মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ৪০০৭
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০০৭। হযরত হাবীব ইবনে মাসলামা ফেহরী (রাঃ) বলেন, একবার আমি নবী (ﷺ)-এর সাথে (যুদ্ধে) উপস্থিত ছিলাম। যে দল যাওয়ার পথে যুদ্ধ করে, তিনি তাহাদিগকে (গনীমতের) এক চতুর্থাংশ এবং যে দল ফেরার পথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে এক তৃতীয়াংশ নফলস্বরূপ প্রদান করিয়াছেন। –আবু দাউদ
وَعَن حبيب بن مسلَمةَ الفِهْريِّ قَالَ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نفل الرّبع فِي البدأة وَالثلث فِي الرجمة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মুজাহিদ বাহিনী যাওয়ার পথে তাহাদের মধ্য হইতে যদি কোন ছোট দল আলাদা হইয়া কোন কাফের সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করত গনীমত লাভ করে, তবে তাহাদিগকে সেই গনীমত হইতে এক চতুর্থাংশ অতিরিক্ত প্রদান করিতেন। অবশিষ্ট তিন চতুর্থাংশের মধ্যেও তাহারা অন্যান্য মুজাহেদীনের সঙ্গে সমান হারে অংশীদার হইবে। আর যখন সৈন্যরা যুদ্ধ হইতে ফিরিয়া আসে, তখন যদি কোন একটি ক্ষুদ্র দল পুনরায় শত্রুর মোকাবিলা করে, তখন তাহারা অতিরিক্ত পাইবে এক তৃতীয়াংশ এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মধ্যে তাহারা সমানভাবে অংশীদার হইবে। উভয় দলের মধ্যে পার্থক্য হইল এই জন্য যে, যাওয়ার পথে ক্ষুদ্র দলটির জন্য সাহায্য পৌঁছার অধিক সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু লশকরের ফেরার পথে পরবর্তী আক্রমণকারী ক্ষুদ্র দলের সেই ভরসা থাকে না। প্রায়শ সাহায্য পৌঁছা সম্ভব হয় না, যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের এই নফল বা অতিরিক্ত প্রদান উৎসাহ ও মনোবল বৃদ্ধির জন্যই হইয়া থাকে।
