শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০৭
যার নিকট শুধু খেজুরের নাবীয (ভিজানো পানি) রয়েছে সে এর দ্বারা উযূ করবে, না তায়াম্মুম করবে
৬০৭। আবু বাকরা (রাহঃ).... উমার (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাফি' (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জিন-রাতে রাসূলুল্লাহ্ -এর সঙ্গে ছিলেন। একপর্যায়ে রাসূলুল্লাহ্ পানির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন, যাতে এর দ্বারা উযূ করতে পারেন। তাঁর সঙ্গে শুধুমাত্র (খেজুরের) নাবীয ছিল রাসূলুল্লাহ্ বললেনঃ খেজুর পবিত্র, পানিও পাক। তারপর রাসূলুল্লাহ্ তা দিয়ে উযূ করলেন।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর ভাষ্য
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন: একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি সফরে খেজুরের নাবীয (ভিজানো পানি) ব্যতীত কিছু না পায় তাহলে সে এর দ্বারা উযূ করবে। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এ মত যারা পোষণ করেছেন, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন : খেজুরের নাবীয দ্বারা উযূ করবে না। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কিছু না পায় তাহলে সে তায়াম্মুম করবে, এর দ্বারা উযূ করবেনা। এমত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম।
প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দলের প্রমাণ : আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাহঃ) এর হাদীস যা আমরা অনুচ্ছেদের শুরুভাগে তাঁরই সূত্রে এরূপ যে পদ্ধতিতে উল্লেখ করেছি তা তাদের মতে প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, যারা খবরে ওয়াহিদকে গ্রহণ করেন। যেহেতু রাবী সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন নি। মুতাওয়াতির পদ্ধতিতে বর্ণিত রিওয়ায়াত হলে তা গ্রহণযোগ্য হত। সুতরাং এই রিওয়ায়াত মুতাবিক আমল করা উভয় দলের নিকট বাধ্যতামূলক নয়। উপরন্তু আবু উবায়দা ইন আব্দিল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে যা বর্ণিত আছে, সে অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত রাতে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ এর সঙ্গে ছিলেন না।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর ভাষ্য
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন: একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি সফরে খেজুরের নাবীয (ভিজানো পানি) ব্যতীত কিছু না পায় তাহলে সে এর দ্বারা উযূ করবে। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এ মত যারা পোষণ করেছেন, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন : খেজুরের নাবীয দ্বারা উযূ করবে না। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কিছু না পায় তাহলে সে তায়াম্মুম করবে, এর দ্বারা উযূ করবেনা। এমত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম।
প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দলের প্রমাণ : আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাহঃ) এর হাদীস যা আমরা অনুচ্ছেদের শুরুভাগে তাঁরই সূত্রে এরূপ যে পদ্ধতিতে উল্লেখ করেছি তা তাদের মতে প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, যারা খবরে ওয়াহিদকে গ্রহণ করেন। যেহেতু রাবী সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন নি। মুতাওয়াতির পদ্ধতিতে বর্ণিত রিওয়ায়াত হলে তা গ্রহণযোগ্য হত। সুতরাং এই রিওয়ায়াত মুতাবিক আমল করা উভয় দলের নিকট বাধ্যতামূলক নয়। উপরন্তু আবু উবায়দা ইন আব্দিল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে যা বর্ণিত আছে, সে অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত রাতে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ এর সঙ্গে ছিলেন না।
607 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، مَوْلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْجِنِّ وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَاجَ إِلَى مَاءٍ يَتَوَضَّأُ بِهِ وَلَمْ يَكُنْ مَعَهُ إِلَّا النَّبِيذُ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَمْرَةٌ طَيِّبَةٌ , وَمَاءٌ طَهُورٌ» فَتَوَضَّأَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ لَمْ يَجِدْ إِلَّا نَبِيذَ التَّمْرِ فِي سَفَرِهِ تَوَضَّأَ بِهِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يُتَوَضَّأُ بِنَبِيذِ التَّمْرِ , وَمَنْ لَمْ يَجِدْ غَيْرَهُ , تَيَمَّمَ , وَلَا يَتَوَضَّأُ بِهِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ أَبُو يُوسُفَ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ هَذَا الْقَوْلِ عَلَى أَهْلِ الْقَوْلِ الْأَوَّلِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ إِنَّمَا رُوِيَ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِنَ الطُّرُقِ الَّتِي وَصَفْنَا , وَلَيْسَتْ هَذِهِ الطُّرُقُ , طُرُقًا تَقُومُ بِهَا الْحُجَّةُ عِنْدَ مَنْ يَقْبَلُ خَبَرَ الْوَاحِدِ , وَلَمْ يَجِئْ , أَيْضًا الْمَجِيءَ الظَّاهِرَ. فَيَجِبُ عَلَى مَنْ يَسْتَعْمِلُ الْخَبَرَ إِذَا تَوَاتَرَتِ الرِّوَايَاتُ بِهِ. فَهَذَا مِمَّا لَا يَجِبُ اسْتِعْمَالُهُ , لِمَا ذَكَرْنَا , عَلَى مَذْهَبِ الْفَرِيقَيْنِ الَّذِينَ ذَكَرْنَا. وَلَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ عَبْدَ اللهِ , لَمْ يَكُنْ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَتئِذٍ
