মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৪০৫৫
১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৫৫। হযরত মালেক ইবনে আওস ইবনে হাদাসান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) বলিয়াছেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা এই ফায় জিনিসটি বিশেষভাবে তাহার রাসুলের জন্য নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন, যাহার এখতিয়ার অন্য কাহাকেও প্রদান করেন নাই। - অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করিলেন, অর্থ: “আর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার রাসূলকে ফায় হিসাবে (বিনাযুদ্ধে যাহাকিছু প্রদান করিয়াছেন, ইহার জন্য তোমরা ঘোড়া বা সেনাবাহিনী পরিচালনা কর নাই। বরং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার রাসুলগণকে যাহার বিরুদ্ধে ইচ্ছা করেন বিজয় দান করেন। বস্তুত আল্লাহ্ পাক সব কিছুর উপরই ক্ষমতাবান।” (সূরায়ে হাশর) ফলকথা, এই সম্পদ ছিল রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট। তাই তিনি এই সম্পদ হইতে তাহার পরিবার পরিজনদের পূর্ণ এক বৎসরের খোরপোষ আদায় করিতেন এবং অবশিষ্ট যাহা থাকিত তাহা সদকার মালের ক্ষেত্রে খরচ করিতেন। -মোত্তাঃ
بَابُ الْفَيْءِ: الْفَصْل الأول
عَن مالكِ بن أوْسِ بنِ الحَدَثانِ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ خَصَّ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ لَمْ عطه أحدا غيرَه ثُمَّ قَرَأَ (مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُم)

إِلى قولِه (قديرٌ)

فكانتْ هَذِه خَالِصَة لرَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ. ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইসলামী পরিভাষায় ফায় ও গনীমত প্রায় কাছাকাছি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। অমুসলিমদের নিকট হইতে লড়াই ব্যতিরেকে সন্ধি-চুক্তির মাধ্যমে যেই সমস্ত সম্পদ মুসলমানদের হাতে আসে, এই সমস্ত মাল-সম্পদকে এক কথায় ফায় বলা হয়। উহা সর্বস্তরের সাধারণ মুসলমান নাগরিকদের কল্যাণে যেমন—দেশ রক্ষা ও যুদ্ধের সরঞ্জাম খরিদ ইত্যাদি খাতে ব্যয় করা হয়। وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ الاية সূরায়ে হাশরের এই আয়াতে ফায়-এর হুকুম বিশদভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৪০৫৫ | মুসলিম বাংলা