শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৭১
জুনুবী,হায়যা নারী ও ওযু নেই এমন ব্যাক্তির কুরআন পাঠ সম্পর্কে।
৫৭১. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন আলকামা ইবন ফাগওয়া তার পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসূলুল্লাহ (স) যখন জানাবাত অবস্থায় থাকতেন তখন আমরা তার সঙ্গে কথা বলতাম।তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন না,আমরা তাকে সালাম করতাম, কিন্তু তিনি আমাদের উত্তর দিতেন না।তারপর এ আয়াত অবতীর্ণ করা হলো:
….. (হে মু'মিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে)।
আলোচনা
এই হাদীসে আলকামা (রাযিঃ) নবী (স) থেকে বলেন যে, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে নবী (স) এর নিকট জুনুবীর বিধান ছিল সে না তো কথা বলবে, না সালামের জওয়াব দিবে।তারপর আল্লাহ তা'আলা এই আয়াতের দ্বারা ওই বিধানকে রহিত করে দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র এর দ্বারা সেই ব্যক্তির তাহারাত অর্জন করা আবশ্যক হবে। এতে প্রমাণিত হল যে,আবু জাহম (রাযিঃ) এর হাদীস অনুরুপভাবে ইবন উমার (রাযিঃ), ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও মুহাজির (রাযিঃ) বর্ণিত সব কয়টি হাদীস রহিত হয়ে গিয়েছে।আর আলী (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত করা বিধান সেই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত করা বিধান অপেক্ষা পরবর্তীকালের।
এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেঃ
….. (হে মু'মিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে)।
আলোচনা
এই হাদীসে আলকামা (রাযিঃ) নবী (স) থেকে বলেন যে, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে নবী (স) এর নিকট জুনুবীর বিধান ছিল সে না তো কথা বলবে, না সালামের জওয়াব দিবে।তারপর আল্লাহ তা'আলা এই আয়াতের দ্বারা ওই বিধানকে রহিত করে দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র এর দ্বারা সেই ব্যক্তির তাহারাত অর্জন করা আবশ্যক হবে। এতে প্রমাণিত হল যে,আবু জাহম (রাযিঃ) এর হাদীস অনুরুপভাবে ইবন উমার (রাযিঃ), ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও মুহাজির (রাযিঃ) বর্ণিত সব কয়টি হাদীস রহিত হয়ে গিয়েছে।আর আলী (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত করা বিধান সেই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত করা বিধান অপেক্ষা পরবর্তীকালের।
এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেঃ
571 - قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو كُرَيْبٍ قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ , عَنْ شَيْبَانَ , عَنْ جَابِرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ الْفَغْوَاءِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَهْرَاقَ الْمَاءَ إِنَّمَا نُكَلِّمُهُ فَلَا يُكَلِّمُنَا , وَنُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَلَا يَرُدُّ عَلَيْنَا , حَتَّى نَزَلَتْ {» يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ "} [المائدة: 6] فَأَخْبَرَ عَلْقَمَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنَّ حُكْمَ الْجُنُبِ كَانَ عِنْدَهُ , قَبْلَ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ , أَنْ لَا يَتَكَلَّمَ وَأَنْ لَا يَرُدَّ السَّلَامَ , حَتَّى نَسَخَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآيَةِ , فَأَوْجَبَ بِهَا الطَّهَارَةَ عَلَى مَنْ أَرَادَ الصَّلَاةَ خَاصَّةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ أَبِي الْجَهْمِ , وَحَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَالْمُهَاجِرِ , مَنْسُوخَةٌ كُلُّهَا , وَأَنَّ الْحُكْمَ الَّذِي فِي حَدِيثِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مُتَأَخِّرٌ عَنِ الْحُكْمِ الَّذِي فِيهَا
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
