মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৯৬৫
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা
৩৯৬৫। হযরত জুবায়র ইবনে মুতয়িম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের বন্দীদের সম্পর্কে বলিলেনঃ আজ যদি মুতয়িম ইবনে আদী জীবিত থাকিতেন এবং এই সমস্ত পূতিগন্ধময় লোকদের সম্পর্কে (অর্থাৎ, বদরের বন্দীদের সম্পর্কে) আমার কাছে সুপারিশ করিতেন, তাহা হইলে তাহার খাতিরে ইহাদের সবাইকে আমি ছাড়িয়া দিতাম। —বুখারী
كتاب الجهاد
وَعَن جُبَير بن مطعم أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي أُسَارَى بَدْرٍ: «لَوْ كَانَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ حَيًّا ثُمَّ كَلَّمَنِي فِي هَؤُلَاءِ النَّتْنَى لتركتهم لَهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মুতয়িমের পরিচয়ঃ মুতয়িম ইবনে আ'দী ইবনে নওফল ইবনে আবদে মুনাফ। ফলে মুতয়িম ছিলেন নবী (ﷺ)-এর দাদার চাচাত ভাই। এক সময় তিনি জনাব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতি প্রদর্শন করিয়াছিলেন। হুযুর (ﷺ) যখন ইসলামী দাওয়াত লইয়া তায়েফ গিয়াছিলেন এবং ব্যর্থ অবস্থায় ফিরিয়া আসিতেছিলেন, আর সেখানের লোকেরা আল্লাহর নবীকে পাগল বলিয়া তায়েফের বখাটে দুষ্ট ছোকরাদিগকে হুযূরের পিছনে লেলাইয়া দিয়াছিল, সেই সময় মুতয়িম ইবনে আ'দী আল্লাহর নবীকে আশ্রয় দিয়াছিলেন। তাই হুযূর (ﷺ) সেই দুর্দিনের উপকারের কৃতজ্ঞতা স্মরণ করিয়া বলিলেন, আজ মুতয়িম জীবিত থাকিলে এবং বদরের বন্দী সম্পর্কে সুপারিশ করিলে ইহাদেরকে মুক্ত করিয়া দিতাম। এই হাদীস এবং পূর্ববর্ণিত সুমামার হাদীস হইতে বুঝা যায় যে, কাফেরদেরে মুক্তিপণ ব্যতিরেকেই ছাড়িয়া দেওয়া জায়েয আছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান