মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬০৫
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬০৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি আরাফার তারিখে আরাফাত হইতে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন। এ সময় নবী করীম ছামাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পিছন হইতে সজোরে বাহন তাড়ানের ও উট মারার শব্দ শুনিলেন। তখন তিনি আপন চাবুক দ্বারা তাহাদের প্রতি ইশারা করিয়া বলিলেনঃ হে লোকসকল! তোমরা শান্তির সহিত চলিবে। শুধু উট তাড়ানই নেকী নহে। (হজ্জের যাবতীয় কার্যক্রম ঠিকমত সম্পন্ন করাই নেকী।) বুখারী
وَعَن ابنِ عبَّاسٍ أَنَّهُ دَفَعَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَاءَهُ زَجْرًا شَدِيدًا وَضَرْبًا لِلْإِبِلِ فَأَشَارَ بِسَوْطِهِ إِلَيْهِمْ وَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ فَإِنَّ الْبِرَّ لَيْسَ بِالْإِيضَاعِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিদায় হজ্জের কথা। তিনি আরাফার দিন সূর্যাস্তের পর সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মুযদালিফায় যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিপুল সংখ্যক লোক। সকলেই দ্রুত যাওয়ার জন্য উটগুলোকে সজোরে হাঁকাচ্ছিল। কেউ কেউ পেটাচ্ছিল। তাতে উটগুলো উচ্চস্বরে আওয়াজ করছিল। সব মিলে খুব শোরগোল হচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে শোরগোল শুনে তাদের দিকে ফিরে তাকালেন এবং লাঠি দিয়ে ইশারা করে বললেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ (হে লোকসকল! তোমরা শান্তভাবে চলো। কেননা দ্রুত চলায় কোনও পুণ্য নেই)। অর্থাৎ এটা হজ্জের আমল। মিনা, আরাফা ও মুযদালিফা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের স্থান। সে হিসেবে এগুলো আল্লাহ তা'আলার নিদর্শন। এসবকে সম্মান করা জরুরি। সে সম্মানের দাবি হল আদবের সঙ্গে চলা। এ চলাটা সাধারণ কোনও চলা নয়। আরাফা থেকে মুযদালিফা গমন হজ্জেরই একটা আমল। তাই এ চলার স্বতন্ত্র মহিমা আছে। শোরগোল করার দ্বারা সে মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়। কাজেই উটগুলোকে দ্রুত না হাঁকিয়ে ধীরে চালাও। তোমরা শান্তভাবে চলো। হইচই করো না। হজ্জের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করো। আমাদের উদ্দেশ্য তো নেকী লাভ করা। দ্রুত চলাটা নেকী লাভের উপায় নয়। তাতে কেবল কষ্টই বাড়ে। পশুদেরও শুধু শুধু কষ্ট দেওয়া হয়। নেকী লাভের উপায় হল আল্লাহর সামনে বিনয়, নম্রতা এবং নিজ ক্ষুদ্রতা ও হীনতা প্রকাশ করা। ধীর-শান্তভাবে চলার দ্বারাই তার প্রকাশ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হজ্জের স্থানসমূহে চলাচলের ক্ষেত্রে ধীর-শান্ত ভাব বজায় রাখতে হবে।
খ. যে-কোনও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে গমন ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ করার সময় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিত।
গ. দ্রুত চলাটা পুণ্য লাভের উপায় নয়। বরং পুণ্য লাভ করার উপায় হল বিনয়-নম্রতার সঙ্গে চলা।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ (হে লোকসকল! তোমরা শান্তভাবে চলো। কেননা দ্রুত চলায় কোনও পুণ্য নেই)। অর্থাৎ এটা হজ্জের আমল। মিনা, আরাফা ও মুযদালিফা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের স্থান। সে হিসেবে এগুলো আল্লাহ তা'আলার নিদর্শন। এসবকে সম্মান করা জরুরি। সে সম্মানের দাবি হল আদবের সঙ্গে চলা। এ চলাটা সাধারণ কোনও চলা নয়। আরাফা থেকে মুযদালিফা গমন হজ্জেরই একটা আমল। তাই এ চলার স্বতন্ত্র মহিমা আছে। শোরগোল করার দ্বারা সে মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়। কাজেই উটগুলোকে দ্রুত না হাঁকিয়ে ধীরে চালাও। তোমরা শান্তভাবে চলো। হইচই করো না। হজ্জের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করো। আমাদের উদ্দেশ্য তো নেকী লাভ করা। দ্রুত চলাটা নেকী লাভের উপায় নয়। তাতে কেবল কষ্টই বাড়ে। পশুদেরও শুধু শুধু কষ্ট দেওয়া হয়। নেকী লাভের উপায় হল আল্লাহর সামনে বিনয়, নম্রতা এবং নিজ ক্ষুদ্রতা ও হীনতা প্রকাশ করা। ধীর-শান্তভাবে চলার দ্বারাই তার প্রকাশ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হজ্জের স্থানসমূহে চলাচলের ক্ষেত্রে ধীর-শান্ত ভাব বজায় রাখতে হবে।
খ. যে-কোনও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে গমন ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ করার সময় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিত।
গ. দ্রুত চলাটা পুণ্য লাভের উপায় নয়। বরং পুণ্য লাভ করার উপায় হল বিনয়-নম্রতার সঙ্গে চলা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
