মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৬- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৪০৯
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪০৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার কসমের মধ্যে লাত্‌ ও ওয্যার' নাম উচ্চারণ করে, তাহার উচিত সে যেন সঙ্গে সঙ্গেই 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে। আর যদি কেহ তাহার সঙ্গী-সাথীকে আহ্বান করিয়া বলে, এই দিকে আস, 'আমরা জুয়া খেলিব তবে, তাহারও উচিত সেও যেন অবশ্যই সদকা করে। —মোত্তাঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ حَلَفَ فَقَالَ فِي حَلِفِهِ: بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَمَنْ قَالَ لِصَاحِبِهِ: تَعَالَ أقامرك فليتصدق

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইহার উদ্দেশ্য হইল, কেহ যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে লাত্‌ ও ওযযা অথবা গায়রুল্লাহর নামে শপথ করিয়া ফেলে, তবে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' পাঠ করিয়া যেন ভুল ধারণা দূরীভূত করে। কেননা, বাহ্যিকরূপে ইহা কুফরী, অবশ্য যদি কেহ উহার সম্মানার্থে শপথ করে, তবে সে ধর্মত্যাগী ও কাফের হইয়া যাইবে। তখন তাহাকে তওবা করিয়া সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামের দিকে ফিরিয়া আসা ওয়াজিব। শরহে সুন্নাহ্ কিতাবে বর্ণিত হইয়াছে যে, গায়রুল্লাহর নামে বা ইসলামের পরিপন্থী কিছুর নামে শপথ করিলে তাহাকে কোন প্রকারের কাফ্ফারা আদায় করিতে হইবে না। অবশ্য সে শক্ত গুনাহগার হইবে, কাজেই তাহার জন্য তওবা করাটা অপরিহার্য। কেননা, নবী (ﷺ) এমন ধরনের ব্যক্তিকে তাহার দ্বীন ও ঈমান সংশোধনের নির্দেশ দিয়াছেন, তাহার মালের উপর কিছুই ওয়াজিব করেন নাই। জুয়া যে হারাম ইহার মধ্যে কাহারও দ্বিমত নাই। একবার ভাবিয়া দেখা উচিত, এই কাজের জন্য কেবল আহ্বান করিলেই যদি তওবা করিতে হয় এবং কিছু মাল সদকাও করিতে হয়, তবে জুয়া খেলিলে তাহার পরিণাম কি দাঁড়াইবে উহা বলার অপেক্ষা রাখে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৩৪০৯ | মুসলিম বাংলা