মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮০৯
প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনাবাসীদের বাদীদের মধ্যে এমন একটি বাঁদী ছিল, যে রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত ধরিয়া যথায় ইচ্ছা তথায় লইয়া যাইত। —বুখারী
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَتْ أَمَةٌ مِنْ إِمَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ تَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَنْطَلِقُ بِهِ حَيْثُ شَاءَتْ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. সমাজের গোলামবাদীদের সাথেও তাঁহার ব্যবহার এমন ছিল যে, তাহারা কোন কাজে নবী (ﷺ)কে মদীনার বাহিরেও লইয়া যাইতে চাহিলে ইহাতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করিতেন না।
২. এ হাদীছটি দ্বারা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উচ্চতর বিনয় ও কোমলতার পরিচয় পাওয়া যায়। বলা হয়েছে যে, মদীনার কোনও দাসীর যদি কোনও প্রয়োজন দেখা দিত আর সে প্রয়োজনটি বিশেষ কোনও স্থানে হতো, তা কাছে হোক বা দূরে, এবং সে প্রয়োজন সমাধায় সহযোগিতার জন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেখানে নিয়ে যেতে চাইত, তবে তিনি অবশ্যই দাসীটির প্রয়োজন সমাধার উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে সেখানে যেতেন। দাসী বলে তিনি তাকে অবজ্ঞা করতেন না এবং তার সঙ্গে যেতে হবে বলে বিরক্তও হতেন না। বরং যেখানেই হোক না কেন, নিজে গিয়ে তার প্রয়োজন সমাধা করে আসতেন। এটা যেমন তাঁর উচ্চতর বিনয়, তেমনি তাঁর সহমর্মিতা ও সেবাপ্রবণতার পরিচায়কও বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিনয় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক মৌলিক চারিত্রিক শিক্ষা। এটা আমাদের অবশ্যই আয়ত্ত করতে হবে।
খ. সৃষ্টির সেবা করা একটি মহৎ কাজ, যা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই করেছেন।
গ. সেবার কাজে কাউকে হেলা করতে নেই, তা সে দাসীই হোক না কেন।
ঘ. নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নিজেকে বড়ত্বের প্রাচীরে এভাবে বেষ্টিত করতে নেই, যাতে সাধারণের পক্ষে তার কাছে পৌঁছা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
২. এ হাদীছটি দ্বারা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উচ্চতর বিনয় ও কোমলতার পরিচয় পাওয়া যায়। বলা হয়েছে যে, মদীনার কোনও দাসীর যদি কোনও প্রয়োজন দেখা দিত আর সে প্রয়োজনটি বিশেষ কোনও স্থানে হতো, তা কাছে হোক বা দূরে, এবং সে প্রয়োজন সমাধায় সহযোগিতার জন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেখানে নিয়ে যেতে চাইত, তবে তিনি অবশ্যই দাসীটির প্রয়োজন সমাধার উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে সেখানে যেতেন। দাসী বলে তিনি তাকে অবজ্ঞা করতেন না এবং তার সঙ্গে যেতে হবে বলে বিরক্তও হতেন না। বরং যেখানেই হোক না কেন, নিজে গিয়ে তার প্রয়োজন সমাধা করে আসতেন। এটা যেমন তাঁর উচ্চতর বিনয়, তেমনি তাঁর সহমর্মিতা ও সেবাপ্রবণতার পরিচায়কও বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিনয় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক মৌলিক চারিত্রিক শিক্ষা। এটা আমাদের অবশ্যই আয়ত্ত করতে হবে।
খ. সৃষ্টির সেবা করা একটি মহৎ কাজ, যা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই করেছেন।
গ. সেবার কাজে কাউকে হেলা করতে নেই, তা সে দাসীই হোক না কেন।
ঘ. নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নিজেকে বড়ত্বের প্রাচীরে এভাবে বেষ্টিত করতে নেই, যাতে সাধারণের পক্ষে তার কাছে পৌঁছা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
২. ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
