শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯০.ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মনী সম্পর্কে বলেনঃ যদি কাপড়ে মনী লেগে যায় এবং তুমি তা দেখতে পাও তবে ধৌত করে ফেলবে, আর যদি দেখতে না পাও তাহলে তাতে পানি ছিটিয়ে দিও।
২৯১. আবু বাকরা (রাহঃ)......শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯২. সুলায়ামান ইবন শু’আইব (রাহঃ)..... আবু বাকর ইবন হাফস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার চাচাকে শুনেছি, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯৩.ইবন মারজূক (রাহঃ)...... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ এটা (মনী) তাঁর (আয়িশার) মতে নাপাক হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। এই মতাবলম্বীকে বলে হবে, এই হাদীসে আপনার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু যদি আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে এর বিধান পেশাব-পায়খানা ও রক্তসহ অপরাপর সমস্ত নাজাসাতের ন্যায় হত তাহলে তিনি সমস্ত কাপড় ধৌত করার নির্দেশ প্রদান করতেন, যদি নাজাসাতের স্থান জানা না থাকত। দেখ না যদি কাপড়ে পেশাপ লেগে যায় এবং এর স্থান অস্পষ্ট হয় তখন শুধু পানি ছিটানোর দ্বারা তা পাক হয় না। বরং পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক হয়, যতক্ষণ না জানা যায় তা নাজাসাত থেকে পাক হয়েছে। অতএব যখন আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে মনী’র বিধান হল, যখন কাপড়ে এর লাগার স্থান জানা না থাকে (পানির) ছিটা মেরে দিবে। এতে সাব্যস্ত হল, তাঁর মতে এর বিধান অপরাপর নাজাসাতের (বিধান) থেকে ভিন্ন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবাগণ বিরোধ করেছেন। এ সম্পর্কে তাঁদের থেকে (নিম্নরূপ) বর্ণিত আছেঃ
২৯১. আবু বাকরা (রাহঃ)......শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯২. সুলায়ামান ইবন শু’আইব (রাহঃ)..... আবু বাকর ইবন হাফস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার চাচাকে শুনেছি, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯৩.ইবন মারজূক (রাহঃ)...... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ এটা (মনী) তাঁর (আয়িশার) মতে নাপাক হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। এই মতাবলম্বীকে বলে হবে, এই হাদীসে আপনার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু যদি আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে এর বিধান পেশাব-পায়খানা ও রক্তসহ অপরাপর সমস্ত নাজাসাতের ন্যায় হত তাহলে তিনি সমস্ত কাপড় ধৌত করার নির্দেশ প্রদান করতেন, যদি নাজাসাতের স্থান জানা না থাকত। দেখ না যদি কাপড়ে পেশাপ লেগে যায় এবং এর স্থান অস্পষ্ট হয় তখন শুধু পানি ছিটানোর দ্বারা তা পাক হয় না। বরং পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক হয়, যতক্ষণ না জানা যায় তা নাজাসাত থেকে পাক হয়েছে। অতএব যখন আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে মনী’র বিধান হল, যখন কাপড়ে এর লাগার স্থান জানা না থাকে (পানির) ছিটা মেরে দিবে। এতে সাব্যস্ত হল, তাঁর মতে এর বিধান অপরাপর নাজাসাতের (বিধান) থেকে ভিন্ন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবাগণ বিরোধ করেছেন। এ সম্পর্কে তাঁদের থেকে (নিম্নরূপ) বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
290 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعْبَةَ , عَنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ فِي الْمَنِيِّ إِذَا أَصَابَ الثَّوْبَ: «إِذَا رَأَيْتَهُ فَاغْسِلْهُ وَإِنْ لَمْ تَرَهُ فَانْضَحْهُ»
291 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
292 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أنا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
293 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ: فَهَذَا , قَدْ دَلَّ عَلَى نَجَاسَتِهِ عِنْدَهَا. قِيلَ: لَهُ مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حُكْمُهُ عِنْدَهَا , حُكْمُ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ , لَأَمَرَتْ بِغَسْلِ الثَّوْبِ كُلِّهِ إِذَا لَمْ يَعْرِفْ مَوْضِعَهُ مِنْهُ.أَلَا تَرَى أَنَّ ثَوْبًا لَوْ أَصَابَهُ بَوْلٌ فَخَفِيَ مَكَانُهُ أَنَّهُ لَا يُطَهِّرُهُ النَّضْحُ وَأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ غَسْلِهِ كُلِّهِ , حَتَّى يَعْلَمَ طَهُورَهُ مِنَ النَّجَاسَةِ. فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ الْمَنِيِّ، عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، إِذَا كَانَ مَوْضِعُهُ مِنَ الثَّوْبِ , غَيْرَ مَعْلُومٍ، النَّضْحُ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَهُ , كَانَ عِنْدَهَا , بِخِلَافِ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَرُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ
291 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
292 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أنا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
293 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ: فَهَذَا , قَدْ دَلَّ عَلَى نَجَاسَتِهِ عِنْدَهَا. قِيلَ: لَهُ مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حُكْمُهُ عِنْدَهَا , حُكْمُ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ , لَأَمَرَتْ بِغَسْلِ الثَّوْبِ كُلِّهِ إِذَا لَمْ يَعْرِفْ مَوْضِعَهُ مِنْهُ.أَلَا تَرَى أَنَّ ثَوْبًا لَوْ أَصَابَهُ بَوْلٌ فَخَفِيَ مَكَانُهُ أَنَّهُ لَا يُطَهِّرُهُ النَّضْحُ وَأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ غَسْلِهِ كُلِّهِ , حَتَّى يَعْلَمَ طَهُورَهُ مِنَ النَّجَاسَةِ. فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ الْمَنِيِّ، عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، إِذَا كَانَ مَوْضِعُهُ مِنَ الثَّوْبِ , غَيْرَ مَعْلُومٍ، النَّضْحُ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَهُ , كَانَ عِنْدَهَا , بِخِلَافِ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَرُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ
