মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৫৯২
২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯২। হযরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা জাহেলিয়াতের যুগের অন্যান্য কাজের মধ্যে ইহাও করিতাম যে, আমরা জ্যোতিষীদের কাছে যাইতাম (এবং তাহাদের নিকট গায়েবের খবরাখবর জিজ্ঞাসা করিতাম)। তখন তিনি বলিলেন: তোমরা আর কখনো গণকদের কাছে যাইও না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরয করিলাম, আমরা (কোন কাজের জন্য) অশুভ লক্ষণ মানিয়া থাকি। তিনি বলিলেন, ইহা এমন একটি ব্যাপার যে, (অনিচ্ছাকৃতভাবেই) তোমাদের কাহারো মনে ইহার উদ্রেক হইয়া থাকে, তবে ইহা যেন তোমাদিগকে ( কোন কাজ হইতে) বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরয করিলাম, আমাদের কেহ রেখা টানিয়া (ভাগ্য পরীক্ষার কাজ করিয়া) থাকে। তিনি বলিলেন, কোন একজন নবী (আল্লাহর হুকুমে) রেখা টানার কাজ করিতেন; সুতরাং যাহার রেখা টানা সেই নবীর রেখার সাথে মিলিয়া যায় – উহা জায়ে আছে। —মুসলিম
بَابُ الْكِهَانَةِ: الْفَصْل الأول
عَن مُعَاوِيَة بن الحكم قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ قَالَ: «فَلَا تَأْتُوا الْكُهَّانَ» قَالَ: قُلْتُ: كُنَّا نَتَطَيَّرُ قَالَ: «ذَلِكَ شَيْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلَا يصدَّنَّكم» . قَالَ: قُلْتُ: وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ: «كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاك» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হস্তরেখা বা শরীরের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিংবা দাগ-চিহ্ন দেখিয়া গণনা করা তথা কাহারো ভাল-মন্দ ইত্যাদি বলিয়া দেওয়াকে কাহানাৎ (জ্যোতিষী) বলা হয়। আবহমানকাল হইতে বিভিন্নরূপে ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে মানুষের মধ্যে এই বিদ্যা প্রচলিত আছে।
তবে শরীআতের দৃষ্টিতে জ্যোতিষীর (গণকের) কথায় বিশ্বাস স্থাপন করা হারাম। কারণ ইহাতে গণকদেরকে গায়েব জানার অধিকারী মনে করা হয়। ইহা পরিষ্কার শিরক। এই অধ্যায়ের হাদীসে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হইয়াছে।
রেখা টানিয়া ভাগ্য পরীক্ষা করা, ইহাও এক প্রকার জ্যোতিষ বিদ্যা। কথিত আছে যে, আল্লাহর নবী হযরত দানীয়াল (আঃ) অথবা ইদ্রীস (আঃ) ইলমে ইলাহী অথবা ইলমে লাদুন্নী দ্বারা এই কাজ করিতেন। উহাকে রমল বলা হয়। সেই নবীর রেখা অনুযায়ী রেখা টানায় কোন দোষ নাই; তবে যেহেতু ঐ নবীর আসল শিক্ষা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। কাহারো জন্য উহার অনুসরণ সম্ভব নহে। এই কারণে শরীঅতে ইহা নিষিদ্ধ।
তবে শরীআতের দৃষ্টিতে জ্যোতিষীর (গণকের) কথায় বিশ্বাস স্থাপন করা হারাম। কারণ ইহাতে গণকদেরকে গায়েব জানার অধিকারী মনে করা হয়। ইহা পরিষ্কার শিরক। এই অধ্যায়ের হাদীসে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হইয়াছে।
রেখা টানিয়া ভাগ্য পরীক্ষা করা, ইহাও এক প্রকার জ্যোতিষ বিদ্যা। কথিত আছে যে, আল্লাহর নবী হযরত দানীয়াল (আঃ) অথবা ইদ্রীস (আঃ) ইলমে ইলাহী অথবা ইলমে লাদুন্নী দ্বারা এই কাজ করিতেন। উহাকে রমল বলা হয়। সেই নবীর রেখা অনুযায়ী রেখা টানায় কোন দোষ নাই; তবে যেহেতু ঐ নবীর আসল শিক্ষা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। কাহারো জন্য উহার অনুসরণ সম্ভব নহে। এই কারণে শরীঅতে ইহা নিষিদ্ধ।
