শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৬
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১৬.আবু বাকরা (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুসাবির (রাহঃ) থেকে অথবা ইব্ন আবী মুসাবির (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ)-কে কৃপণতার ব্যাপারে ধমকাচ্ছেন আর বলছেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি মু'মিন নয়, যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এতে তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, সেই ব্যক্তি প্রতিবেশীর সহযােগিতা ত্যাগ করায় ঈমান থেকে বের হয়ে কুফরীতে পৌছে গেছে; বরং এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ঈমানের উঁচু মর্যাদা লাভ হয় নাই। অনুরূপ অনেক উদাহরণ আছে, যা উল্লেখ করলে গ্রন্থের পরিসর দীর্ঘ হয়ে যাবে। একইভাবে তাঁর ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না”-এর মর্ম এটি নয় যে, সেই ব্যক্তি এমন উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা তাকে অপবিত্রতা থেকে বের করেনি; বরং এর মর্ম হচ্ছে, সেই ব্যক্তি পূর্ণ উযূর সাথে উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা ছওয়াব লাভের অন্যতম এক মাধ্যম। সুতরাং যখন এই হাদীস সেই মর্মের সম্ভাবনা রাখে, যা আমরা বর্ণনা করেছি, আর এখানে এরূপ কোন প্রমাণ বিদ্যমান নেই, যাতে এক ব্যাখ্যা অপর ব্যাখ্যার উপর নিশ্চিতভাবে প্রাধান্য পেতে পারে, তাই এর অর্থ মুহাজির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থের অনুকূলে সাব্যস্ত করা আবশ্যক, যেন উভয়ের মাঝে পারস্পরিক বৈপরিত্য সৃষ্টি না হয়।
অতএব প্রমাণিত হল যে, বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত উযূ দ্বারাও উযূকারী ব্যক্তি অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতার দিকে বের হয়ে আসে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এমন কতেক বস্তু আছে। যাতে কথা বা বাক্য ব্যতীত প্রবেশ করা যায় না বা সম্পাদিত হয় না। তার মধ্যে রয়েছে সেই সমস্ত লেনদেন যা লােকদের মাঝে বেচা-কেনা, ইজারা, বিবাহ ও খুলা ইত্যাদি রূপে প্রচলিত আছে। এই সমস্ত বস্তু বাক্য বা কথা বলা ব্যতীত সম্পন্ন হয় না, বরং বিষয়ের উল্লেখ সম্বলিত কথার মাধ্যমে তা সম্পাদিত হয়। যেমন মানুষ বলে থাকেঃ আমি তােমার কাছে বিক্রি করেছি, আমি তােমাকে বিবাহ করেছি, আমি তােমার সাথে খুলা করেছি। এগুলাে সেই সমস্ত বাক্য, যাতে লেনদেনের উল্লেখ আছে। আবার কিছু বস্তু আছে, যাতে বিশেষ কথা দ্বারা প্রবেশ করা যায়। তা হচ্ছে সালাত এবং হজ্জ। সালাতে তাকবীরের দ্বারা এবং হজ্জে তালবিয়া দ্বারা প্রবেশ করা যায়। সুতরাং সালাতে তাকবীর’ এবং হজ্জে তালবিয়া’ এগুলাের রুকনের অন্তর্ভুক্ত।
এবার আমরা উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলার দিকে লক্ষ্য করব, তা পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলাের কোনটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কি-না ? আমরা দেখেছি যে, তাতে কোন বস্তু সম্পন্ন করার উল্লেখ নেই, যেমনটি বিবাহ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে রয়েছে। এইজন্য বিসমিল্লাহ্ বলা সেই বস্তুর বিধান থেকে ভিন্ন হবে। আর বিসমিল্লাহ্ বলা উযূর কোন রুকনও নয়। যেমনিভাবে তাকবীর বলা সালাতের একটি রুকন এবং তালবিয়া বলা হজ্জের একটি রুকন। অনুরূপভাবে এর দ্বারা এর বিধান তাকবীর ও তালবিয়ার বিধান থেকেও পৃথক হয়ে গেল। অতএব এতে সেই ব্যক্তির বক্তব্য নাকচ হয়ে গেল, যে ব্যক্তি বলে যে, উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলা অনুরূপভাবে আবশ্যক, যেমনিভাবে এই সমস্ত বস্তুগুলাে সংশ্লিষ্ট ইবাদাতসমূহের মধ্যে আবশ্যক।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জবাই করার সময় জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তা পরিত্যাগ করবে তার জবাইকৃত জন্তু খাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলাও আবশ্যক।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ যুক্তির নিরিখে যা প্রমাণিত হয় তা হচ্ছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জবাই করার জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ বলা পরিত্যাগ করবে সেটি ভক্ষণ না করার ব্যাপারে আলিমদের মতবিরােধ আছে। কতেক আলিম বলেছেন, ভক্ষণ করা যাবে, কতেক আলিম বলেছেন, যাবে না। যারা বলেছেন ভক্ষণ করা যাবে তাদের অভিমতের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনা যথেষ্ট। আর যারা বলেছেন যে, ভক্ষণ করা যাবে না, বস্তুত তারা বলেছেন, যদি ভুলে তা পরিত্যাগ করে তাহলে ভক্ষণ করা যাবে । জবাইকারী মুসলমান হউক বা আহলে ফিরাকের কাফির হউক, তা তাদের নিকট সমান। সুতরাং এখানে সেই ব্যক্তির কথামতে যে কি-না জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করে তারা মিল্লাত তথা আহলে কিতাব হওয়ার বর্ণনার জন্য। যদি জবাইকারী বিসমিল্লাহ্ পড়ে তাহলে এটি সে সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদের জবাই করা জন্তু ভক্ষণ করা হয়। আর যখন বিসমিল্লাহ্ পড়বে না, তখন এটি সেই সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদেরটি ভক্ষণ করা হয় না। পক্ষান্তরে উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়া কোন মিল্লাত প্রকাশের জন্য নয়; বরং এটি সালাতের কারণসমূহ থেকে একটি কারণের যিকরের স্বরূপ । সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি উযূ করা এবং সতর ঢাকা সালাতের কারণ (ও শর্ত )-সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত সতর ঢেকে নেয়, এতে কোনরূপ অসুবিধা হয় না। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যদি কেউ বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত তাহারাত তথা উযূ করে তাতেও অসুবিধা হবে না। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এতে তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, সেই ব্যক্তি প্রতিবেশীর সহযােগিতা ত্যাগ করায় ঈমান থেকে বের হয়ে কুফরীতে পৌছে গেছে; বরং এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ঈমানের উঁচু মর্যাদা লাভ হয় নাই। অনুরূপ অনেক উদাহরণ আছে, যা উল্লেখ করলে গ্রন্থের পরিসর দীর্ঘ হয়ে যাবে। একইভাবে তাঁর ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না”-এর মর্ম এটি নয় যে, সেই ব্যক্তি এমন উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা তাকে অপবিত্রতা থেকে বের করেনি; বরং এর মর্ম হচ্ছে, সেই ব্যক্তি পূর্ণ উযূর সাথে উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা ছওয়াব লাভের অন্যতম এক মাধ্যম। সুতরাং যখন এই হাদীস সেই মর্মের সম্ভাবনা রাখে, যা আমরা বর্ণনা করেছি, আর এখানে এরূপ কোন প্রমাণ বিদ্যমান নেই, যাতে এক ব্যাখ্যা অপর ব্যাখ্যার উপর নিশ্চিতভাবে প্রাধান্য পেতে পারে, তাই এর অর্থ মুহাজির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থের অনুকূলে সাব্যস্ত করা আবশ্যক, যেন উভয়ের মাঝে পারস্পরিক বৈপরিত্য সৃষ্টি না হয়।
অতএব প্রমাণিত হল যে, বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত উযূ দ্বারাও উযূকারী ব্যক্তি অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতার দিকে বের হয়ে আসে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এমন কতেক বস্তু আছে। যাতে কথা বা বাক্য ব্যতীত প্রবেশ করা যায় না বা সম্পাদিত হয় না। তার মধ্যে রয়েছে সেই সমস্ত লেনদেন যা লােকদের মাঝে বেচা-কেনা, ইজারা, বিবাহ ও খুলা ইত্যাদি রূপে প্রচলিত আছে। এই সমস্ত বস্তু বাক্য বা কথা বলা ব্যতীত সম্পন্ন হয় না, বরং বিষয়ের উল্লেখ সম্বলিত কথার মাধ্যমে তা সম্পাদিত হয়। যেমন মানুষ বলে থাকেঃ আমি তােমার কাছে বিক্রি করেছি, আমি তােমাকে বিবাহ করেছি, আমি তােমার সাথে খুলা করেছি। এগুলাে সেই সমস্ত বাক্য, যাতে লেনদেনের উল্লেখ আছে। আবার কিছু বস্তু আছে, যাতে বিশেষ কথা দ্বারা প্রবেশ করা যায়। তা হচ্ছে সালাত এবং হজ্জ। সালাতে তাকবীরের দ্বারা এবং হজ্জে তালবিয়া দ্বারা প্রবেশ করা যায়। সুতরাং সালাতে তাকবীর’ এবং হজ্জে তালবিয়া’ এগুলাের রুকনের অন্তর্ভুক্ত।
এবার আমরা উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলার দিকে লক্ষ্য করব, তা পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলাের কোনটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কি-না ? আমরা দেখেছি যে, তাতে কোন বস্তু সম্পন্ন করার উল্লেখ নেই, যেমনটি বিবাহ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে রয়েছে। এইজন্য বিসমিল্লাহ্ বলা সেই বস্তুর বিধান থেকে ভিন্ন হবে। আর বিসমিল্লাহ্ বলা উযূর কোন রুকনও নয়। যেমনিভাবে তাকবীর বলা সালাতের একটি রুকন এবং তালবিয়া বলা হজ্জের একটি রুকন। অনুরূপভাবে এর দ্বারা এর বিধান তাকবীর ও তালবিয়ার বিধান থেকেও পৃথক হয়ে গেল। অতএব এতে সেই ব্যক্তির বক্তব্য নাকচ হয়ে গেল, যে ব্যক্তি বলে যে, উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলা অনুরূপভাবে আবশ্যক, যেমনিভাবে এই সমস্ত বস্তুগুলাে সংশ্লিষ্ট ইবাদাতসমূহের মধ্যে আবশ্যক।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জবাই করার সময় জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তা পরিত্যাগ করবে তার জবাইকৃত জন্তু খাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলাও আবশ্যক।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ যুক্তির নিরিখে যা প্রমাণিত হয় তা হচ্ছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জবাই করার জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ বলা পরিত্যাগ করবে সেটি ভক্ষণ না করার ব্যাপারে আলিমদের মতবিরােধ আছে। কতেক আলিম বলেছেন, ভক্ষণ করা যাবে, কতেক আলিম বলেছেন, যাবে না। যারা বলেছেন ভক্ষণ করা যাবে তাদের অভিমতের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনা যথেষ্ট। আর যারা বলেছেন যে, ভক্ষণ করা যাবে না, বস্তুত তারা বলেছেন, যদি ভুলে তা পরিত্যাগ করে তাহলে ভক্ষণ করা যাবে । জবাইকারী মুসলমান হউক বা আহলে ফিরাকের কাফির হউক, তা তাদের নিকট সমান। সুতরাং এখানে সেই ব্যক্তির কথামতে যে কি-না জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করে তারা মিল্লাত তথা আহলে কিতাব হওয়ার বর্ণনার জন্য। যদি জবাইকারী বিসমিল্লাহ্ পড়ে তাহলে এটি সে সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদের জবাই করা জন্তু ভক্ষণ করা হয়। আর যখন বিসমিল্লাহ্ পড়বে না, তখন এটি সেই সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদেরটি ভক্ষণ করা হয় না। পক্ষান্তরে উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়া কোন মিল্লাত প্রকাশের জন্য নয়; বরং এটি সালাতের কারণসমূহ থেকে একটি কারণের যিকরের স্বরূপ । সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি উযূ করা এবং সতর ঢাকা সালাতের কারণ (ও শর্ত )-সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত সতর ঢেকে নেয়, এতে কোনরূপ অসুবিধা হয় না। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যদি কেউ বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত তাহারাত তথা উযূ করে তাতেও অসুবিধা হবে না। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب التسمية على الوضوء
116 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَشِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُسَاوِرِ أَوِ ابْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُعَاتِبُ ابْنَ الزُّبَيْرِ فِي الْبُخْلِ وَيَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِي يَبِيتُ شَبْعَانَ وَجَارُهُ إِلَى جَنْبِهِ جَائِعٌ» . فَلَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُؤْمِنٍ إِيمَانًا خَرَجَ بِتَرْكِهِ إِيَّاهُ إِلَى الْكُفْرِ , وَلَكِنَّهُ أَرَادَ بِهِ أَنَّهُ لَيْسَ فِي أَعْلَى مَرَاتِبِ الْإِيمَانِ. وَأَشْبَاهُ هَذَا كَثِيرَةٌ , يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهَا. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يُسَمِّ» لَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُتَوَضِّئٍ وُضُوءًا لَمْ يَخْرُجْ بِهِ مِنَ الْحَدَثِ , وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُتَوَضِّئٍ وُضُوءًا كَامِلًا فِي أَسْبَابِ الْوُضُوءِ الَّذِي يُوجِبُ الثَّوَابَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنَ الْمَعَانِي مَا وَصَفْنَا، وَلَمْ يَكُنْ هُنَاكَ دَلَالَةٌ يُقْطَعُ بِهَا لِأَحَدِ التَّأْوِيلَيْنِ عَلَى الْآخَرِ؛ وَجَبَ أَنْ يُجْعَلَ مَعْنَاهُ مُوَافِقًا لِمَعَانِي حَدِيثِ الْمُهَاجِرِ , حَتَّى لَا يَتَضَادَّا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ بِلَا تَسْمِيَةٍ يَخْرُجُ بِهِ الْمُتَوَضِّئُ مِنَ الْحَدَثِ إِلَى الطَّهَارَةِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ، فَإِنَّا رَأَيْنَا أَشْيَاءَ لَا يَدْخُلُ فِيهَا إِلَّا بِكَلَامٍ. مِنْهَا الْعُقُودُ الَّتِي يَعْقِدُهَا بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ مِنَ الْبِيَاعَاتِ وَالْإِجَارَاتِ وَالْمُنَاكَحَاتِ وَالْخُلْعِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ. فَكَانَتْ تِلْكَ الْأَشْيَاءُ لَا تَجِبُ إِلَّا بِأَقْوَالٍ، وَكَانَتِ الْأَقْوَالُ مِنْهَا إِيجَابٌ , لِأَنَّهُ يَقُولُ (قَدْ بِعْتُكَ , قَدْ زَوَّجْتُكَ , قَدْ خَلَعْتُكِ) . فَتِلْكَ أَقْوَالٌ فِيهَا ذِكْرُ الْعُقُودِ وَأَشْيَاءُ تَدْخُلُ فِيهَا بِأَقْوَالٍ وَهِيَ الصَّلَاةُ وَالْحَجُّ , فَتَدْخُلُ فِي الصَّلَاةِ بِالتَّكْبِيرِ , وَفِي الْحَجِّ بِالتَّلْبِيَةِ. فَكَانَ التَّكْبِيرُ فِي الصَّلَاةِ وَالتَّلْبِيَةُ فِي الْحَجِّ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِهَا. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى التَّسْمِيَةِ فِي الْوُضُوءِ , هَلْ تُشْبِهُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ؟ فَرَأَيْنَاهَا غَيْرَ مَذْكُورٍ فِيهَا إِيجَابُ شَيْءٍ كَمَا كَانَ فِي النِّكَاحِ وَالْبُيُوعِ. فَخَرَجَتِ التَّسْمِيَةُ لِذَلِكَ مِنْ حُكْمِ مَا وَضَعْنَا , وَلَمْ تَكُنِ التَّسْمِيَةُ أَيْضًا رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الْوُضُوءِ كَمَا كَانَ التَّكْبِيرُ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الصَّلَاةِ , وَكَمَا كَانَتِ التَّلْبِيَةُ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الْحَجِّ , فَخَرَجَ أَيْضًا بِذَلِكَ حُكْمُهَا مِنْ حُكْمِ التَّكْبِيرِ وَالتَّلْبِيَةِ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهَا فِي الْوُضُوءِ كَمَا لَا بُدَّ مِنْ تِلْكَ الْأَشْيَاءِ فِيمَا يُعْمَلُ فِيهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الذَّبِيحَةَ لَا بُدَّ مِنَ التَّسْمِيَةِ عِنْدَهَا , وَمَنْ تَرَكَ ذَلِكَ مُتَعَمِّدًا لَمْ تُؤْكَلْ ذَبِيحَتُهُ , فَالتَّسْمِيَةُ أَيْضًا عَلَى الْوُضُوءِ كَذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: مَا ثَبَتَ فِي حُكْمِ النَّظَرِ أَنَّ مَنْ تَرَكَ التَّسْمِيَةَ عَلَى الذَّبِيحَةِ مُتَعَمِّدًا أَنَّهَا لَا تُؤْكَلُ , لَقَدْ تَنَازَعَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تُؤْكَلُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا تُؤْكَلُ. فَأَمَّا مَنْ قَالَ: تُؤْكَلُ فَقَدْ كُفِينَا الْبَيَانَ لِقَوْلِهِ. وَأَمَّا مَنْ قَالَ: لَا تُؤْكَلُ , فَإِنَّهُ يَقُولُ: إِنْ تَرَكَهَا نَاسِيًا تُؤْكَلُ , وَسَوَاءٌ عِنْدَهُ كَانَ الذَّابِحُ مُسْلِمًا أَوْ كَافِرًا , بَعْدَ أَنْ يَكُونَ كِتَابِيًّا. فَجُعِلَتِ التَّسْمِيَةُ هَاهُنَا فِي قَوْلِ مَنْ أَوْجَبَهَا فِي الذَّبِيحَةِ , إِنَّمَا هِيَ لِبَيَانِ الْمِلَّةِ. فَإِذَا سَمَّى الذَّابِحُ صَارَتْ ذَبِيحَتُهُ مِنْ ذَبَائِحِ الْمِلَّةِ الْمَأْكُولَةِ ذَبِيحَتُهَا، وَإِذَا لَمْ يُسَمِّ جُعِلَتْ مِنْ ذَبَائِحِ الْمِلَلِ الَّتِي لَا تُؤْكَلُ ذَبَائِحُهَا. وَالتَّسْمِيَةُ عَلَى الْوُضُوءِ لَيْسَ لِلْمِلَّةِ إِنَّمَا هِيَ مَجْعُولَةٌ لِذِكْرٍ عَلَى سَبَبٍ مِنْ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ، فَرَأَيْنَا مِنْ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ الْوُضُوءَ وَسَتْرَ الْعَوْرَةِ , فَكَانَ مَنْ سَتَرَ عَوْرَتَهُ لَا بِتَسْمِيَةٍ , لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ مَنْ تَطَهَّرَ أَيْضًا لَا بِتَسْمِيَةٍ , لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
