মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
হাদীস নং: ২৩৪৪
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৪৪। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শয়তান বলিল, প্রভু হে! তোমার ইযযতের কসম — আমি তোমার বান্দাদিগকে গোমরাহ করিতে থাকিব, যাবৎ তাহাদের প্রাণ দেহে থাকে। তখন প্রভু পরওয়ারদেগার আযযা ও জাল্লা বলিলেন, আমার ইযযত ও জালাল ও উচ্চ মর্যাদার কসম — আমি তাহাদিগকে মাফ করিতে থাকিব যাবৎ তাহারা আমার নিকট মাফ চাহিতে থাকে। – আহমদ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ قَالَ: وَعِزَّتِكَ يَا رَبِّ لَا أَبْرَحُ أُغْوِي عِبَادَكَ مَا دَامَتْ أَرْوَاحُهُمْ فِي أَجْسَادِهِمْ فَقَالَ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي وَارْتِفَاعِ مَكَانِي لَا أَزَالُ أَغْفِرُ لَهُمْ مَا اسْتَغْفَرُونِي رَوَاهُ أَحْمَدُ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
