মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৯৭
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (স্বামী-স্ত্রীর) সহবাস
৩১৯৭। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, স্বাধীনা নারীর অনুমতি ব্যতীত তাহার সাথে 'আযল' করিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন। —ইবনে মাজাহ্
الْفَصْل الثَّالِث
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَن يعْزل عَن الْحرَّة إِلَّا بِإِذْنِهَا. رَوَاهُ ابْن مَاجَه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
'আযল' সম্পৰ্কীয় এসকল হাদীস আলোচনা করিয়া ফকীহ সাধারণ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, ‘আযল' জায়েয, কিন্তু মাকরূহ। সুতরাং না করাই উত্তম। আর স্বাধীনা নারীতে তাহার অনুমতি ব্যতীত জায়েযই নহে; কিন্তু ফকীহদের মধ্যে কেহ কেহ ‘আযল'কে না-জায়েয বা হারামও বলিয়াছেন। কারণ, হুযূর (ﷺ) ইহাকে প্রচ্ছন্ন জীবন্ত সন্তান 'দাফন' বলিয়াছেন (৭নং হাদীস)। কেননা, এই বীর্যের দ্বারা সন্তান সৃষ্টি হওয়া সম্ভবপর ছিল। তাহাকে নষ্ট করা হইল। ইঁহারা কোরআনের এই আয়াতকেও প্রমাণে ব্যবহার করিয়াছেনঃ “তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করিও না দারিদ্র্যের ভয়ে। কেননা, আমিই তোমাদিগকে ও তাহাদিগকে রিযিক দান করি।” ইঁহাদের মতে জীব সৃষ্টি ও বংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে নষ্ট করা জীবন নাশেরই অনুরূপ। (তফসীরে কুরতুবী, সূরা আনআম, আয়াত ১৫১)
জন্মনিয়ন্ত্রণঃ ইহাকে আধুনিক পদ্ধতির 'আযল' বলা চলে। তবে উভয়ের মধ্যে একটি বড় রকমের পার্থক্যও রহিয়াছে। 'আযল' হইল একটি নিছক ব্যক্তিগত ব্যাপার; আর জন্মনিয়ন্ত্রণ হইল ব্যাপক আকারে একটি জাতীয় ব্যাপার। ইহাতে ব্যাপক আকারে জনসংখ্যা হ্রাসের চেষ্টা করা হয়, অথচ দুনিয়াতেও এক পর্যায়ে জনসংখ্যার প্রয়োজন আছে। আখেরাতেও মু'মিনদের জনসংখ্যা লইয়া হুযূর (ﷺ) গর্ব করিবেন। সুতরাং ইহাকে মাকরূহ বা জায়েয না বলিয়া ফকীহদের দ্বিতীয় দলের মতকে গ্রহণ করাই সঙ্গত। হাঁ, যদি কোন দেশ বেকারপড়া সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাইয়াও খাদ্য সমস্যা সমাধান করিতে সক্ষম না হয়, তবে 'আবশ্যক না-জায়েযকেও জায়েয করে।' যেমন, ক্ষুধায় প্রাণান্ত ব্যক্তির পক্ষে মরা খাওয়া। —এই নীতি অনুসারে সে দেশের জন্য ইহা বিবেচনা করা যাইতে পারে। ইহার আগে নহে। বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থ বিশেষজ্ঞগণের অভিমত এই যে, ইহার প্রায় সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদই বেকার পড়িয়া আছে।
জন্মনিয়ন্ত্রণঃ ইহাকে আধুনিক পদ্ধতির 'আযল' বলা চলে। তবে উভয়ের মধ্যে একটি বড় রকমের পার্থক্যও রহিয়াছে। 'আযল' হইল একটি নিছক ব্যক্তিগত ব্যাপার; আর জন্মনিয়ন্ত্রণ হইল ব্যাপক আকারে একটি জাতীয় ব্যাপার। ইহাতে ব্যাপক আকারে জনসংখ্যা হ্রাসের চেষ্টা করা হয়, অথচ দুনিয়াতেও এক পর্যায়ে জনসংখ্যার প্রয়োজন আছে। আখেরাতেও মু'মিনদের জনসংখ্যা লইয়া হুযূর (ﷺ) গর্ব করিবেন। সুতরাং ইহাকে মাকরূহ বা জায়েয না বলিয়া ফকীহদের দ্বিতীয় দলের মতকে গ্রহণ করাই সঙ্গত। হাঁ, যদি কোন দেশ বেকারপড়া সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাইয়াও খাদ্য সমস্যা সমাধান করিতে সক্ষম না হয়, তবে 'আবশ্যক না-জায়েযকেও জায়েয করে।' যেমন, ক্ষুধায় প্রাণান্ত ব্যক্তির পক্ষে মরা খাওয়া। —এই নীতি অনুসারে সে দেশের জন্য ইহা বিবেচনা করা যাইতে পারে। ইহার আগে নহে। বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থ বিশেষজ্ঞগণের অভিমত এই যে, ইহার প্রায় সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদই বেকার পড়িয়া আছে।
