মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৭- কিসাসের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৪৯০
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দিয়াত (রক্তপণ)
৩৪৯০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সাবধান! ভুলবশতঃ হত্যা যাহা এক প্রকার স্বেচ্ছায় হত্যার সাদৃশ্য অর্থাৎ, চাবুক কিংবা লাঠির দ্বারা হত্যা করা হয়। উহার দিয়ত একশত উট। তন্মধ্যে চল্লিশটি হইতে হইবে গর্ভবতী। —নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী।
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلَا إِنَّ دِيَةَ الْخَطَأِ شِبْهِ الْعَمْدِ مَا كَانَ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا مِائَةٌ مِنَ الإِبلِ: مِنْهَا أربعونَ فِي بطونِها أولادُها . رَوَاهُ النسائيُّ وَابْن مَاجَه والدارمي

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইমাম মালেক (রঃ) বলেন, 'শিবহে আমদ' নামে (অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃতের মত) কোন হত্যা নাই। বরং হত্যা ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলবশতঃ এই দুই প্রকারই হইতে পারে। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রঃ) হযরত ইবনে ওমর ও আলী (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস— أن القتل بالمثقل شبه عمد لايوجب القصاص দ্বারা দলীল গ্রহণ করিয়াছেন যে, 'শিবহে আমদ'ও এক প্রকারের কতল আছে, যাহার বদলে কেসাস ওয়াজিব হয় না; বরং দিয়ত ওয়াজিব হয়। সাধারণতঃ চাবুক কিংবা লাঠি দ্বারা আঘাত করিলে হত্যা করার উদ্দেশ্য থাকে না। কেননা, উহার আঘাত হাল্কাই হইয়া থাকে। এতদ্‌সত্ত্বেও যদি মরিয়া যায় তাহা হইলে বলিতে হইবে যে, অনিচ্ছাকৃত মারা পড়িয়াছে। সুতরাং এই ধরনের হত্যাকে বলা হয় 'শিবহে আমদ', কিন্তু যদি ভারী কোন জিনিস দ্বারা আঘাত করা হয়, তখন বলিতে হইবে যে, ইচ্ছা করিয়াই মারিয়াছে। সুতরাং এই প্রকারের হত্যাকে বলা হয় ধারাল অস্ত্র দ্বারা হত্যা করার ন্যায় ‘কতলে আমদ'। কাজেই এই ধরনের হত্যায় কেসাস ওয়াজিব।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান