মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৫৫৪
প্রথম অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৫৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লামের কাছে ছিলাম, হঠাৎ তিনি হাসিলেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান আমি কেন হাসিতেছি? আমরা বলিলাম, আল্লাহ্ এবং তাহার রাসুলই ভাল জানেন। তিনি বলিলেন: কিয়ামতের দিন বান্দা যে তাহার রবের সাথে সরাসরি কথা বলিবে, সেই কথাটি স্মরণ করিয়া হাসিতেছি। বান্দা বলিবে, আয় রব। তুমি কি আমাকে যুগ্ম হইতে নিরাপত্তা দান কর নাই? আল্লাহ্ বলিবেন : হ্যাঁ, তখন বান্দা বলিবে, আজ আমি আমার সম্পর্কে আপনজন ব্যতীত আমার বিরুদ্ধে অন্য কাহারও সাক্ষ্য গ্রহণ করিব না। তখন আল্লাহ্ বলিবেন: আজ তুমি নিজেই তোমার সাক্ষী হিসাবে এবং কেরামান কাতেবীনের সাক্ষ্যই তোমার জন্য যথেষ্ট। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা তাহার মুখের উপর মোহর লাগাইয়া দিবেন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বলা হইবে তোমরা (কে কখন কি কি কাজ করিয়াছ) বল। তখন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ তাহাদের কৃতকর্মসমূহ প্রকাশ করিয়া দিবে। ইহার পর তাহার মুখকে স্বাভাবিক অবস্থায় খুলিয়া দেওয়া হইবে। তখন সে স্বীয় অঙ্গসমূহকে লক্ষ্য করিয়া আক্ষেপের সাথে বলিবে, হে দুর্ভাগা অঙ্গসমূহ! তোরা দূর হ! তোদের ধ্বংস হউক! তোদের জন্যই তো আমি আমার রবের সহিত ঝগড়া করিতেছিলাম। —মুসলিম
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَحِكَ فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ مِمَّا أَضْحَكُ؟ . قَالَ: قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: مِنْ مُخَاطَبَةِ الْعَبْدِ رَبَّهُ يَقُولُ: يَا رَبِّ أَلَمْ تُجِرْنِي مِنَ الظُّلْمِ؟ قَالَ: يَقُولُ: بَلَى . قَالَ: فَيَقُولُ: فَإِنِّي لَا أُجِيزُ عَلَى نَفْسِي إِلَّا شَاهِدًا مِنِّي . قَالَ: فَيَقُولُ: كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ شَهِيدًا وَبِالْكِرَامِ الْكَاتِبِينَ شُهُودًا . قَالَ: فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ فَيُقَالُ لِأَرْكَانِهِ: انْطِقِي . قَالَ: «فَتَنْطِقُ بِأَعْمَالِهِ ثُمَّ يُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَلَامِ» . قَالَ: فَيَقُولُ: بُعْدًا لَكُنَّ وَسُحْقًا فعنكنَّ كنتُ أُناضلُ . رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বান্দা ধারণা করিবে যে, স্বীয় অঙ্গ তাহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না। মানুষের এই নির্বুদ্ধিতার কথা স্মরণ করিয়াই হুযূর (ﷺ) হাসিয়াছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান