শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৯
জুনুবী,হায়যা নারী ও ওযু নেই এমন ব্যাক্তির কুরআন পাঠ সম্পর্কে।
৫৮৯. ফাহাদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)পায়খানা থেকে বের হওয়ার পরে সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করতেন।
তাঁরা বলেছেনঃ বস্তুত এই হাদীস আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের রহিত হওয়ার প্রমাণ বহন করে। আপনারা রিওয়ায়াত করেছেন যে, "রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন।”
উত্তরে তাকে বলা হবেঃ তাতে তোমাদের উল্লিখিত বিষয়ের কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু সম্ভাবনা আছে যে, তিনি সর্বাবস্থায় অর্থাৎ তাহারাত (পবিত্র) ও হাদাস (উযূ ছাড়া) অবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন। এভাবে আর হাদীস সমূহের মাঝে বৈপরিত্য থাকে না। এতদসত্ত্বেও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ "আমি সালাতের ইচ্ছা পোষণকালে উযূ করি” তার পরিপন্থী। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি শুধুমাত্র সালাতের ইচ্ছা পোষণকালে উযূ করতেন। সুতরাং এটারও সম্ভাবনা আছে যে, আয়েশা (রাযিঃ) যে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি পায়খানা থেকে বের হওয়ার পর উযূ করেছেন, তা ছিল তাঁর সালাতের ইচ্ছা পোষণ কালে, পায়খানা থেকে বের হওয়ার কারণে নয়। আবার এটাও হতে পারে, তিনি উল্লিখিত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার আমলের সংবাদ দিয়েছেন, আর খালিদ ইবন সালামা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে তাঁর সেই আমলের সংবাদ, যা তিনি আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরে করতেন। ফলে তাঁর (আয়েশা রা) থেকে বর্ণিত হাদীস এবং অন্যদের থেকে বর্ণিত হাদীসের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান হয়ে যায়, কোনরূপ বৈপরিত্য থাকে না।
তাঁরা বলেছেনঃ বস্তুত এই হাদীস আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের রহিত হওয়ার প্রমাণ বহন করে। আপনারা রিওয়ায়াত করেছেন যে, "রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন।”
উত্তরে তাকে বলা হবেঃ তাতে তোমাদের উল্লিখিত বিষয়ের কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু সম্ভাবনা আছে যে, তিনি সর্বাবস্থায় অর্থাৎ তাহারাত (পবিত্র) ও হাদাস (উযূ ছাড়া) অবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন। এভাবে আর হাদীস সমূহের মাঝে বৈপরিত্য থাকে না। এতদসত্ত্বেও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ "আমি সালাতের ইচ্ছা পোষণকালে উযূ করি” তার পরিপন্থী। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি শুধুমাত্র সালাতের ইচ্ছা পোষণকালে উযূ করতেন। সুতরাং এটারও সম্ভাবনা আছে যে, আয়েশা (রাযিঃ) যে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি পায়খানা থেকে বের হওয়ার পর উযূ করেছেন, তা ছিল তাঁর সালাতের ইচ্ছা পোষণ কালে, পায়খানা থেকে বের হওয়ার কারণে নয়। আবার এটাও হতে পারে, তিনি উল্লিখিত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার আমলের সংবাদ দিয়েছেন, আর খালিদ ইবন সালামা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে তাঁর সেই আমলের সংবাদ, যা তিনি আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরে করতেন। ফলে তাঁর (আয়েশা রা) থেকে বর্ণিত হাদীস এবং অন্যদের থেকে বর্ণিত হাদীসের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান হয়ে যায়, কোনরূপ বৈপরিত্য থাকে না।
589 - بِمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ:: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: أنا زُهَيْرٌ , قَالَ: ثنا جَابِرٌ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «مَا أَتَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَلَاءَ إِلَّا تَوَضَّأَ حِينَ يَخْرُجُ مِنْهُ , وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ» قَالُوا: فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى فَسَادِ مَا رَوَيْتُمُوهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَذْكُرُ اللهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ. قِيلَ لَهُ: مَا فِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَ يَتَوَضَّأُ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ وَلَا يَتَوَضَّأُ إِذَا بَالَ فَيَكُونُ ذَلِكَ الْحِينُ , حِينَ حَدَّثَ قَدْ كَانَ يَذْكُرُ اللهَ فِيهِ. فَيَكُونُ مَعْنَى قَوْلِهَا «كَانَ يَذْكُرُ اللهَ فِي كُلِّ أَحْيَانِهِ» أَيْ فِي حِينِ طَهَارَتِهِ وَحَدَثِهِ , حَتَّى لَا يَتَضَادَّ الْآثَارُ. مَعَ أَنَّهُ قَدْ خَالَفَ ذَلِكَ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَالَ: «لَا أُرِيدُ الصَّلَاةَ فَأَتَوَضَّأَ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَتَوَضَّأُ إِلَّا وَهُوَ يُرِيدُ الصَّلَاةَ. فَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مَا حَضَرَتْ مِنْهُ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنَ الْوُضُوءِ عِنْدَ خُرُوجِهِ , إِنَّمَا هُوَ لِإِرَادَتِهِ الصَّلَاةَ , لَا لِلْخُرُوجِ مِنَ الْخَلَاءِ. وَيُحْتَمَلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ إِخْبَارًا مِنْهَا عَمَّا كَانَ يَفْعَلُ قَبْلَ نُزُولِ الْآيَةِ , وَمَا فِي حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ إِخْبَارًا مِنْهَا بِمَا كَانَ يَفْعَلُ بَعْدَ نُزُولِ الْآيَةِ , حَتَّى يَتَّفِقَ مَا رُوِيَ عَنْهَا , وَمَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِهَا وَلَا يَتَضَادَّ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ
