শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি সহবাস করে; কিন্তু বীর্যপাত হয় না
৩০৩-৩০৪. ইয়াজীদ ইবন সিনান (রাহঃ)..... যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার উসমান ইবন আফফান (রাযিঃ)-কে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন, যে (স্ত্রী) সহবাস করে কিন্তু বীর্যপাত হয় না। তিনি বললেনঃ তার জন্য তাহারাত (পবিত্রতা) অর্জন করা আবশ্যক। তারপর তিনি বলেছেনঃ আমি এ বিষয়টি নবী (স) থেকে শুনেছি। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি (এ বিষয়ে) আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ), জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ), তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) ও উবায় ইবন কা’ব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা সকলে এটাই বলেছেন। রাবী বলেনঃ আমাকে উরওয়া (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু আয়্যূব (রাযিঃ)-কে এ (বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করেছেন। তিনিও এটাই বলেছেন।
كتاب الطهارة
بَابُ الَّذِي يُجَامِعُ وَلَا يُنْزِلُ
303 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: ثنا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ " أَنَّهُ سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ فَلَا يُنْزِلُ قَالَ: لَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا الطُّهُورُ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَسَأَلْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ , وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ، وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ , فَقَالُوا ذَلِكَ. قَالَ: وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ قَالَ:
304 - حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ , فَقَالَ ذَلِكَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসেও গোসল ফরয হয়। মুসলিম শরীফে হযরত আবু মুসা আশআ’রী রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসে গোসল ফরয হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন যে, শুধু সহবাস হলেই গোসল ফরয হবে। (মুসলিম-৬৭৮) এ থেকে বুঝা যায় যে, এ বিষয়টি নিয়ে সাহাবায়ে কিরামের শুরু যুগে মতবিরোধ থাকলেও তাঁদের সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো গোসল করতে হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/১৬১) সুতরাং হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যিনি এ বিষয়ে অন্য যে কারো চেয়ে ভালো জানতেন। সুতরাং কোন সাহাবার ভিন্ন মত থাকলেও হযরত আয়েশা রা.-এর মত ও বর্ণনা অগ্রাধিকারের জোর দাবী রাখে।
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)