মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬০৮
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬০৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনও কোন নামাযকে উহার (নিয়মিত) সময়ে ছাড়া পড়িতে দেখি নাই দুই নামায ব্যতীত — মাগরিব ও এশা মুযদালিফায় (তিনি একত্রে পড়িয়াছিলেন) এবং তথায় নজর পড়িয়াছিলেন উহার (নিয়মিত) সময়ের পূর্বে (অর্থাৎ, উষা ফর্সা হওয়ার পূর্বে)। মোত্তাঃ
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً إِلَّا لِمِيقَاتِهَا إِلَّا صَلَاتَيْنِ: صَلَاةَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ وَصَلَّى الْفَجْرَ يومئِذٍ قبلَ ميقاتها
হাদীসের ব্যাখ্যা:
(১) হাদীসটির আসল পাঠ হইবে, “দুই নামায ব্যতীত মাগরিবের নামায মুযদালিফায় এশার সাথে এবং আসরের নামায আরাফাতে যোহরের সাথে।” অন্যথায় হাদীসের মর্মই ঠিক হইবে না। কেননা, এখানে উভয় নামায বে-ওয়াক্তে পড়া হয় নাই। এশার নামায উহার নিজ ওয়াক্তেই পড়া হইয়াছে। অন্যদিকে আরাফাতের আসরের নামাযের কথা বাদই পড়িয়া গিয়াছে, অথচ উহাও উহার নিজ সময়ের পূর্বেই পড়া হইয়াছিল। (২) এ হাদীস অনুসারেই ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) বলেন যে, এই দুই স্থান ব্যতীত অপর সফরে এক নামায তাপর নামাযের সময় পড়া জায়েয নহে। (মিরকাত)
