মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল

হাদীস নং: ৬০৫৩
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৫৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)] বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জান্নাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তির মর্যাদাই হইবে আমার উম্মতের সকলের উপরে। আবু সাঈদ বলেন, আল্লাহর কসম! “ঐ ব্যক্তি" দ্বারা আমরা ওমর ইবনুল খাত্তাব ব্যতীত অন্য কাহাকেও ধারণা করিতাম না। এমন কি তাঁহার ইনতেকাল পর্যন্ত আমাদের (সাহাবীদের) মধ্যে এই ধারণা বিদ্যমান ছিল। —ইবনে মাজাহ্
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ذَاكَ الرَّجُلُ أَرْفَعُ أُمَّتِي دَرَجَةً فِي الْجَنَّةِ» . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: وَاللَّهِ مَا كُنَّا نُرَى ذَلِكَ الرَّجُلَ إِلَّا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ. رَوَاهُ ابْن مَاجَه

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সমস্ত উম্মতের মধ্যে হযরত আবু বকর (রাঃ) যে افضل الامة ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে দ্বীনের ব্যাপারে নির্ভীকতায় ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং অন্যান্য কাজে-কর্মে হযরত ওমর (রাঃ) ইসলামী জীবনের শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে যে আদর্শ স্থাপন করেন, উহার প্রেক্ষিতে সাহাবাদের মধ্যে সাধারণত তাঁহাকে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী বলিয়া গণ্য করা হইত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৬০৫৩ | মুসলিম বাংলা