মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল

হাদীস নং: ৬১৫০
প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক যুদ্ধের উদ্দেশ্যে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন এবং হযরত উসামা ইবনে যায়দকে তাহাদের আমীর মনোনীত করিলেন। তখন কিছু লোক উসামার নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করিতে লাগিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তোমরা যদি আজ উসামার নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনা কর, তবে তোমরা তো ইতিপূর্বে তাহার পিতার (অর্থাৎ, যায়দ ইবনে হারেসার) নেতৃত্ব সম্পর্কেও বিরূপ সমালোচনা করিয়াছিলে। আল্লাহর কসম! তিনি (যায়দ) নিশ্চয়ই নেতৃত্বের যোগ্য ছিলেন এবং তিনি আমার সর্বাধিক প্রিয় লোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আর তাহার পরে (তাহার পুত্র) উসামা আমার সর্বাধিক প্রিয় লোকদের মধ্যে একজন। মোত্তা
মুসলিমের এক রেওয়ায়তের মধ্যে অনুরূপ বর্ণিত হওয়ার পর হাদীসটির শেষাংশে বলা হইয়াছে, তাহার নেতৃত্ব মানিয়া লওয়ার জন্য আমি তোমাদিগকে নসীহত করিতেছি। কেননা, সে (উসামা) তোমাদের মধ্যে একজন নেককার ব্যক্তি।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْثًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَطَعَنَ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِمَارَتِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمَارَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ وَأَيْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلْإِمَارَةِ وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ نَحْوُهُ وَفِي آخِره: «أوصيكم بِهِ فَإِنَّهُ من صالحيكم»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত উসামার পিতা যায়দ কিছুকাল গোলাম হিসাবে জীবন যাপন করেন এবং উসামার বয়সও ছিল কম, তাই তাঁহার নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে কাহারও কাহারও আপত্তি ছিল। অবশ্য নবী (ﷺ)-এর উক্ত ভাষণের পর আর কাহারও মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বাকী থাকে নাই। ইতিপূর্বে ইতিহাসের প্রসিদ্ধ রক্তক্ষয়ী মৃতার যুদ্ধে পর পর যে তিনজন সেনাপতি শহীদ হইয়াছেন, তাঁহাদের মধ্যে প্রথম সেনাপতি পতাকাবাহী ছিলেন উসামার পিতা “যায়দ ইবনে হারেসা” (রাঃ)।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৬১৫০ | মুসলিম বাংলা