মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৫০৩
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা
৫৫০৩। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দাজ্জালের বাপ-মা ত্রিশ বৎসর পর্যন্ত নিঃসন্তান থাকিবে। অতঃপর তাহাদের এমন একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করিবে, যে হইবে কানা, লম্বা লম্বা দাঁতবিশিষ্ট ও অপদার্থ। তাহার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যাইবে, কিন্তু তাহার অন্তর ঘুমাইবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহার পিতা-মাতার অবস্থা বলিলেন; তাহার পিতা হইবে হাল্কা দেহবিশিষ্ট, ছিপছিপে লম্বা, তাহার নাক হইবে পাখীর ঠোঁটের ন্যায় সরু। আর তাহার মাতা হইবে স্থূল দেহবিশিষ্ট, হাত দুইখানা লম্বা লম্বা। আবু বাকরা বলেন, মদীনার ইহুদীদের ঘরে (এই জাতীয়) একটি সন্তান জন্ম হওয়ার কথা আমরা শুনিতে পাইলাম। তখন আমি ও যুবায়র ইবনুল আওয়াম (তাহাকে দেখিতে) গেলাম এবং তাহার পিতা-মাতার নিকট পৌঁছিয়া দেখিলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদের উভয়ের ব্যাপারে যেইরূপ বর্ণনা করিয়াছিলেন তাহারা অবিকল সেইরূপই। অতঃপর আমরা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমাদের কোন সন্তান আছে কি ? তাহারা বলিল, ত্রিশ বৎসর পর্যন্ত আমরা নিঃসন্তান ছিলাম, অতঃপর আমাদের এমন একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করিয়াছে, যে কানা, বড় বড় দাঁতবিশিষ্ট ও অপদার্থ। তাহার চক্ষু ঘুমায়, কিন্তু তাহার অন্তর ঘুমায় না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা তাহাদের নিকট হইতে বাহির হইয়া দেখি যে, সেই সন্তান একখানা চাদর মুড়া দিয়া রৌদ্রের মধ্যে শুইয়া আছে এবং তাহা হইতে গুনগুন শব্দ শুনা যাইতেছে। তখন সে মাথা হইতে চাদর সরাইয়া বলিল, তোমরা দুই জনে কি কথা বলিয়াছ? আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, আমরা যাহা বলিয়াছি তুমি কি তাহা শুনিয়াছ? সে বলিল, হ্যাঁ, শুনিয়াছি। আমার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যায়, কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না। – তিরমিযী
كتاب الفتن
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «يمْكث أَبُو الدَّجَّالِ ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ» . ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ فَقَالَ: «أَبُوهُ طُوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فِرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُود. فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ؟ فَقَالَا: مَكَثْنَا ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مجندل فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَن رَأسه فَقَالَ: مَا قلتما: وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا؟ قَالَ: نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَايَ وَلَا ينَام قلبِي رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই ছেলে সম্ভবতঃ উপরোল্লিখিত ইবনে ছাইয়্যাদই ছিল।