মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯৯১
১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
২৯৯১। হযরত আয়েশা (রাঃ) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন যে এমন যমীন আবাদ করিয়াছে যাহা কাহারও মালিকানায় নহে সে-ই উহার হকদার। তাবেয়ী ওরওয়া ইবনে যুবায়র বলেন, হযরত ওমরও তাঁহার খেলাফতকালে এই হুকুম দিয়াছিলেন। (সুতরাং ইহা মানসুখ নহে।) — বোখারী
بَابُ إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ وَالشِّرِبِ: الْفَصْل الأول
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ عَمَرَ أَرْضًا لَيْسَتْ لِأَحَدٍ فَهُوَ أَحَقُّ» . قَالَ عُرْوَةُ: قَضَى بِهِ عُمَرُ فِي خِلَافَتِهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

অনাবাদ যমীন আবাদ করা, সেচের পালা
ও সরকারী ভূমি দান করা

‘অনাবাদ যমীন’—মূলে 'মাওয়াত' শব্দ রহিয়াছে। যাহার অর্থ, অনাবাদ যমীন। ইমাম তাহাবীর মতে মালিকহীন যমীন, যাহা লোকালয়ের লোকের কোন কাজে আসে না, লোকালয় হইতে দূরে হউক বা কাছে। ‘সরকারী ভূমি দান করা' —মূলে ইহা নাই, কিন্তু অধ্যায়ে এ মর্মে একাধিক হাদীস রহিয়াছে। — অনুবাদক

ইহাতে বুঝা গেল যে, ইসলাম যমীনে ব্যক্তি মালিকানা স্বীকার করে এবং আবাদকারীই যমীনের মালিক ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান