শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬২
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৬২.রাওহ ইবনুল ফারাজ আল-কাত্তান (রাহঃ)....... ইয়াহইয়া ইবন আয়্যূব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। যে, তিনি একবার ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাযিঃ)-কে সেই সমস্ত প্রাণীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, যেগুলোর উচ্ছিষ্ট (পানি) দ্বারা উযু করা হয় না। তিনি বলেন : শূকর, কুকুর ও বিড়াল

বস্তুত বিশুদ্ধ পর্যবেক্ষণ উক্ত বক্তব্যকে শক্তিশালীরূপে প্রতিষ্ঠিত করে। আর তা এভাবেঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গোশত চার প্রকারঃ

(১) প্রথম গোশত যা পবিত্র এবং ভক্ষণ করা হয়। আর তা হচ্ছে উট, গরু ও বকরীর গোশত। এই সমস্তের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(২) দ্বিতীয় প্রকার গোশত পবিত্র কিন্তু ভক্ষণ করা হয় না। আর তা হচ্ছে মানুষের গোশ্ত। তাদের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(৩) তৃতীয় প্রকার গোশত যা হারাম, আর তা হচ্ছে শূকর ও কুকুরের গোশত। এদের উচ্ছিষ্টও হারাম। যেহেতু তা হারাম গোতকে স্পর্শ করে আছে। সুতরাং এই তিন প্রকার গোশতের সঙ্গে যে বস্তু স্পর্শ করে থাকবে (যেমনিভাবে আমরা উল্লেখ করেছি) পবিত্রতা এবং হারাম হওয়া সম্পর্কে এর গোশতের অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে।
(৪) চতুর্থ প্রকার গোশ্ত হল যা খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তা হচ্ছে, গৃহপালিত গাধা এবং হিংস প্রাণীর গোশ্ত, যা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ভক্ষণ করে। বিড়াল এবং অনুরূপ অপরাপর জন্তুও এর অন্তর্ভুক্ত এগুলোর গোশত ভক্ষণ সুন্নাহ মুতাবিক হারাম এবং নিষিদ্ধ। অতএব যুক্তির নিরিখে এর উচ্ছিষ্টের বিধান তা-ই হবে, যা এর গোশতের বিধান; যেহেতু তা মাকরূহ গোশতের সঙ্গে স্পর্শ করে আছে।
এর বিধানও তা-ই হবে, যেমনিভাবে প্রথমোক্ত তিন প্রকার গোশ্ত-এর সঙ্গে স্পর্শকারী বস্তুর বিধান গোশতের বিধানের অনুরূপ। এতে প্রমাণিত হল যে, বিড়ালের উচ্ছিষ্ট মাকরূহ। আর এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب سؤر الهر
62 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ الْقَطَّانُ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ أَنَّهُ سَأَلَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ عَمَّا لَا يُتَوَضَّأُ بِفَضْلِهِ مِنَ الدَّوَابِّ , فَقَالَ: الْخِنْزِيرُ وَالْكَلْبُ وَالْهِرُّ ". وَقَدْ شَدَّ هَذَا الْقَوْلُ النَّظَرَ الصَّحِيحَ , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا اللُّحْمَانَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَوْجُهٍ، فَمِنْهَا لَحْمٌ طَاهِرٌ مَأْكُولٌ , وَهُوَ لَحْمُ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ , فَسُؤْرُ ذَلِكَ كُلِّهِ طَاهِرٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا طَاهِرًا. وَمِنْهَا لَحْمٌ طَاهِرٌ غَيْرُ مَأْكُولٍ وَهُوَ لَحْمُ بَنِي آدَمَ وَسُؤْرُهُمْ طَاهِرٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا طَاهِرًا. وَمِنْهَا لَحْمٌ حَرَامٌ , وَهُوَ لَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَالْكَلْبِ , فَسُؤْرُ ذَلِكَ حَرَامٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا حَرَامًا. فَكَانَ حُكْمُ مَا مَاسَّ هَذِهِ اللُّحْمَانَ الثَّلَاثَةَ كَمَا ذَكَرْنَا , يَكُونُ حُكْمُهُ حُكْمَهَا فِي الطَّهَارَةِ وَالتَّحْرِيمِ. وَمِنَ اللُّحْمَانِ أَيْضًا لَحْمٌ قَدْ نُهِيَ عَنْ أَكْلِهِ , وَهُوَ لَحْمُ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ وَكُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ أَيْضًا. وَمِنْ ذَلِكَ السِّنَّوْرُ وَمَا أَشْبَهَهُ , فَكَانَ ذَلِكَ مَنْهِيًّا عَنْهُ , مَمْنُوعًا مِنْ أَكْلِ لَحْمِهِ بِالسُّنَّةِ. وَكَانَ فِي النَّظَرِ أَيْضًا سُؤْرُ ذَلِكَ حُكْمُهُ حُكْمُ لَحْمِهِ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا مَكْرُوهًا , فَصَارَ حُكْمُهُ حُكْمَهُ كَمَا صَارَ حُكْمُ مَا مَاسَّ اللُّحْمَانَ الثَّلَاثَ الْأُوَلَ حُكْمَهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ كَرَاهَةُ سُؤْرِ السِّنَّوْرِ , فَبِهَذَا نَأْخُذُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬২ | মুসলিম বাংলা