শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩০. ইউনুস (র.) শুআইব ইব্‌ন লায়স তাঁর পিতা লায়স (র.) ইব্‌নে শিহাব (র.) .... আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকর ইব্‌ন মুহাম্মাদ (র.) উরওয়া ইব্‌ন যুবাইর (র.) ...... মারওয়ান ইব্‌ন হাকাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করা আবশ্যিক। মারওয়ান বলেনঃ আমাকে বুসরা বিনতে সফওয়ান (রা.) এ সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বুসরা (রা.) এর নিকট লোক পাঠালে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার যে সমস্ত কারণে উযূ করা হয় তা উল্লেখ করেছেন। তারপর লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কথাও উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (র.) বলেনঃ
এই রিওয়ায়াতটি ইমাম যুহূরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকর (র.) থেকে, তিনি উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে এর মর্যাদা লাঘব হয়েছে। যেহেতু উরওয়া (র.) থেকে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকর (র.)-এর রিওয়ায়াত, উরওয়া (র.) থেকে যুহূরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের সমতুল্য নয় এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকর (র.) হাদীস বিষয়ে হাদীস বিশারদদের নিকট মযবূত ও নির্ভরযোগ্য রাবী নন। ইয়াহইয়া ইব্‌ন উসমান (র.) ..... ইব্‌ন উয়ায়না (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আমরা কাউকে অমুক অমুক ব্যক্তিদের থেকে, যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকরও অন্তর্ভুক্ত কোন একজনের নিকট হাদীস লিখতে দেখতাম তখন আমরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতাম। যেহেতু তারা হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেন না। আর তোমরা তো (প্রথমোক্ত মত পোষণকারী) এরূপ লোকদেরকেও দুর্বল সাব্যস্ত করছ, যাদের বিরুদ্ধে ইব্‌ন উয়ায়না (র.)-এর সমালোচনার চাইতে অপেক্ষাকৃত হালকা অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অপরাপর আলিমগণ বলেনঃ বস্তুত এ হাদীসে যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) ......... এর মাঝখানে আবু বাকর ইব্‌ন মুহাম্মাদ (র.) বিদ্যমান রয়েছেন।
كتاب الطهارة
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
430 - وَذَلِكَ أَنَّ يُونُسَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ , قَالَ: " الْوُضُوءُ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ قَالَ مَرْوَانُ: أَخْبَرَتْنِيهِ بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ , فَأَرْسَلَ إِلَى بُسْرَةَ فَقَالَتْ: ذَكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يُتَوَضَّأُ مِنْهُ فَذَكَرَ مَسَّ الذَّكَرِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَصَارَ هَذَا الْأَثَرُ إِنَّمَا هُوَ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عُرْوَةَ. فَقَدْ حَطَّ بِذَلِكَ دَرَجَةً لِأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ لَيْسَ حَدِيثُهُ عَنْ عُرْوَةَ , كَحَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ , وَلَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عِنْدَهُمْ، فِي حَدِيثِهِ بِالْمُتْقِنِ
431 - لَقَدْ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: ثنا ابْنُ وَزِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: «كُنَّا إِذَا رَأَيْنَا الرَّجُلَ يَكْتُبُ الْحَدِيثَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْ نَفَرٍ سَمَّاهُمْ , مِنْهُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , سَخِرْنَا مِنْهُ , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْرِفُونَ الْحَدِيثَ» وَأَنْتُمْ فَقَدْ تُضَعِّفُونَ مَا هُوَ مِثْلُ هَذَا بِأَقَلَّ مِنْ كَلَامِ مِثْلِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّ الَّذِي بَيْنَ الزُّهْرِيِّ وَبَيْنَ عُرْوَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدٍ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান