মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫৫৬
২. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিদায় হজের বৃত্তান্তের বিবরণ
২৫৫৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিদায়ী হজ্জে রওয়ানা হইলাম, আমাদের মধ্যে কেহ উমরার এহরাম বাঁধিয়াছিল, আর কেহ হজ্জের এহরাম। যখন আমরা মক্কায় পৌঁছিলাম, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ যে উমরার এহরাম বাঁধিয়াছে এবং কোরবানীর পশু সাথে আনে নাই, সে যেন (উমরার কাজ শেষ করিয়া) এহরাম খুলিয়া ফেলে। আর যে উমরার এহরাম বাঁধিয়াছে এবং সাথে কোরবানীর পশু আনিয়াছে, সে যেন হজ্জের তালবিয়া বলে উমরার সাথে এবং এহরাম না খোলে, যাবৎ না হজ্জ ও উমরা উভয় হইতে অবসর গ্রহণ করে। অপর বর্ণনায় আছে, সে যেন এহরাম না খোলে যাবৎ না পশু কোরবানী করিয়া অবসর গ্রহণ করে, আর যে শুধু হজ্জের এহরাম বাঁধিয়াছে, সে যেন হজ্জের কাজ পূর্ণ করে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি হায়যগ্রস্তা হইয়া গেলাম এবং (উমরার জন্য) খানায়ে কা'বার তওয়াফ করিতে পারিলাম না এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে সায়ীও করিতে পারিলাম না। আমার অবস্থা এইরূপ রহিল, যাবৎ না আরাফার দিন উপস্থিত হইল, অথচ আমি উমরা ছাড়া কিছুর (অর্থাৎ, হজ্জের এহরাম বাঁধি নাই। তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ দিলেন — আমি যেন আমার মাথার চুল খুলিয়া দিই এবং উহাতে চিরুনি করি এবং হজ্জের এহরাম বাঁধি আর উমরা ত্যাগ করি। সুতরাং আমি এইরূপ করিলাম এবং আমার হজ্জ আদায় করিলাম। অতঃপর তিনি (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরকে আমার সাথে পাঠাইলেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন আমার সেই উমরার পরিবর্তে তানযীম হইতে উমরা করি।
হযরত আয়েশা বলেন, যাহারা শুধু উমরার এহরাম বাঁধিয়াছিল তাহারা খানায়ে কা'বার তওয়াফ করিল এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে সায়ী করিল, অতঃপর তাহারা হালাল হইয়া গেল। অতঃপর তাহারা (হজ্জের জন্য) তওয়াফ করিল, যখন মিনা হইতে (১০ তারিখে) প্রত্যাবর্তন করিল; কিন্তু যাহারা হজ্জ ও উমরার এক সাথে এহরাম বাঁধিয়াছিল তাহারা শুধু (১০ তারিখে) একটি মাত্র তওয়াফ করিল। (তাহাদের উমরার প্রথম তওয়াফের আবশ্যক হয় নাই।) — মোত্তাঃ
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি হায়যগ্রস্তা হইয়া গেলাম এবং (উমরার জন্য) খানায়ে কা'বার তওয়াফ করিতে পারিলাম না এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে সায়ীও করিতে পারিলাম না। আমার অবস্থা এইরূপ রহিল, যাবৎ না আরাফার দিন উপস্থিত হইল, অথচ আমি উমরা ছাড়া কিছুর (অর্থাৎ, হজ্জের এহরাম বাঁধি নাই। তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ দিলেন — আমি যেন আমার মাথার চুল খুলিয়া দিই এবং উহাতে চিরুনি করি এবং হজ্জের এহরাম বাঁধি আর উমরা ত্যাগ করি। সুতরাং আমি এইরূপ করিলাম এবং আমার হজ্জ আদায় করিলাম। অতঃপর তিনি (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরকে আমার সাথে পাঠাইলেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন আমার সেই উমরার পরিবর্তে তানযীম হইতে উমরা করি।
হযরত আয়েশা বলেন, যাহারা শুধু উমরার এহরাম বাঁধিয়াছিল তাহারা খানায়ে কা'বার তওয়াফ করিল এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে সায়ী করিল, অতঃপর তাহারা হালাল হইয়া গেল। অতঃপর তাহারা (হজ্জের জন্য) তওয়াফ করিল, যখন মিনা হইতে (১০ তারিখে) প্রত্যাবর্তন করিল; কিন্তু যাহারা হজ্জ ও উমরার এক সাথে এহরাম বাঁধিয়াছিল তাহারা শুধু (১০ তারিখে) একটি মাত্র তওয়াফ করিল। (তাহাদের উমরার প্রথম তওয়াফের আবশ্যক হয় নাই।) — মোত্তাঃ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَلَمْ يُهْدِ فَلْيَحْلِلْ وَمَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَأَهْدَى فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ العُمرةِ ثمَّ لَا يحل حَتَّى يحل مِنْهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَلَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ بِنَحْرِ هَدْيِهِ وَمَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ فَلْيُتِمَّ حَجَّهُ» . قَالَتْ: فَحِضْتُ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمْ أَزَلْ حَائِضًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ وَلَمْ أُهْلِلْ إِلَّا بِعُمْرَةٍ فَأَمَرَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَنْقُضَ رَأْسِي وَأَمْتَشِطَ وَأُهِلَّ بِالْحَجِّ وَأَتْرُكَ الْعُمْرَةَ فَفَعَلْتُ حَتَّى قَضَيْتُ حَجِّي بَعَثَ مَعِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ وَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَمِرَ مَكَانَ عُمْرَتِي مِنَ التَّنْعِيمِ قَالَتْ: فَطَافَ الَّذِينَ كَانُوا أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا ثمَّ طافوا بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
'তাহারা একটি মাত্র তওয়াফ করিল’——ইহা কোন কোন সাহাবীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। অন্যথায় উপরের জাবেরের হাদীসে জানা গিয়াছে যে, হুযূর দুইবার তওয়াফ করিয়াছিলেন, একবার আরাফাতে যাওয়ার (অর্থাৎ, ৮ তারিখের) পূর্বে আবার ১০ তারিখে মিনা হইতে আসিয়া, অথচ তিনি কেরান করিয়াছিলেন বলিয়া সাব্যস্ত হইয়াছে।
