মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬১৪
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬১৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, কোরবানীর পূর্ব রাত্রিতে নবী করীম (ﷺ) উম্মে সালামাকে (মিনায়) পাঠাইয়া দিলেন। উম্মে সালামা উষার পূর্বেই কাকর মারিলেন, অতঃপর মক্কায় যাইয়া তওয়াফে ইফাযা করিয়া আসিলেন, আর সেই দিন ছিল যেদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (বণ্টন অনুসারে) তাঁহার নিকট থাকিতেন। —আবু দাউদ
وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: أَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بأُمِّ سَلَمَةَ ليلةَ النَّحْر فرمت الجمرةَ قبلَ الْفَجْرِ ثُمَّ مَضَتْ فَأَفَاضَتْ وَكَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ الْيَوْمَ الَّذِي يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

(১) হুযূর আপন বিবিদের নিকট সমানভাবে থাকার জন্য বণ্টন করিয়া রাখিয়াছিলেন। উম্মে সালামা সকাল সকাল সমস্ত কাজ এ জন্যই সারিয়া রাখিয়াছিলেন। যাহাতে হুযূর মুযদালিফা হইতে মিনায় আসিলে তিনি তাঁহার খেদমতে হাযির থাকিতে পারেন। (২) এই হাদীস অনুসারে ইমাম শাফেয়ী রাতে কঙ্কর মারাকে জায়েয মনে করেন। পক্ষান্তরে ইমাম আ'যম ইহা হযরত উম্মে সালামার জন্য একটা বিশেষ ব্যবস্থা ছিল বলিয়া বলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান