে কোন সালাতের ওয়াক্তে উযূ করে সালাত আদায় করে, তারপর উক্ত উযূ দ্বারা নফল সালাত আদায় করতে ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকবে তা তার জন্য জায়িয আছে।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে প্রমাণিত হয় যে, তার উযূ ওয়াক্ত চলে যাওয়ার কারণে ভেঙ্গে যায় এবং ওয়াক্ত (প্রবেশের) দ্বারাই তার উপর উযূ ওয়াজিব হয়, সালাতের দ্বারা নয়। আরো দেখছি, তার যদি কয়েকটি সালাত কাযা হয়ে যায় এবং তা আদায় (কাযা) করতে চায় তাহলে সে তা এক ওয়াক্তে এক উযূর দ্বারা করতে পারবে। যদি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ ওয়াজিব হত তাহলে তার জন্য আবশ্যক হত ছুটে যাওয়া সালাতসমূহ থেকে প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক উযূ করা যাতে সে ওই সমস্ত সালাত এক উযূর দ্বারা আদায় করতে পারে। এতে প্রমাণিত হল যে, তার উপর সালাত নয় বরং ওয়াক্তের কারণে উযূ ওয়াজিব হয়।
দ্বিতীয় দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, হাদাসসমূহ দ্বারা তাহারাত (উযূ) নষ্ট হয়। ঐ সমস্ত হাদাস এর মধ্যে পায়খানা ও পেশাব অন্যতম। কিছু তাহারাত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার কারণেও ভেঙ্গে যায় আর তা হচ্ছে চামড়ার মোজায় মাসেহ করার তাহারাত। মুসাফির ও মুর্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তা ভেঙ্গে যায়। বস্তুত এই সমস্ত তাহারাতের বিষয়ে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে। এগুলোকে ভঙ্গকারী বস্তুর মধ্যে আমরা সালাতকে দেখতে পাই না। এগুলোকে ভঙ্গ করে হয় হাদাস নয়ত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। আর এটা সাব্যস্ত হল যে, মুস্তাহাযার তাহারাত এরূপ তাহারাত যা হাদাস অথবা হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু দ্বারা ভেঙ্গে যায়। একদল আলিম বলেছেন, এই হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু হচ্ছে ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়া (শেষ করা)। আমরা এই ক্ষেত্র ব্যতীত কোথাও 'সালাত থেকে অবসর হওয়া'কে হাদাস হিসেবে দেখতে পাইনা। তবে ওয়াক্ত বের হওয়া’কে এই ক্ষেত্র ব্যতীতও হাদাস হিসাবে দেখতে পাই। তাই সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আমরা বিরোধপূর্ণ হাদাসের পরিবর্তে একে সেই হাদাসের অনুরূপ সাব্যস্ত করব, যার উপর ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে এবং এর জন্য কোন ভিত্তি রয়েছে। একে আমরা সেইরূপ সাব্যস্ত করব না, যার উপর ইমামদের ঐকমত্যও নেই এবং এর জন্য কোন ভিত্তিও নেই। সুতরাং এতে তাঁদের অভিমত প্রমাণিত সাব্যস্ত হল, যারা বলেছেন যে, সে (ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা) প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। আর এটা হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
645 - بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا آدَمُ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ وَالْمُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ وَبَيَانٌ , قَالُوا: سَمِعْنَا عَامِرَ الشَّعْبِيِّ يُحَدِّثُ عَنْ قُمَيْرٍ , امْرَأَةَ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ: «تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ غُسْلًا وَاحِدًا , وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»
646 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، وَبَيَانٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَلَمَّا رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهَا الَّذِي أَفْتَتْ بِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حُكْمِ الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ كُلُّهُ عَنْهَا ثَبَتَ بِجَوَابِهَا ذَلِكَ , أَنَّ ذَلِكَ الْحُكْمَ هُوَ النَّاسِخُ لِلْحُكْمَيْنِ الْآخَرَيْنِ لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ عِنْدَنَا عَلَيْهَا أَنْ تَدَعَ النَّاسِخَ , وَتُفْتِيَ بِالْمَنْسُوخِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَسَقَطَتْ رِوَايَتُهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا هُوَ النَّاسِخُ لِمَا ذَكَرْنَا , وَجَبَ الْقَوْلُ بِهِ , وَلَمْ يَجُزْ خِلَافُهَا. هَذَا وَجْهٌ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَيْهِ. وَقَدْ يَجُوزُ فِي هَذَا وَجْهٌ آخَرُ , يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ لَا يُخَالِفُ مَا رُوِيَ عَنْهُ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ ابْنَةِ سُهَيْلٍ لِأَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ , كَانَتْ أَيَّامُهَا مَعْرُوفَةً , وَسَهْلَةَ كَانَتْ أَيَّامُهَا مَجْهُولَةً إِلَّا أَنَّ دَمَهَا يَنْقَطِعُ فِي أَوْقَاتٍ , وَيَعُودُ فِي أَوْقَاتٍ وَهِيَ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا لَمْ تَخْرُجْ مِنَ الْحَيْضِ بَعْدَ غُسْلِهَا إِلَى أَنْ صَلَّتِ الصَّلَاتَيْنِ جَمِيعًا. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَإِنَّا نَقُولُ بِالْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا , فَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ فَاطِمَةَ عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ إِلَيْهِ , وَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ سَهْلَةَ , عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ أَيْضًا إِلَيْهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَدْ رُوِيَ مُخْتَلِفًا. فَبَعْضُهُمْ يَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا [ص:106] فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , لِيَكُونَ ذَلِكَ الْمَاءُ عِلَاجًا لَهَا , لِأَنَّهَا تُقَلِّصُ الدَّمَ فِي الرَّحِمِ , فَلَا يَسِيلُ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ الْعِلَاجَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا , لِأَنَّ دَمَهَا سَائِلٌ دَائِمُ السَّيَلَانِ , فَلَيْسَتْ صَلَاةٌ إِلَّا يُحْتَمَلُ أَنْ تَكُونَ عِنْدَهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ لَيْسَ لَهَا أَنْ تُصَلِّيهَا إِلَّا بَعْدَ الِاغْتِسَالِ , فَأَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ مَعْنَى حَدِيثِهَا , فَإِنَّا كَذَلِكَ نَقُولُ أَيْضًا فِيمَنِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَلَمْ تَعْرِفْ أَيَّامَهَا. فَلَمَّا احْتَمَلَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مَا ذَكَرْنَا وَرَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ قَوْلِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا وَصَفْنَا ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ حُكْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ , الَّتِي لَا تَعْرِفُ أَيَّامَهَا , وَثَبَتَ أَنَّ مَا خَالَفَ ذَلِكَ , مِمَّا رُوِيَ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا , غَيْرُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ , أَوْ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا مِثْلُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ. إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ، عَلَى أَيِّ الْمَعَانِي كَانَ، فَمَا رُوِيَ فِي أَمْرِ فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ , أَوْلَى لِأَنَّ مَعَهُ الِاخْتِيَارَ مِنْ عَائِشَةَ لَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ عَلِمَتْ مَا خَالَفَهُ , وَمَا وَافَقَهُ مِنْ قَوْلِهِ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ إِنَّمَا اخْتَلَفَتْ أَقْوَالُهُ فِي ذَلِكَ لِاخْتِلَافِ الِاسْتِحَاضَةِ الَّتِي أَفْتَى فِيهَا بِذَلِكَ. وَأَمَّا مَا رَوَوْا عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي اغْتِسَالِهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَوَجْهُ ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنَّهَا كَانَتْ تَتَعَالَجُ بِهِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَهِيَ الَّتِي يُحْتَجُّ بِهَا فِيهِ. ثُمَّ اخْتَلَفَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تَتَوَضَّأُ لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَزُفَرَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَلَا يَعْرِفُونَ ذِكْرَ الْوَقْتِ فِي ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا نَحْنُ أَنْ نَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهَا إِذَا تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ , فَلَمْ تُصَلِّ حَتَّى خَرَجَ الْوَقْتُ , فَأَرَادَتْ أَنْ تُصَلِّيَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ، أَنَّهُ لَيْسَ ذَلِكَ لَهَا حَتَّى تَتَوَضَّأَ وُضُوءًا جَدِيدًا. وَرَأَيْنَاهَا لَوْ تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ فَصَلَّتْ , ثُمَّ أَرَادَتْ أَنْ تَتَطَوَّعَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا مَا دَامَتْ فِي الْوَقْتِ.فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ الَّذِي يَنْقُضُ تَطَهُّرَهَا هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ , وَأَنَّ وُضُوءَهَا يُوجِبُهُ الْوَقْتُ لَا الصَّلَاةُ , وَقَدْ رَأَيْنَاهَا لَوْ فَاتَتْهَا صَلَوَاتٌ , فَأَرَادَتْ أَنْ تَقْضِيَهُنَّ كَانَ لَهَا أَنْ تَجْمَعَهُنَّ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ وَاحِدَةٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ. فَلَوْ كَانَ الْوُضُوءُ يَجِبُ عَلَيْهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , لَكَانَ يَجِبُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِكُلِّ صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ الْفَائِتَاتِ. فَلَمَّا كَانَتْ تُصَلِّيهِنَّ جَمِيعًا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهَا , هُوَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ , وَهُوَ الْوَقْتُ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الطَّهَارَاتِ تَنْتَقِضُ بِأَحْدَاثٍ , مِنْهَا الْغَائِطُ , وَالْبَوْلُ. وَطِهَارَاتٍ تَنْتَقِضُ بِخُرُوجِ أَوْقَاتٍ , وَهِيَ الطَّهَارَةُ بِالْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ , يَنْقُضُهَا خُرُوجُ وَقْتِ الْمُسَافِرِ وَخُرُوجُ وَقْتِ الْمُقِيمِ. وَهَذِهِ الطَّهَارَاتُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا , لَمْ نَجِدْ فِيمَا يَنْقُضُهَا صَلَاةً , إِنَّمَا يَنْقُضُهَا حَدَثٌ , أَوْ خُرُوجُ وَقْتٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ طَهَارَةَ الْمُسْتَحَاضَةِ , طَهَارَةٌ يَنْقُضُهَا الْحَدَثُ وَغَيْرُ الْحَدَثِ. فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا الَّذِي هُوَ غَيْرُ الْحَدَثِ , هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ فَرَاغٌ مِنْ صَلَاةٍ , وَلَمْ نَجِدِ الْفَرَاغَ مِنَ الصَّلَاةِ حَدَثًا فِي شَيْءٍ غَيْرَ ذَلِكَ , وَقَدْ وَجَدْنَا خُرُوجَ الْوَقْتِ حَدَثًا فِي غَيْرِهِ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ أَنْ نَرْجِعَ فِي هَذَا الْحَدَثِ الْمُخْتَلَفِ فِيهِ , فَنَجْعَلَهُ كَالْحَدَثِ الَّذِي قَدْ أُجْمِعَ عَلَيْهِ وَوُجِدَ لَهُ أَصْلٌ وَلَا نَجْعَلَهُ كَمَا لَمْ يُجْمَعْ عَلَيْهِ , وَلَمْ نَجِدْ لَهُ أَصْلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ وَقْتِ صَلَاةٍ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
646 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، وَبَيَانٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَلَمَّا رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهَا الَّذِي أَفْتَتْ بِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حُكْمِ الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ كُلُّهُ عَنْهَا ثَبَتَ بِجَوَابِهَا ذَلِكَ , أَنَّ ذَلِكَ الْحُكْمَ هُوَ النَّاسِخُ لِلْحُكْمَيْنِ الْآخَرَيْنِ لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ عِنْدَنَا عَلَيْهَا أَنْ تَدَعَ النَّاسِخَ , وَتُفْتِيَ بِالْمَنْسُوخِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَسَقَطَتْ رِوَايَتُهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا هُوَ النَّاسِخُ لِمَا ذَكَرْنَا , وَجَبَ الْقَوْلُ بِهِ , وَلَمْ يَجُزْ خِلَافُهَا. هَذَا وَجْهٌ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَيْهِ. وَقَدْ يَجُوزُ فِي هَذَا وَجْهٌ آخَرُ , يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ لَا يُخَالِفُ مَا رُوِيَ عَنْهُ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ ابْنَةِ سُهَيْلٍ لِأَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ , كَانَتْ أَيَّامُهَا مَعْرُوفَةً , وَسَهْلَةَ كَانَتْ أَيَّامُهَا مَجْهُولَةً إِلَّا أَنَّ دَمَهَا يَنْقَطِعُ فِي أَوْقَاتٍ , وَيَعُودُ فِي أَوْقَاتٍ وَهِيَ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا لَمْ تَخْرُجْ مِنَ الْحَيْضِ بَعْدَ غُسْلِهَا إِلَى أَنْ صَلَّتِ الصَّلَاتَيْنِ جَمِيعًا. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَإِنَّا نَقُولُ بِالْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا , فَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ فَاطِمَةَ عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ إِلَيْهِ , وَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ سَهْلَةَ , عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ أَيْضًا إِلَيْهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَدْ رُوِيَ مُخْتَلِفًا. فَبَعْضُهُمْ يَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا [ص:106] فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , لِيَكُونَ ذَلِكَ الْمَاءُ عِلَاجًا لَهَا , لِأَنَّهَا تُقَلِّصُ الدَّمَ فِي الرَّحِمِ , فَلَا يَسِيلُ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ الْعِلَاجَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا , لِأَنَّ دَمَهَا سَائِلٌ دَائِمُ السَّيَلَانِ , فَلَيْسَتْ صَلَاةٌ إِلَّا يُحْتَمَلُ أَنْ تَكُونَ عِنْدَهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ لَيْسَ لَهَا أَنْ تُصَلِّيهَا إِلَّا بَعْدَ الِاغْتِسَالِ , فَأَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ مَعْنَى حَدِيثِهَا , فَإِنَّا كَذَلِكَ نَقُولُ أَيْضًا فِيمَنِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَلَمْ تَعْرِفْ أَيَّامَهَا. فَلَمَّا احْتَمَلَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مَا ذَكَرْنَا وَرَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ قَوْلِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا وَصَفْنَا ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ حُكْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ , الَّتِي لَا تَعْرِفُ أَيَّامَهَا , وَثَبَتَ أَنَّ مَا خَالَفَ ذَلِكَ , مِمَّا رُوِيَ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا , غَيْرُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ , أَوْ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا مِثْلُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ. إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ، عَلَى أَيِّ الْمَعَانِي كَانَ، فَمَا رُوِيَ فِي أَمْرِ فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ , أَوْلَى لِأَنَّ مَعَهُ الِاخْتِيَارَ مِنْ عَائِشَةَ لَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ عَلِمَتْ مَا خَالَفَهُ , وَمَا وَافَقَهُ مِنْ قَوْلِهِ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ إِنَّمَا اخْتَلَفَتْ أَقْوَالُهُ فِي ذَلِكَ لِاخْتِلَافِ الِاسْتِحَاضَةِ الَّتِي أَفْتَى فِيهَا بِذَلِكَ. وَأَمَّا مَا رَوَوْا عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي اغْتِسَالِهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَوَجْهُ ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنَّهَا كَانَتْ تَتَعَالَجُ بِهِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَهِيَ الَّتِي يُحْتَجُّ بِهَا فِيهِ. ثُمَّ اخْتَلَفَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تَتَوَضَّأُ لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَزُفَرَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَلَا يَعْرِفُونَ ذِكْرَ الْوَقْتِ فِي ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا نَحْنُ أَنْ نَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهَا إِذَا تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ , فَلَمْ تُصَلِّ حَتَّى خَرَجَ الْوَقْتُ , فَأَرَادَتْ أَنْ تُصَلِّيَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ، أَنَّهُ لَيْسَ ذَلِكَ لَهَا حَتَّى تَتَوَضَّأَ وُضُوءًا جَدِيدًا. وَرَأَيْنَاهَا لَوْ تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ فَصَلَّتْ , ثُمَّ أَرَادَتْ أَنْ تَتَطَوَّعَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا مَا دَامَتْ فِي الْوَقْتِ.فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ الَّذِي يَنْقُضُ تَطَهُّرَهَا هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ , وَأَنَّ وُضُوءَهَا يُوجِبُهُ الْوَقْتُ لَا الصَّلَاةُ , وَقَدْ رَأَيْنَاهَا لَوْ فَاتَتْهَا صَلَوَاتٌ , فَأَرَادَتْ أَنْ تَقْضِيَهُنَّ كَانَ لَهَا أَنْ تَجْمَعَهُنَّ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ وَاحِدَةٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ. فَلَوْ كَانَ الْوُضُوءُ يَجِبُ عَلَيْهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , لَكَانَ يَجِبُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِكُلِّ صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ الْفَائِتَاتِ. فَلَمَّا كَانَتْ تُصَلِّيهِنَّ جَمِيعًا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهَا , هُوَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ , وَهُوَ الْوَقْتُ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الطَّهَارَاتِ تَنْتَقِضُ بِأَحْدَاثٍ , مِنْهَا الْغَائِطُ , وَالْبَوْلُ. وَطِهَارَاتٍ تَنْتَقِضُ بِخُرُوجِ أَوْقَاتٍ , وَهِيَ الطَّهَارَةُ بِالْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ , يَنْقُضُهَا خُرُوجُ وَقْتِ الْمُسَافِرِ وَخُرُوجُ وَقْتِ الْمُقِيمِ. وَهَذِهِ الطَّهَارَاتُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا , لَمْ نَجِدْ فِيمَا يَنْقُضُهَا صَلَاةً , إِنَّمَا يَنْقُضُهَا حَدَثٌ , أَوْ خُرُوجُ وَقْتٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ طَهَارَةَ الْمُسْتَحَاضَةِ , طَهَارَةٌ يَنْقُضُهَا الْحَدَثُ وَغَيْرُ الْحَدَثِ. فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا الَّذِي هُوَ غَيْرُ الْحَدَثِ , هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ فَرَاغٌ مِنْ صَلَاةٍ , وَلَمْ نَجِدِ الْفَرَاغَ مِنَ الصَّلَاةِ حَدَثًا فِي شَيْءٍ غَيْرَ ذَلِكَ , وَقَدْ وَجَدْنَا خُرُوجَ الْوَقْتِ حَدَثًا فِي غَيْرِهِ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ أَنْ نَرْجِعَ فِي هَذَا الْحَدَثِ الْمُخْتَلَفِ فِيهِ , فَنَجْعَلَهُ كَالْحَدَثِ الَّذِي قَدْ أُجْمِعَ عَلَيْهِ وَوُجِدَ لَهُ أَصْلٌ وَلَا نَجْعَلَهُ كَمَا لَمْ يُجْمَعْ عَلَيْهِ , وَلَمْ نَجِدْ لَهُ أَصْلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ وَقْتِ صَلَاةٍ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
