মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৫৮১
প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৮১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, লোকেরা জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখিতে পাইব। অতঃপর আবু হোরায়রা হাদীসের অবশিষ্ট অংশ হযরত আবু সাঈদ খুদরীর বর্ণিত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে আবু হোরায়রার হাদীসে আল্লাহ্ পায়ের নলা বা গোড়ালী উন্মুক্ত করিবেন' তিনি এই কথাটি উল্লেখ করেন নাই। আর রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেন জাহান্নামের উপর পুলসিরাত পাতা হইবে। সেই সময় রাসূলদের মধ্যে আমি এবং আমার উম্মতই সর্বপ্রথম উহা অতিক্রম করিব। সেই দিন (পুল অতিক্রমকালে) রাসূলগণ ছাড়া আর কেহই কথা বলিবে না। আর রাসূলগণও শুধু বলিতে থাকিবেন, আল্লাহুম্মা সাল্লেম, সাল্লেম। অর্থাৎ, হে আল্লাহ্ নিরাপদে রাখ। হে আল্লাহ্ নিরাপদে রাখ। আর জাহান্নামের মধ্যে সাদানের কাঁটার ন্যায় আংটা থাকিবে, (উহা সাদানের কাঁটার মত, তবে সেই সমস্ত আংটাগুলির বিরাটত্ব সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই জানেন। ঐ আংটাগুলি মানুষদিগকে তাহাদের আমল অনুপাতে আঁকড়াইয়া ধরিবে। সুতরাং কিছুসংখ্যক লোক নিজ আমলের কারণে ধ্বংস হইবে এবং কিছু লোক টুকরা টুকরা হইয়া যাইবে। আবার পরে নাজাত পাইবে।
অবশেষে যখন আল্লাহ্ বান্দাদের বিচার-ফয়সালা শেষ করিবেন এবং (নিজের দয়া ও অনুগ্রহে কিছুসংখ্যক ঐ সকল দোযখবাসীকে নাজাত দেওয়ার ইচ্ছা করিবেন, যাহারা এই সাক্ষ্য দিয়াছে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মা'বুদ নাই, তখন ফিরিশতাদিগকে নির্দেশ করিবেন। যে, যাহারা একমাত্র আল্লাহর এবাদত করিয়াছে তাহাদিগকে জাহান্নাম হইতে বাহির করিয়া আন। তখন তাহারা ঐ সমস্ত লোকদের কপালে সজদার চিহ্ন দেখিয়া সনাক্ত করিবেন এবং দোযখ হইতে বাহির করিয়া আনিবেন। আর আল্লাহ্ তাআলা সজদার চিহ্নসমূহ পোড়াইয়া দগ্ধ করা আগুনের জন্য হারাম করিয়া দিয়াছেন। ফলে দোযখে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি আদম সন্তানের সজদার স্থানটি ব্যতীত তাহার গোটা দেহটি আগুন জ্বালাইয়া নিশ্চিহ্ন করিয়া ফেলিবে। সুতরাং তাহাদিগকে এমন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দোযখ হইতে বাহির করা হইবে যে, তাহারা একেবারে কাল কালো হইয়া গিয়াছে। তখন তাহাদের উপর সঞ্জীবনী পানি ঢালিয়া দেওয়া হইবে। ইহার ফলে তাহারা এমনভাবে তরতাজা ও সজীব হইয়া উঠিবে, যেমন কোন বীজ প্রবহমান পানির ধারে অঙ্কুরিত হইয়া উঠে।
সেই সময় দোযখবাসীদের মধ্য হইতে সর্বশেষে জান্নাতে প্রবেশকারী এক ব্যক্তি জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থানে থাকিয়া যাইবে, যাহার মুখ হইবে দোযখের দিকে। সে বলিবে, হে আমার রব। দোযখের দিক হইতে আমার মুখখানা ফিরাইয়া দিন। কেননা, দোযখের উত্তপ্ত হাওয়া আমাকে অত্যধিক কষ্ট দিতেছে এবং উহার অগ্নিশিখা আমাকে দগ্ধ করিয়া ফেলিতেছে। তাহা হইলে আরও অন্য কিছুও তো চাহিতে পার ? তখন সে বলিবে, না, তোমার ইজ্জতের কসম করিয়া বলিতেছি, আমি আর কিছুই চাহিব না। তখন সে আল্লাহ্ তা'আলাকে আল্লাহর ইচ্ছানু সারে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করিবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহার মুখকে দোযখের দিক হইতে ফিরাইয়া দিবেন। যখন সে জান্নাতের দিকে মুখ করিবে এবং উহার চাকচিক্য ও শ্যামল দৃশ্য দেখিতে পাইবে, তখন আল্লাহ্ যতক্ষণ নিশ্চুপ রাখিতে চাহিবেন ততক্ষণ সে চুপ করিয়া থাকিবে। অতঃপর বলিবে, হে আমার রব। আমাকে জান্নাতের দরজা পর্যন্ত আগাইয়া দাও। এই কথা শুনিয়া মহামহিম বরকতময় আল্লাহ বলিবেন: তুমি কি ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি দাও নাই যে, তুমি একবার চাহা চাহিয়াছ তাহা ছাড়া কখনও আর কিছুই চাহিবে না? তখন সে বলিবে, হে আমার রব! তুমি আমাকে তোমার সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা হতভাগ্য বানাইও না। তখন আল্লাহ্ বলিবেন, আচ্ছা, তোমাকে যদি এই সমস্ত কিছু দেওয়া হয়, তাহা হইলে পুনরায় অন্য আর কিছু চাহিবে না তো? সে বলিবে, না, তোমার ইজ্জতের কসম। ইহা ছাড়া আমি আর কিছুই চাহিব না। তারপর সে আল্লাহ্ তা'আলাকে এই মর্মে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করিবে যাহা আল্লাহ্ ইচ্ছা করিবেন। তখন তাহাকে জান্নাতের দরজার কাছে আগাইয়া দেওয়া হইবে। যখন সে জান্নাতের দরজার নিকটে পৌঁছিবে, তখন উহার মধ্যকার আরাম-আয়েশ ও আনন্দের প্রাচুর্য দেখিতে পাইবে এবং আল্লাহ যতক্ষণ চুপ রাখিতে চাহিবেন ততক্ষণ সে চুপ থাকিবে। অতঃপর সে বলিবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন। তখন মহামহিম বরকতময় আল্লাহ্ বলিবেন : আফসোস হে আদম সন্তান! তুমি কি সাংঘাতিক ওয়াদা ভঙ্গকারী। তুমি কি এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দাও নাই যে, আমি যাহাকিছু দিব তাহা ছাড়া অন্য আর কিছুই চাহিবে না ? তখন সে বলিবে, হে আমার রব! আমাকে তোমার সৃষ্টির মধ্যে সকলের চাইতে দুর্ভাগা করিও না। এই বলিয়া সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করিতে থাকিবে। এমন কি তাহার এই মিনতি দেখিয়া আল্লাহ্ হাসিয়া উঠিবেন। যখন তিনি হাসিয়া ফেলিবেন তখন তাহাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিয়া বলিবেন, এইবার চাও (তোমার যাহা চাওয়ার আছে)। তখন সে আল্লাহর কাছে দিল খুলিয়া চাহিবে। এমন কি যখন তাহার আকাঙ্ক্ষা শেষ হইয়া যাইবে, তখন আল্লাহ্ তাআলা স্মরণ করাইয়া দিয়া বলিবেন, ইহা চাও। উহা চাও। এমন কি সেই আকাঙ্ক্ষাও যখন শেষ হইয়া যাইবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেন এই সমস্ত কিছুই তোমাকে দেওয়া হইল এবং ইহার সাথে আরও অনুরূপ পরিমাণ দেওয়া হইল। আর হযরত আবু সাঈদের রেওয়ায়তে আছে—আল্লাহ্ তাআলা বলিবেন। যাও, তোমাকে এই সমস্ত কিছু তো দিলামই এবং ইহার দশ গুণ পরিমাণও এতদসঙ্গে দিলাম। – মোত্তাঃ
অবশেষে যখন আল্লাহ্ বান্দাদের বিচার-ফয়সালা শেষ করিবেন এবং (নিজের দয়া ও অনুগ্রহে কিছুসংখ্যক ঐ সকল দোযখবাসীকে নাজাত দেওয়ার ইচ্ছা করিবেন, যাহারা এই সাক্ষ্য দিয়াছে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মা'বুদ নাই, তখন ফিরিশতাদিগকে নির্দেশ করিবেন। যে, যাহারা একমাত্র আল্লাহর এবাদত করিয়াছে তাহাদিগকে জাহান্নাম হইতে বাহির করিয়া আন। তখন তাহারা ঐ সমস্ত লোকদের কপালে সজদার চিহ্ন দেখিয়া সনাক্ত করিবেন এবং দোযখ হইতে বাহির করিয়া আনিবেন। আর আল্লাহ্ তাআলা সজদার চিহ্নসমূহ পোড়াইয়া দগ্ধ করা আগুনের জন্য হারাম করিয়া দিয়াছেন। ফলে দোযখে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি আদম সন্তানের সজদার স্থানটি ব্যতীত তাহার গোটা দেহটি আগুন জ্বালাইয়া নিশ্চিহ্ন করিয়া ফেলিবে। সুতরাং তাহাদিগকে এমন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দোযখ হইতে বাহির করা হইবে যে, তাহারা একেবারে কাল কালো হইয়া গিয়াছে। তখন তাহাদের উপর সঞ্জীবনী পানি ঢালিয়া দেওয়া হইবে। ইহার ফলে তাহারা এমনভাবে তরতাজা ও সজীব হইয়া উঠিবে, যেমন কোন বীজ প্রবহমান পানির ধারে অঙ্কুরিত হইয়া উঠে।
সেই সময় দোযখবাসীদের মধ্য হইতে সর্বশেষে জান্নাতে প্রবেশকারী এক ব্যক্তি জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থানে থাকিয়া যাইবে, যাহার মুখ হইবে দোযখের দিকে। সে বলিবে, হে আমার রব। দোযখের দিক হইতে আমার মুখখানা ফিরাইয়া দিন। কেননা, দোযখের উত্তপ্ত হাওয়া আমাকে অত্যধিক কষ্ট দিতেছে এবং উহার অগ্নিশিখা আমাকে দগ্ধ করিয়া ফেলিতেছে। তাহা হইলে আরও অন্য কিছুও তো চাহিতে পার ? তখন সে বলিবে, না, তোমার ইজ্জতের কসম করিয়া বলিতেছি, আমি আর কিছুই চাহিব না। তখন সে আল্লাহ্ তা'আলাকে আল্লাহর ইচ্ছানু সারে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করিবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহার মুখকে দোযখের দিক হইতে ফিরাইয়া দিবেন। যখন সে জান্নাতের দিকে মুখ করিবে এবং উহার চাকচিক্য ও শ্যামল দৃশ্য দেখিতে পাইবে, তখন আল্লাহ্ যতক্ষণ নিশ্চুপ রাখিতে চাহিবেন ততক্ষণ সে চুপ করিয়া থাকিবে। অতঃপর বলিবে, হে আমার রব। আমাকে জান্নাতের দরজা পর্যন্ত আগাইয়া দাও। এই কথা শুনিয়া মহামহিম বরকতময় আল্লাহ বলিবেন: তুমি কি ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি দাও নাই যে, তুমি একবার চাহা চাহিয়াছ তাহা ছাড়া কখনও আর কিছুই চাহিবে না? তখন সে বলিবে, হে আমার রব! তুমি আমাকে তোমার সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা হতভাগ্য বানাইও না। তখন আল্লাহ্ বলিবেন, আচ্ছা, তোমাকে যদি এই সমস্ত কিছু দেওয়া হয়, তাহা হইলে পুনরায় অন্য আর কিছু চাহিবে না তো? সে বলিবে, না, তোমার ইজ্জতের কসম। ইহা ছাড়া আমি আর কিছুই চাহিব না। তারপর সে আল্লাহ্ তা'আলাকে এই মর্মে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করিবে যাহা আল্লাহ্ ইচ্ছা করিবেন। তখন তাহাকে জান্নাতের দরজার কাছে আগাইয়া দেওয়া হইবে। যখন সে জান্নাতের দরজার নিকটে পৌঁছিবে, তখন উহার মধ্যকার আরাম-আয়েশ ও আনন্দের প্রাচুর্য দেখিতে পাইবে এবং আল্লাহ যতক্ষণ চুপ রাখিতে চাহিবেন ততক্ষণ সে চুপ থাকিবে। অতঃপর সে বলিবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন। তখন মহামহিম বরকতময় আল্লাহ্ বলিবেন : আফসোস হে আদম সন্তান! তুমি কি সাংঘাতিক ওয়াদা ভঙ্গকারী। তুমি কি এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দাও নাই যে, আমি যাহাকিছু দিব তাহা ছাড়া অন্য আর কিছুই চাহিবে না ? তখন সে বলিবে, হে আমার রব! আমাকে তোমার সৃষ্টির মধ্যে সকলের চাইতে দুর্ভাগা করিও না। এই বলিয়া সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করিতে থাকিবে। এমন কি তাহার এই মিনতি দেখিয়া আল্লাহ্ হাসিয়া উঠিবেন। যখন তিনি হাসিয়া ফেলিবেন তখন তাহাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিয়া বলিবেন, এইবার চাও (তোমার যাহা চাওয়ার আছে)। তখন সে আল্লাহর কাছে দিল খুলিয়া চাহিবে। এমন কি যখন তাহার আকাঙ্ক্ষা শেষ হইয়া যাইবে, তখন আল্লাহ্ তাআলা স্মরণ করাইয়া দিয়া বলিবেন, ইহা চাও। উহা চাও। এমন কি সেই আকাঙ্ক্ষাও যখন শেষ হইয়া যাইবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেন এই সমস্ত কিছুই তোমাকে দেওয়া হইল এবং ইহার সাথে আরও অনুরূপ পরিমাণ দেওয়া হইল। আর হযরত আবু সাঈদের রেওয়ায়তে আছে—আল্লাহ্ তাআলা বলিবেন। যাও, তোমাকে এই সমস্ত কিছু তো দিলামই এবং ইহার দশ গুণ পরিমাণও এতদসঙ্গে দিলাম। – মোত্তাঃ
وَعَن أبي هُرَيْرَة أَنَّ النَّاسَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ غَيْرَ كَشْفِ السَّاقِ وَقَالَ: يُضْرَبُ الصِّرَاطُ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ جَهَنَّمَ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يَجُوزُ مِنَ الرُّسُلِ بِأُمَّتِهِ وَلَا يَتَكَلَّمُ يَوْمَئِذٍ الرُّسُلُ وَكَلَامُ الرُّسُلِ يَوْمَئِذٍ: اللَّهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ. وَفِي جهنمَ كلاليب مثلُ شوك السعدان وَلَا يَعْلَمُ قَدْرَ عِظَمِهَا إِلَّا اللَّهُ تَخْطَفُ النَّاسَ بِأَعْمَالِهِمْ فَمِنْهُمْ مَنْ يُوبَقُ بِعَمَلِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يُخَرْدَلُ ثُمَّ يَنْجُو حَتَّى إِذَا فَرَغَ اللَّهُ مِنَ الْقَضَاءِ بَيْنَ عِبَادِهِ وَأَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ مِنَ النَّارِ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُخْرِجَهُ مِمَّنْ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَمر الْمَلَائِكَة أَن يخرجُوا من يَعْبُدُ اللَّهَ فَيُخْرِجُونَهُمْ وَيَعْرِفُونَهُمْ بِآثَارِ السُّجُودِ وَحَرَّمَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ أَثَرَ السُّجُودِ فَكُلُّ ابْنِ آدَمَ تَأْكُلُهُ النَّارُ إِلَّا أَثَرَ السُّجُودِ فَيَخْرُجُونَ مِنَ النَّارِ قَدِ امْتَحَشُوا فَيُصَبُّ عَلَيْهِمْ مَاءُ الْحَيَاةِ فَيَنْبُتُونَ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ وَيَبْقَى رَجُلٌ بَيْنَ الجنَّةِ والنارِ وَهُوَ آخرُ أهلِ النارِ دُخولاً الْجَنَّةَ مُقْبِلٌ بِوَجْهِهِ قِبَلَ النَّارِ فَيَقُولُ: يَا رب اصرف وَجْهي عَن النَّار فَإِنَّهُ قد قَشَبَنِي رِيحُهَا وَأَحْرَقَنِي ذَكَاؤُهَا. فَيَقُولُ: هَلْ عَسَيْتَ إِنْ أَفْعَلْ ذَلِكَ أَنْ تَسْأَلَ غَيْرَ ذَلِكَ؟ فَيَقُول: وَلَا وعزَّتكَ فيُعطي اللَّهَ مَا شاءَ اللَّهُ مِنْ عَهْدٍ وَمِيثَاقٍ فَيَصْرِفُ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النارِ فإِذا أقبلَ بِهِ على الجنةِ وَرَأى بَهْجَتَهَا سَكَتَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَسْكُتَ ثُمَّ قَالَ: يَا رَبِّ قَدِّمْنِي عِنْدَ بَابِ الجنةِ فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى: الْيَسْ أَعْطَيْتَ الْعُهُودَ وَالْمِيثَاقَ أَنْ لَا تَسْأَلَ غَيْرَ الَّذِي كُنْتَ سَأَلْتَ. فَيَقُولُ: يَا رَبِّ لَا أَكُونُ أَشْقَى خَلْقِكَ. فَيَقُولُ: فَمَا عَسَيْتَ إِنْ أُعْطِيتُ ذَلِكَ أَنْ تَسْأَلَ غَيْرَهُ. فَيَقُولُ: لَا وَعِزَّتِكَ لَا أَسْأَلُكَ غَيْرَ ذَلِكَ فَيُعْطِي رَبَّهُ مَا شَاءَ مِنْ عَهْدٍ وَمِيثَاقٍ فَيُقَدِّمُهُ إِلَى بَابِ الْجَنَّةِ فَإِذَا بَلَغَ بَابَهَا فَرَأَى زَهْرَتَهَا وَمَا فِيهَا مِنَ النَّضْرَةِ وَالسُّرُورِ فَسَكَتَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَسْكُتَ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ أَدْخِلْنِي الْجَنَّةَ فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: وَيْلَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مَا أَغْدَرَكَ أَلَيْسَ قَدْ أَعْطَيْتَ الْعُهُودَ وَالْمِيثَاقَ أَنْ لَا تَسْأَلَ غَيْرَ الَّذِي أُعْطِيتَ. فَيَقُولُ: يَا رَبِّ لَا تَجْعَلْنِي أَشْقَى خَلْقِكَ فَلَا يَزَالُ يَدْعُو حَتَّى يَضْحَكَ اللَّهُ مِنْهُ فَإِذَا ضَحِكَ أَذِنَ لَهُ فِي دُخُولِ الْجَنَّةِ. فَيَقُولُ: تَمَنَّ فَيَتَمَنَّى حَتَّى إِذَا انْقَطَعَتْ أُمْنِيَّتُهُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: تَمَنَّ مِنْ كَذَا وَكَذَا أَقْبَلَ يُذَكِّرُهُ رَبُّهُ حَتَّى إِذَا انْتَهَتْ بِهِ الْأَمَانِيُّ قَالَ اللَّهُ: لَكَ ذَلِكَ ومثلُه معَه وَفِي رِوَايَةِ أَبِي سَعِيدٍ: قَالَ اللَّهُ: لَكَ ذلكَ وعشرةُ أمثالِه . مُتَّفق عَلَيْهِ
