মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৮৪
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা রাখিতেন। এমনকি একদিন আমার ছোট ভাইকে বলিলেনঃ হে আবু উমাইর! তোমার ছোট বুলবুলিটির কি হইল ? তাহার একটি ছোট বুলবুলি পাখী, ছিল উহার সাথে সে খেলা করিত যাহা মরিয়া গিয়াছিল। —মোত্তাঃ
بَابُ الْمُزَاحِ: الْفَصْل الأول
عَن أنس قَالَ: إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُخَالِطُنَا حَتَّى يَقُولَ لِأَخٍ لِي صَغِيرٍ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ؟» كَانَ لَهُ نُغَيْرٌ يَلْعَبُ بِهِ فَمَاتَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলির মধ্যে হাসি-রহস্য বা ঠাট্টা-কৌতুক হইল একটি অবিচ্ছেদ্য দিক। নির্দোষ কৌতুক শরী'অতে নিষিদ্ধ নহে। ঘৃণা বা তিরস্কারমূলক কৌতুক করা হারাম। নবী পাক (ﷺ)-এর চরিত্রের অন্যতম দিক ছিল জীবনপ্রবাহের নিত্য-নৈমিত্তিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে আপন সাহাবীদের সাথে একান্ত বন্ধুসুলভ মেলামেশা করা। ফলে সময় সময় তাঁহাদের সহিত হাসি রহস্যেও অংশগ্রহণ করিতেন। তবে ইহার মধ্যেও একটা সীমিত গণ্ডি আছে যাহা তিনি পুরোপুরি রক্ষা করিতেন। তাহার কৌতুকের মধ্যে অবান্তর বা অবাস্তব কিছুই ছিল না। এক কথায় তাহা ছিল আদর্শ কৌতুক। কৌতুকের মধ্যে সীমালংঘন করা হইবে পাপের দিকে পদক্ষেপ। এই অধ্যায়ের হাদীসসমূহে কৌতুকের বৈধ সীমা কি, তাহাই বর্ণিত হইয়াছে।
হযরত আনাস (রাঃ)-এর ছোট ভাইয়ের একটি বুলবুলি ছিল, উহার সাথে সে খেলা করিত। একদিন ছানাটি মরিয়া গেল, ইহাতে সে খুবই মর্মাহত ও ভারাক্রান্ত হইয়া রহিল। এমন সময় হুযূর (ﷺ) তাহাদের বাড়ীতে আসিলেন এবং ভাইটির এই অবস্থার কারণ জানিতে পারিয়া তাহার মনে আনন্দ জাগানোর উদ্দেশ্যে ছন্দাকারে উক্ত কথাটি বলিলেন। ফলে হুযূরের এই কৌতুক বাক্যে তাহার মুখে হাসি ফুটিয়া উঠিল। অত্র হাদীস হইতে শরী' অতের কতিপয় বিষয় নির্গত হয়। যেমন— স্নেহভরে আদর করিয়া নামকে খাটো করিয়া বলা, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের কুনিয়াত বা উপনাম সংযুক্ত করা, ছন্দাকারে কথা বলিয়া চমৎকৃত করা, ছোট ছোট বাচ্চাদের পাখীর ছানা পোষা ও উহার সাথে খেলা করা। তবে উহাকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়। মদীনার সীমানায় পাখী শিকার করা বৈধ। অবশ্য ইহা হানাফী ইমামদের অভিমত ইত্যাদি।
হযরত আনাস (রাঃ)-এর ছোট ভাইয়ের একটি বুলবুলি ছিল, উহার সাথে সে খেলা করিত। একদিন ছানাটি মরিয়া গেল, ইহাতে সে খুবই মর্মাহত ও ভারাক্রান্ত হইয়া রহিল। এমন সময় হুযূর (ﷺ) তাহাদের বাড়ীতে আসিলেন এবং ভাইটির এই অবস্থার কারণ জানিতে পারিয়া তাহার মনে আনন্দ জাগানোর উদ্দেশ্যে ছন্দাকারে উক্ত কথাটি বলিলেন। ফলে হুযূরের এই কৌতুক বাক্যে তাহার মুখে হাসি ফুটিয়া উঠিল। অত্র হাদীস হইতে শরী' অতের কতিপয় বিষয় নির্গত হয়। যেমন— স্নেহভরে আদর করিয়া নামকে খাটো করিয়া বলা, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের কুনিয়াত বা উপনাম সংযুক্ত করা, ছন্দাকারে কথা বলিয়া চমৎকৃত করা, ছোট ছোট বাচ্চাদের পাখীর ছানা পোষা ও উহার সাথে খেলা করা। তবে উহাকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়। মদীনার সীমানায় পাখী শিকার করা বৈধ। অবশ্য ইহা হানাফী ইমামদের অভিমত ইত্যাদি।
