মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮০৯
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮০৯। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রপা রূপার বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খুর্মা খুর্মার বিনিময়ে, নিমক নিমকের বিনিময়ে লেনদেন করা হইলে সেই ক্ষেত্রে। পরিমাণের সমতা এবং উপস্থিত আদান-প্রদান করিতে হইবে। (আর বিভিন্ন জাতীয় বস্তুর বিনিময়ে উভয় পক্ষ হইতে উপস্থিত আদান-প্রদান ও নগদ লেনদেনের আবশ্যক শুধুমাত্র ঐ ক্ষেত্রে, যে ক্ষেত্রে বিনিময়ের বস্তুদ্বয় ভিন্ন ভিন্ন জাতের হইয়াও শরীআতের দৃষ্টিতে মাপ-প্রণালীতে এক শ্রেণীভুক্ত। যথা— গম, যব, খুর্মা এইসব ভিন্ন ভিন্ন জাতের, কিন্তু মাপ- প্রণালীতে শরীআতের নিকট সবগুলিই এক শ্রেণীভুক্ত তথা ধামার মাপ শ্রেণীভুক্ত। তদ্রূপ স্বর্ণ ও রৌপ্য ভিন্ন ভিন্ন বটে, কিন্তু মাপ-প্রণালীতে উভয়টিই এক শ্রেণীভূক্ত, যথা—নিক্তির মাপ শ্রেণীভূক্ত। সুতরাং গম যবের বা খুর্মার সহিত, যব খুর্মার সহিত এবং স্বর্ণ রূপার সহিত বিনিময় করা হইলে সেই ক্ষেত্রে পরিমাণে সমতার প্রয়োজন নাই। কিন্তু উভয় পক্ষ হইতে উপস্থিত আদান-প্রদান ও নগদ লেনদেন হইতে হইবে। নতুবা সুদী লেনদেনে পরিগণিত হইয়া হারাম সাব্যস্ত হইবে। হ্য—স্বর্ণ বা রূপার সহিত গম, যব কিম্বা খুমার বিনিময় হইলে সেই ক্ষেত্রে পরিমাণে সমতারও প্রয়োজন নাই এবং উভয় পক্ষের নগদ লেনদেনেরও প্রয়োজন নাই। আর সমজাতীয় দ্রব্যের বিনিময়ে) যে ব্যক্তি বেশী দিবে বা বেশী গ্রহণ করিবে সে সুদ লেনদেনকারী সাব্যস্ত হইবে; সেই ক্ষেত্রে গ্রহীতা ও দাতা উভয়ই (গোনাহ্গার হওয়ায়) সমান সাব্যস্ত হইবে। — মুসলিম
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلًا بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى الْآخِذُ وَالْمُعْطِي فِيهِ سَوَاءٌ» . رَوَاهُ مُسلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২৮০৯ | মুসলিম বাংলা