শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৪২-৬৪৪। ইউনুস (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে এলেন। তিনি ছিলেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত একজন মহিলা। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আমি তো (রক্ত থেকে) পাক হইনা। তাই আমি সর্বদা সালাত ছেড়ে দিব কি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এ রক্ত হায়যের নয়, বরং শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো আসে তখন সে ক'দিন সালাত ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলোর পরিমাণ সময় চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নিবে এবং সালাত আদায় করবে।
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ (রাহঃ)...... আব্দুর রহমান ইবন আবু্য যিনাদ (রাহঃ) তাঁর পিতা এবং হিশাম (রাহঃ) উভয় থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটি হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন, সেইরূপভাবে নয় যেমনটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তা রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব তাদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) এই হাদীসটি হিশাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে তিনি এরূপ একটি হরফ (শব্দ) বৃদ্ধি করেছেন, যা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অনুকূলে প্রমাণ বহন করে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী থেকে সেই হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, যা ইউনুস (রাহঃ) ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইব্ন আলী (রাহঃ) সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যখন হায়যের দিনগুলো পরিমাণ অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তখন তোমার রক্ত ধুয়ে উযূ করে সালাত আদায় করবে। বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে গোসলের সঙ্গে সঙ্গে উযূরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা সেই উযূ, যা প্রত্যেক সালাতের জন্য করা হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীসের মর্ম। হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে হাম্মাদ ইবন সালামা রাবীর মর্যাদা (এমনকি) তোমাদের মতে মালিক (রাহঃ), লায়স (রাহঃ) ও আমর ইবন হারিস (রাহঃ) থেকে কোন অংশেই কম নয়।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ তা থেকে বর্ণিত মুস্তাহায়া মহিলার রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধতা সাব্যস্ত হল। সে তার ইস্তিহাযা অবস্থায় প্রত্যেক সালাতের সময় উযু করবে। তবে রাসূলুল্লাহ্ ফন্ট্র থেকে তাও বর্ণিত আছে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ইতিপূর্বে আলোচনা করে এসেছি।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব, যেন অবহিত হতে পারি যে, এর কোন্টির উপর আমল করা শ্রেয়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি যে, তিনি উর্দু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এ হাদীসের দ্বারা রহিত হয়ে যাওয়াটা সাব্যস্ত হল, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে সাহলা বিনূত সুহাইল (রাযিঃ)-এর বিষয়ে ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... ওয়াহবী (রাহঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিতেন। যখন তার উপর এটা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন তাঁকে এক গোসলে যুহর ও আসরের সালাত আর এক গোসলে মাগরিব ও ইশা'র সালাত একত্রিত করার এবং ফজরের সালাতের জন্য পৃথক গোসল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতএব তাঁর জন্য তাঁর এই নির্দেশ পূর্ববর্তী নির্দেশের জন্য রহিতকারী যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মর্ম কিরূপ, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগের ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার বিষয়ে তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ছাওরী (রাহঃ) তাঁর থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি যয়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁকে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছেন। ইবন উয়ায়না (রাহঃ) ও তা আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি যয়নাব (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। তবে তিনি হাদীসের শব্দগত অর্থে ছাওরী (রাহঃ)-এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। আর তা হচ্ছে সে বিশেষভাবে ইস্তিহাযার দিনগুলোতে প্রত্যেক দুই সালাতকে এক গোসলে একত্রিত করা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তাঁর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল। তারপর শু'বা (রাহঃ) এলেন এবং তিনি তা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ)-কে ছাওরী (রাহঃ) ও ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রাহঃ) তাঁর অনুসরণ করেছেন। যখন হাদীসটি এরূপই বর্ণিত যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, এতে তাঁরা মত পার্থক্য করেছেন। তাই আমরা তা সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করে দিয়েছি, যেন আমরা অবহিত হতে পারি যে, বিরোধ কোত্থেকে এসেছে। 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ যা কাসিম (রাহঃ)...... যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীসে উক্ত হয়েছে, তা কিন্তু তাঁর সূত্রে বর্ণিত আয়েশা (রাযিঃ) এর হাদীসে বিদ্যমান নেই। অতএব যয়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াতকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াত থেকে ভিন্নতর সাব্যস্ত করা আবশ্যক। তাই যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীস যাতে হায়যের উল্লেখ রয়েছে 'মুনকাতি-হাদীস', যা হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট প্রমাণ্য নয়। যেহেতু তাঁরা ‘মুনকাতি’ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন না। এ হাদীসটি মুনকাতি হয়েছে এজন্য যে, কাসিম (রাহঃ)
যয়নাব (রাযিঃ)-এর (সময়কাল) পান নাই; এমনকি সে যুগে তাঁর জন্মও হয়নি। কেননা উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর (খিলাফতের) যুগে তাঁর ইন্তিকাল হয়ে গিয়েছে। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁরই ইন্তিকাল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীস, যাতে হায়যের উল্লেখ নেই; তাতে শুধু রয়েছে যে, নবী ইস্তিহাযা
আক্রান্ত মহিলাকে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওই হাদীসে
রয়েছে। কিন্তু এটা বর্ণনা করেননি যে, সে কোন্ মুস্তাহাযা মহিলা ছিল। বস্তুত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইস্তিহাযা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে এবং তার হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত। তার বিষয়ে বিধান হচ্ছে, হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে এবং তারপর গোসল করবে ও উযূ করবে (ও সালাত আদায় করবে)। দ্বিতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, রক্ত বন্ধ হয় না এবং হায়যের দিনগুলো তার অনির্ধারিত (অজানা)। তার বিধান হচ্ছে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। যেহেতু তার জন্য এমন একটি সময় অতিবাহিত হয় না, যাতে সে হায়য বিশিষ্ট হওয়া বা হায়য থেকে পাক হওয়া বা ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হবে। তৃতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা, যার হায়যের দিনগুলো অনির্ধারিত (অজানা) থাকে, রক্ত সব সময় ঝরে না এবং এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পুনরায় চলে আসে, সমস্ত দিন তার এ অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। তাহলে সে লক্ষ্য করবে যে, রক্ত বন্ধ হওয়ার অবস্থায় যখন সে গোসল করবে তখন তার জন্য হায়য থেকে সেই পবিত্রতা লাভ হবে না, যার দ্বারা তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়। সুতরাং সে এ অবস্থায় উক্ত গোসল দ্বারা যত সালাত ইচ্ছা করে আদায় করতে পারবে, যদি তা তার জন্য সম্ভব হয়।
অতএব আমরা যখন দেখতে পেলাম যে, মহিলা কখনও ওইসব বিভিন্ন অবস্থা থেকে কোন একটির সাথে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয় এবং প্রত্যেক অবস্থার বিধান ভিন্নতর অথচ মুস্তাহাযা শব্দটি সবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে সেই মহিলার ব্যাপারে, যার সম্পর্কে নবী (ﷺ) উল্লেখিত নির্দেশ দিয়েছেন স্পষ্টত বর্ণনা পাইনা যে, সে কোন রকম মুস্তাহাযা ছিল। তাই আমাদের জন্য জায়িয হবে না আমরা কোন দলীল ব্যতীত একে কোন এক প্রকারের জন্য প্রয়োগ করা এবং অবশিষ্টকে ছেড়ে দেয়া। সুতরাং আমরা গভীরভাবে দেখেছি যে, এ সম্পর্কে আমরা কোন প্রমাণ পাই কিনা। আমরা নিম্নোক্ত হাদীসে দেখিঃ
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ (রাহঃ)...... আব্দুর রহমান ইবন আবু্য যিনাদ (রাহঃ) তাঁর পিতা এবং হিশাম (রাহঃ) উভয় থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটি হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন, সেইরূপভাবে নয় যেমনটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তা রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব তাদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) এই হাদীসটি হিশাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে তিনি এরূপ একটি হরফ (শব্দ) বৃদ্ধি করেছেন, যা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অনুকূলে প্রমাণ বহন করে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী থেকে সেই হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, যা ইউনুস (রাহঃ) ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইব্ন আলী (রাহঃ) সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যখন হায়যের দিনগুলো পরিমাণ অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তখন তোমার রক্ত ধুয়ে উযূ করে সালাত আদায় করবে। বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে গোসলের সঙ্গে সঙ্গে উযূরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা সেই উযূ, যা প্রত্যেক সালাতের জন্য করা হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীসের মর্ম। হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে হাম্মাদ ইবন সালামা রাবীর মর্যাদা (এমনকি) তোমাদের মতে মালিক (রাহঃ), লায়স (রাহঃ) ও আমর ইবন হারিস (রাহঃ) থেকে কোন অংশেই কম নয়।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ তা থেকে বর্ণিত মুস্তাহায়া মহিলার রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধতা সাব্যস্ত হল। সে তার ইস্তিহাযা অবস্থায় প্রত্যেক সালাতের সময় উযু করবে। তবে রাসূলুল্লাহ্ ফন্ট্র থেকে তাও বর্ণিত আছে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ইতিপূর্বে আলোচনা করে এসেছি।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব, যেন অবহিত হতে পারি যে, এর কোন্টির উপর আমল করা শ্রেয়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি যে, তিনি উর্দু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এ হাদীসের দ্বারা রহিত হয়ে যাওয়াটা সাব্যস্ত হল, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে সাহলা বিনূত সুহাইল (রাযিঃ)-এর বিষয়ে ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... ওয়াহবী (রাহঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিতেন। যখন তার উপর এটা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন তাঁকে এক গোসলে যুহর ও আসরের সালাত আর এক গোসলে মাগরিব ও ইশা'র সালাত একত্রিত করার এবং ফজরের সালাতের জন্য পৃথক গোসল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতএব তাঁর জন্য তাঁর এই নির্দেশ পূর্ববর্তী নির্দেশের জন্য রহিতকারী যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মর্ম কিরূপ, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগের ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার বিষয়ে তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ছাওরী (রাহঃ) তাঁর থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি যয়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁকে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছেন। ইবন উয়ায়না (রাহঃ) ও তা আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি যয়নাব (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। তবে তিনি হাদীসের শব্দগত অর্থে ছাওরী (রাহঃ)-এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। আর তা হচ্ছে সে বিশেষভাবে ইস্তিহাযার দিনগুলোতে প্রত্যেক দুই সালাতকে এক গোসলে একত্রিত করা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তাঁর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল। তারপর শু'বা (রাহঃ) এলেন এবং তিনি তা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ)-কে ছাওরী (রাহঃ) ও ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রাহঃ) তাঁর অনুসরণ করেছেন। যখন হাদীসটি এরূপই বর্ণিত যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, এতে তাঁরা মত পার্থক্য করেছেন। তাই আমরা তা সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করে দিয়েছি, যেন আমরা অবহিত হতে পারি যে, বিরোধ কোত্থেকে এসেছে। 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ যা কাসিম (রাহঃ)...... যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীসে উক্ত হয়েছে, তা কিন্তু তাঁর সূত্রে বর্ণিত আয়েশা (রাযিঃ) এর হাদীসে বিদ্যমান নেই। অতএব যয়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াতকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াত থেকে ভিন্নতর সাব্যস্ত করা আবশ্যক। তাই যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীস যাতে হায়যের উল্লেখ রয়েছে 'মুনকাতি-হাদীস', যা হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট প্রমাণ্য নয়। যেহেতু তাঁরা ‘মুনকাতি’ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন না। এ হাদীসটি মুনকাতি হয়েছে এজন্য যে, কাসিম (রাহঃ)
যয়নাব (রাযিঃ)-এর (সময়কাল) পান নাই; এমনকি সে যুগে তাঁর জন্মও হয়নি। কেননা উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর (খিলাফতের) যুগে তাঁর ইন্তিকাল হয়ে গিয়েছে। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁরই ইন্তিকাল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীস, যাতে হায়যের উল্লেখ নেই; তাতে শুধু রয়েছে যে, নবী ইস্তিহাযা
আক্রান্ত মহিলাকে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওই হাদীসে
রয়েছে। কিন্তু এটা বর্ণনা করেননি যে, সে কোন্ মুস্তাহাযা মহিলা ছিল। বস্তুত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইস্তিহাযা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে এবং তার হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত। তার বিষয়ে বিধান হচ্ছে, হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে এবং তারপর গোসল করবে ও উযূ করবে (ও সালাত আদায় করবে)। দ্বিতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, রক্ত বন্ধ হয় না এবং হায়যের দিনগুলো তার অনির্ধারিত (অজানা)। তার বিধান হচ্ছে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। যেহেতু তার জন্য এমন একটি সময় অতিবাহিত হয় না, যাতে সে হায়য বিশিষ্ট হওয়া বা হায়য থেকে পাক হওয়া বা ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হবে। তৃতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা, যার হায়যের দিনগুলো অনির্ধারিত (অজানা) থাকে, রক্ত সব সময় ঝরে না এবং এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পুনরায় চলে আসে, সমস্ত দিন তার এ অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। তাহলে সে লক্ষ্য করবে যে, রক্ত বন্ধ হওয়ার অবস্থায় যখন সে গোসল করবে তখন তার জন্য হায়য থেকে সেই পবিত্রতা লাভ হবে না, যার দ্বারা তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়। সুতরাং সে এ অবস্থায় উক্ত গোসল দ্বারা যত সালাত ইচ্ছা করে আদায় করতে পারবে, যদি তা তার জন্য সম্ভব হয়।
অতএব আমরা যখন দেখতে পেলাম যে, মহিলা কখনও ওইসব বিভিন্ন অবস্থা থেকে কোন একটির সাথে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয় এবং প্রত্যেক অবস্থার বিধান ভিন্নতর অথচ মুস্তাহাযা শব্দটি সবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে সেই মহিলার ব্যাপারে, যার সম্পর্কে নবী (ﷺ) উল্লেখিত নির্দেশ দিয়েছেন স্পষ্টত বর্ণনা পাইনা যে, সে কোন রকম মুস্তাহাযা ছিল। তাই আমাদের জন্য জায়িয হবে না আমরা কোন দলীল ব্যতীত একে কোন এক প্রকারের জন্য প্রয়োগ করা এবং অবশিষ্টকে ছেড়ে দেয়া। সুতরাং আমরা গভীরভাবে দেখেছি যে, এ সম্পর্কে আমরা কোন প্রমাণ পাই কিনা। আমরা নিম্নোক্ত হাদীসে দেখিঃ
642 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمَالِكٌ، وَاللَّيْثُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي وَاللهِ مَا أَطْهَرُ أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ أَبَدًا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ ; وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ ; فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ , وَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي»
643 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ أَبِيهِ وَهِشَامٍ , كِلَيْهِمَا عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ فَهَكَذَا رَوَى الْحُفَّاظُ , هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , لَا كَمَا رَوَاهُ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ , قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هِشَامٍ , فَزَادَ فِيهِ حَرْفًا يَدُلُّ عَلَى مُوَافَقَتِهِ لِأَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى
644 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ , عَنِ ابْنِ وَهْبٍ , وَحَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ , وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْوُضُوءِ مَعَ أَمْرِهِ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَذَلِكَ الْوُضُوءُ , هُوَ الْوُضُوءُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى وَلَيْسَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عِنْدَكُمْ , فِي هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , بِدُونِ مَالِكٍ وَاللَّيْثِ وَعَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا صِحَّةُ الرِّوَايَةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ فِي حَالِ اسْتِحَاضَتِهَا لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ. إِلَّا أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي هَذَا الْبَابِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَعْلَمَ مَا الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُعْمَلَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ؟ فَكَانَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , «أَنَّهُ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» فَقَدْ ثَبَتَ نَسْخُ ذَلِكَ , بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفَصْلِ الثَّانِي مِنْ هَذَا الْبَابِ , فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ عَنِ الْوَهْبِيِّ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ بِنْتِ سُهَيْلٍ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَلَمَّا أَجْهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ , وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْغِشَاءِ , بِغُسْلٍ , وَتَغْتَسِلُ لِلصُّبْحِ غُسْلًا " فَكَانَ مَا أَمَرَهَا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , نَاسِخًا لَمَا كَانَ أَمَرَهَا بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ , مِنَ الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , كَيْفَ مَعْنَاهُ؟ فَإِذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِيهِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ الَّتِي اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَلَفَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي ذَلِكَ. فَرَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْهُ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , وَأَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا. وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَيْضًا , عَنْ أَبِيهِ , وَلَمْ يَذْكُرْ زَيْنَبَ , إِلَّا أَنَّهُ وَافَقَ الثَّوْرِيَّ فِي مَعْنَى مَتْنِ الْحَدِيثِ , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى الْجَمْعِ بَيْنَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ فِي أَيَّامِ الِاسْتِحَاضَةِ خَاصَّةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ أَيَّامَ الْحَيْضِ , كَانَ مَوْضِعُهَا مَعْرُوفًا. ثُمَّ جَاءَ شُعْبَةُ , فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَمَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ الْأَقْرَاءِ وَتَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. فَلَمَّا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ كَمَا ذَكَرْنَا , فَاخْتَلَفُوا فِيهِ , كَشَفْنَاهُ , لِنَعْلَمَ مِنْ أَيْنَ جَاءَ الِاخْتِلَافُ , فَكَانَ ذِكْرُ أَيَّامِ الْأَقْرَاءِ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ زَيْنَبَ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ عَائِشَةَ , فَوَجَبَ أَنْ يَجْعَلَ رِوَايَتَهُ عَنْ زَيْنَبَ , غَيْرَ رِوَايَتِهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَكَانَ حَدِيثُ زَيْنَبَ الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , حَدِيثًا مُنْقَطِعًا لَا يُثْبِتُهُ أَهْلُ الْخَبَرِ لِأَنَّهُمْ لَا يَحْتَجُّونَ بِالْمُنْقَطِعِ وَإِنَّمَا جَاءَ انْقِطَاعُهُ , لِأَنَّ زَيْنَبَ لَمْ يُدْرِكْهَا الْقَاسِمُ وَلَمْ يُولَدْ فِي زَمَنِهَا , لِأَنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَهِيَ أَوَّلُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بَعْدَهُ. وَكَانَ حَدِيثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هُوَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ الْمُسْتَحَاضَةَ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , عَلَى مَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُبَيِّنْ أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ فَقَدْ وَجَدْنَا اسْتِحَاضَةً قَدْ تَكُونُ عَلَى مَعَانِي مُخْتَلِفَةٍ. فَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا مَعْرُوفَةٌ لَهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتَتَوَضَّأَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , لِأَنَّ دَمَهَا قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا , فَلَا يَنْقَطِعُ عَنْهَا , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَغْتَسِلَ لِكُلِّ صَلَاةٍ , لِأَنَّهَا لَا يَأْتِي عَلَيْهَا وَقْتٌ إِلَّا احْتَمَلَ أَنْ تَكُونَ فِيهِ حَائِضًا أَوْ طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ أَوْ مُسْتَحَاضَةً , فَيُحْتَاطُ لَهَا فَتُؤْمَرُ بِالْغُسْلِ. وَمِنْهَا أَنْ تَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا أَيَّامَ حَيْضِهَا , وَدَمُهَا غَيْرُ مُسْتَمِرٍّ بِهَا , يَنْقَطِعُ سَاعَةً , وَيَعُودُ بَعْدَ ذَلِكَ هَكَذَا هِيَ فِي أَيَّامِهَا كُلِّهَا. فَتَكُونُ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا فِي وَقْتِ انْقِطَاعِ دَمِهَا , إِذَا اغْتَسَلَتْ حِينَئِذٍ , غَيْرُ طَاهِرٍ مِنْ حَيْضٍ , طُهْرًا يُوجِبُ عَلَيْهَا غُسْلًا. فَلَهَا أَنْ تُصَلِّيَ فِي حَالِهَا تِلْكَ مَا أَرَادَتْ مِنَ الصَّلَوَاتِ بِذَلِكَ الْغُسْلِ إِنْ أَمْكَنَهَا ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا الْمَرْأَةَ قَدْ تَكُونُ مُسْتَحَاضَةً بِكُلِّ وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , الَّتِي مَعَانِيهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَأَحْكَامُهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَاسْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ يَجْمَعُهَا وَلَمْ نَجِدْ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ذَلِكَ , بَيَانُ اسْتِحَاضَةِ تِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا بِمَا ذَكَرْنَا , أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ لَمْ يَجُزْ لَنَا أَنْ نَحْمِلَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , دُونَ غَيْرِهِ , إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّنَا عَلَى ذَلِكَ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ دَلِيلًا؟ فَإِذَا
643 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ أَبِيهِ وَهِشَامٍ , كِلَيْهِمَا عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ فَهَكَذَا رَوَى الْحُفَّاظُ , هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , لَا كَمَا رَوَاهُ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ , قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هِشَامٍ , فَزَادَ فِيهِ حَرْفًا يَدُلُّ عَلَى مُوَافَقَتِهِ لِأَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى
644 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ , عَنِ ابْنِ وَهْبٍ , وَحَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ , وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْوُضُوءِ مَعَ أَمْرِهِ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَذَلِكَ الْوُضُوءُ , هُوَ الْوُضُوءُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى وَلَيْسَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عِنْدَكُمْ , فِي هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , بِدُونِ مَالِكٍ وَاللَّيْثِ وَعَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا صِحَّةُ الرِّوَايَةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ فِي حَالِ اسْتِحَاضَتِهَا لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ. إِلَّا أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي هَذَا الْبَابِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَعْلَمَ مَا الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُعْمَلَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ؟ فَكَانَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , «أَنَّهُ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» فَقَدْ ثَبَتَ نَسْخُ ذَلِكَ , بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفَصْلِ الثَّانِي مِنْ هَذَا الْبَابِ , فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ عَنِ الْوَهْبِيِّ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ بِنْتِ سُهَيْلٍ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَلَمَّا أَجْهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ , وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْغِشَاءِ , بِغُسْلٍ , وَتَغْتَسِلُ لِلصُّبْحِ غُسْلًا " فَكَانَ مَا أَمَرَهَا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , نَاسِخًا لَمَا كَانَ أَمَرَهَا بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ , مِنَ الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , كَيْفَ مَعْنَاهُ؟ فَإِذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِيهِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ الَّتِي اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَلَفَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي ذَلِكَ. فَرَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْهُ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , وَأَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا. وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَيْضًا , عَنْ أَبِيهِ , وَلَمْ يَذْكُرْ زَيْنَبَ , إِلَّا أَنَّهُ وَافَقَ الثَّوْرِيَّ فِي مَعْنَى مَتْنِ الْحَدِيثِ , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى الْجَمْعِ بَيْنَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ فِي أَيَّامِ الِاسْتِحَاضَةِ خَاصَّةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ أَيَّامَ الْحَيْضِ , كَانَ مَوْضِعُهَا مَعْرُوفًا. ثُمَّ جَاءَ شُعْبَةُ , فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَمَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ الْأَقْرَاءِ وَتَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. فَلَمَّا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ كَمَا ذَكَرْنَا , فَاخْتَلَفُوا فِيهِ , كَشَفْنَاهُ , لِنَعْلَمَ مِنْ أَيْنَ جَاءَ الِاخْتِلَافُ , فَكَانَ ذِكْرُ أَيَّامِ الْأَقْرَاءِ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ زَيْنَبَ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ عَائِشَةَ , فَوَجَبَ أَنْ يَجْعَلَ رِوَايَتَهُ عَنْ زَيْنَبَ , غَيْرَ رِوَايَتِهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَكَانَ حَدِيثُ زَيْنَبَ الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , حَدِيثًا مُنْقَطِعًا لَا يُثْبِتُهُ أَهْلُ الْخَبَرِ لِأَنَّهُمْ لَا يَحْتَجُّونَ بِالْمُنْقَطِعِ وَإِنَّمَا جَاءَ انْقِطَاعُهُ , لِأَنَّ زَيْنَبَ لَمْ يُدْرِكْهَا الْقَاسِمُ وَلَمْ يُولَدْ فِي زَمَنِهَا , لِأَنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَهِيَ أَوَّلُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بَعْدَهُ. وَكَانَ حَدِيثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هُوَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ الْمُسْتَحَاضَةَ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , عَلَى مَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُبَيِّنْ أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ فَقَدْ وَجَدْنَا اسْتِحَاضَةً قَدْ تَكُونُ عَلَى مَعَانِي مُخْتَلِفَةٍ. فَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا مَعْرُوفَةٌ لَهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتَتَوَضَّأَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , لِأَنَّ دَمَهَا قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا , فَلَا يَنْقَطِعُ عَنْهَا , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَغْتَسِلَ لِكُلِّ صَلَاةٍ , لِأَنَّهَا لَا يَأْتِي عَلَيْهَا وَقْتٌ إِلَّا احْتَمَلَ أَنْ تَكُونَ فِيهِ حَائِضًا أَوْ طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ أَوْ مُسْتَحَاضَةً , فَيُحْتَاطُ لَهَا فَتُؤْمَرُ بِالْغُسْلِ. وَمِنْهَا أَنْ تَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا أَيَّامَ حَيْضِهَا , وَدَمُهَا غَيْرُ مُسْتَمِرٍّ بِهَا , يَنْقَطِعُ سَاعَةً , وَيَعُودُ بَعْدَ ذَلِكَ هَكَذَا هِيَ فِي أَيَّامِهَا كُلِّهَا. فَتَكُونُ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا فِي وَقْتِ انْقِطَاعِ دَمِهَا , إِذَا اغْتَسَلَتْ حِينَئِذٍ , غَيْرُ طَاهِرٍ مِنْ حَيْضٍ , طُهْرًا يُوجِبُ عَلَيْهَا غُسْلًا. فَلَهَا أَنْ تُصَلِّيَ فِي حَالِهَا تِلْكَ مَا أَرَادَتْ مِنَ الصَّلَوَاتِ بِذَلِكَ الْغُسْلِ إِنْ أَمْكَنَهَا ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا الْمَرْأَةَ قَدْ تَكُونُ مُسْتَحَاضَةً بِكُلِّ وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , الَّتِي مَعَانِيهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَأَحْكَامُهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَاسْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ يَجْمَعُهَا وَلَمْ نَجِدْ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ذَلِكَ , بَيَانُ اسْتِحَاضَةِ تِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا بِمَا ذَكَرْنَا , أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ لَمْ يَجُزْ لَنَا أَنْ نَحْمِلَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , دُونَ غَيْرِهِ , إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّنَا عَلَى ذَلِكَ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ دَلِيلًا؟ فَإِذَا
