মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৯৮৫
৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৩৯৮৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আমাদের পূর্বে এই গনীমতের মাল খাওয়া) কাহারও জন্য হালাল ছিল না। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়া উহা আমাদের জন্য হালাল করিয়া দিয়াছেন। মোত্তাঃ
بَابُ قِسْمَةِ الْغَنَائِمِ وَالْغُلُوْلِ فِيْهَا: الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَلَمْ تَحِلَّ الْغَنَائِمُ لِأَحَدٍ مِنْ قَبْلِنَا ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ رَأَى ضعفنا وعجزنا فطيها لنا»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
الغنائم বহুবচন, একবচনে غنيمة অর্থ, যুদ্ধ চলাকালীন কাফেরদের নিকট হইতে যে সমস্ত মাল-সম্পদ হস্তগত হয়; রাষ্ট্রীয় বায়তুল মালের এক পঞ্চমাংশ লওয়ার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উহা যথানিয়মে বণ্টন করিতে হইবে। অন্য কোন লোকের উহাতে অংশ থাকিবে না। আর বিনাযুদ্ধে কিংবা সন্ধি চুক্তির মাধ্যমে কাফেরদের নিকট হইতে যে সমস্ত মাল পাওয়া যায়, উহাকে ফায় বলে ইহাতে মুজাহিদগণের নির্ধারিত কোন অংশ নাই। রাষ্ট্র নিজ বিবেচনায় মুসলমানদের কল্যাণমূলক কার্যসমূহে ইহা ব্যয় করিবে। আর গনীমতের অংশের অতিরিক্ত যে মাল ইমাম বা সেনাপতি কোন সৈনিককে প্রদান করেন, উহাকে বলা হয় নফল।
الغلول 'গলুল' অর্থ উট চুরি করা। কিন্তু ফকীহদের পরিভাষায় — গনীমতের মাল খেয়ানত করা এবং ব্যাপক অর্থে যে কোন প্রকারের অবৈধ ও হারামভাবে উপার্জিত মালকেও গলুল বলা হয়। আল্লাহ্ বলেনঃ وَمَن يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ অর্থাৎ, যে ব্যক্তি খেয়ানত করিবে, সে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করিবে তাহার খেয়ানতের বস্তু।
অতীত কালের নবীদের উম্মতগণ জেহাদ শেষে গনীমতে প্রাপ্ত সমুদয় মাল সম্পদকে মাঠে এক জায়গায় স্তূপ করিয়া রাখিত। অতঃপর আকাশ হইতে আগুন আসিয়া উহাকে জ্বালাইয়া ভস্ম করিয়া ফেলিত। কাহারও জন্য উহা খাওয়া কিংবা ব্যবহার করা হালাল ছিল না। কিন্তু যদি আগুন আসিয়া উহাকে না জ্বালাইত, তখন বুঝা যাইত যে, উহার মধ্যে খেয়ানত হইয়াছে এবং জেহাদও কবুল হয় নাই। কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্য উহা খাওয়া হালাল করিয়া দিয়াছেন।
الغلول 'গলুল' অর্থ উট চুরি করা। কিন্তু ফকীহদের পরিভাষায় — গনীমতের মাল খেয়ানত করা এবং ব্যাপক অর্থে যে কোন প্রকারের অবৈধ ও হারামভাবে উপার্জিত মালকেও গলুল বলা হয়। আল্লাহ্ বলেনঃ وَمَن يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ অর্থাৎ, যে ব্যক্তি খেয়ানত করিবে, সে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করিবে তাহার খেয়ানতের বস্তু।
অতীত কালের নবীদের উম্মতগণ জেহাদ শেষে গনীমতে প্রাপ্ত সমুদয় মাল সম্পদকে মাঠে এক জায়গায় স্তূপ করিয়া রাখিত। অতঃপর আকাশ হইতে আগুন আসিয়া উহাকে জ্বালাইয়া ভস্ম করিয়া ফেলিত। কাহারও জন্য উহা খাওয়া কিংবা ব্যবহার করা হালাল ছিল না। কিন্তু যদি আগুন আসিয়া উহাকে না জ্বালাইত, তখন বুঝা যাইত যে, উহার মধ্যে খেয়ানত হইয়াছে এবং জেহাদও কবুল হয় নাই। কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্য উহা খাওয়া হালাল করিয়া দিয়াছেন।
