শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০২
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
৩০২. আবু বাকরা (রাহঃ)...... আব্দুল করীম ইবন রশীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-কে সেই চাদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যাতে বীর্য লেগেছে কিন্তু তা কোথায় লেগেছে তা জানা যায় না। তিনি বললেনঃ তা ধুয়ে ফেল।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি তাতে এর স্পষ্ট বিধান সম্পর্কে কোনরূপ প্রমাণ নেই, তাই যুক্তির নিরিখে আমরা তা বিবেচনা করছি। আমরা দেখি বীর্য নির্গত হওয়া সর্বাপেক্ষা 'গলীজ হাদাস'। কেননা এটা সর্বাপেক্ষা বড় তাহারাত (গোসল) কে ওয়াজিব করে। আমরা সেই সমস্ত বস্তুর সত্তাগতভাবে কিরূপ বিধান তা দেখার প্রয়াস পাব, যা বের হওয়া হাদাস হিসেবে বিবেচিত। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব-পায়খানা নির্গত হওয়া হাদাস আর এ উভয়টি সত্তাগতভাবে নাপাক। অনুরূপভাবে হায়য ও ইসতিহাযা'র রক্ত , উভয়টি হাদাস এবং সত্তাগতভাবে উভয়টি নাপাক । যুক্তির দাবি মতে ধমনী থেকে প্রবাহমান রক্তের অবস্থাও অনুরূপ।বস্তুত যখন আমাদের বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত হল, এমন প্রত্যেক বস্তু যা নির্গত হওয়া হাদাস, তা সত্তাগতভাবে নাপাক। আর এটা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে , বীর্য নির্গত হওয়া হাদাস। তাহলে এটাও সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে, তা সত্তাগতভাবে নাপাক। এতে এটাই যুক্তি। তবে তা শুকনো অবস্থায় আমরা নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের আলোকে এর বৈধতার উপর আমল করে থাকি। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি তাতে এর স্পষ্ট বিধান সম্পর্কে কোনরূপ প্রমাণ নেই, তাই যুক্তির নিরিখে আমরা তা বিবেচনা করছি। আমরা দেখি বীর্য নির্গত হওয়া সর্বাপেক্ষা 'গলীজ হাদাস'। কেননা এটা সর্বাপেক্ষা বড় তাহারাত (গোসল) কে ওয়াজিব করে। আমরা সেই সমস্ত বস্তুর সত্তাগতভাবে কিরূপ বিধান তা দেখার প্রয়াস পাব, যা বের হওয়া হাদাস হিসেবে বিবেচিত। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব-পায়খানা নির্গত হওয়া হাদাস আর এ উভয়টি সত্তাগতভাবে নাপাক। অনুরূপভাবে হায়য ও ইসতিহাযা'র রক্ত , উভয়টি হাদাস এবং সত্তাগতভাবে উভয়টি নাপাক । যুক্তির দাবি মতে ধমনী থেকে প্রবাহমান রক্তের অবস্থাও অনুরূপ।বস্তুত যখন আমাদের বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত হল, এমন প্রত্যেক বস্তু যা নির্গত হওয়া হাদাস, তা সত্তাগতভাবে নাপাক। আর এটা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে , বীর্য নির্গত হওয়া হাদাস। তাহলে এটাও সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে, তা সত্তাগতভাবে নাপাক। এতে এটাই যুক্তি। তবে তা শুকনো অবস্থায় আমরা নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের আলোকে এর বৈধতার উপর আমল করে থাকি। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
302 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ، قَالَ: ثنا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ رَشِيدٍ، قَالَ: سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ قَطِيفَةٍ، أَصَابَتْهَا جَنَابَةٌ لَا يَدْرِي أَيْنَ مَوْضِعُهَا , قَالَ: «اغْسِلْهَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا اخْتَلَفَ فِيهِ هَذَا الِاخْتِلَافَ , وَلَمْ يَكُنْ فِيمَا رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِهِ كَيْفَ هُوَ؟ اعْتَبَرْنَا ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَوَجَدْنَا خُرُوجَ الْمَنِيِّ حَدَثًا أَغْلَظَ الْأَحْدَاثِ , لِأَنَّهُ يُوجِبُ أَكْبَرَ الطَّهَارَاتِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الْأَشْيَاءِ الَّتِي خُرُوجُهَا حَدَثٌ كَيْفَ حُكْمُهَا فِي نَفْسِهَا؟ . فَرَأَيْنَا الْغَائِطَ وَالْبَوْلَ , خُرُوجُهُمَا حَدَثٌ , وَهُمَا نَجَسَانِ فِي أَنْفُسِهِمَا. وَكَذَلِكَ دَمُ الْحَيْضِ وَالِاسْتِحَاضَةِ , هُمَا حَدَثٌ , وَهُمَا نَجَسَانِ فِي أَنْفُسِهِمَا , وَدَمُ الْعُرُوقِ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ كُلَّ مَا كَانَ خُرُوجُهُ حَدَثًا , فَهُوَ نَجَسٌ فِي نَفْسِهِ , وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ خُرُوجَ الْمَنِيِّ حَدَثٌ , ثَبَتَ أَيْضًا أَنَّهُ فِي نَفْسِهِ نَجَسٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِيهِ , غَيْرَ أَنَا اتَّبَعْنَا فِي إِبَاحَةِ حُكْمِهِ، إِذَا كَانَ يَابِسًا، مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
