মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৮- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২০৩৯
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৩৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: রমযানের রোযার পর আল্লাহর মাস মহররমের রোযাই হইল শ্রেষ্ঠ রোযা এবং ফরয নামাযের পর রাতের নামাযই হইল শ্রেষ্ঠ নামায। -মুসলিম
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمِ وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ» . رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

‘মুহররমের রোযা'—অর্থে এখানে আশুরার অর্থাৎ দশ তারিখের রোযাকেই বুঝান হইয়াছে। কেননা, হুযূর সর্বদা শা'বান মাসেই অধিক নফল রোযা রাখিতেন। মুহররম মাসের ফযীলত অধিক হইলে তিনি উহা ছাড়িয়া শা'বান মাসের রোযা রাখিবেন কেন? আর যদি মুহররম মাস—অর্থে এখানে পূর্ণ মুহররম মাসকেই বুঝান হয় তাহা হইলে মনে করিবে যে, মুহররমের ফযীলতের কথা হুযূরকে তাঁহার শেষ জীবনেই জানান হইয়াছিল।
মুহররমের ফযীলত উহাতে হযরত হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ)-এর শাহাদতের কারণেই নহে ; বরং উহার ফযীলত পূর্ব হইতেই চলিয়া আসিয়াছে। উহাতেই হযরত আদম (আঃ) দুনিয়াতে আগমন করিয়াছেন, উহাতেই হযরত মূসা (আঃ) ফেরাউনের হাত হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছেন এবং উহাতেই কিয়ামত কায়েম হইবে।
'রাতের নামায'—অর্থে এখানে তাহাজ্জুদের নামাযকেই বুঝান হইয়াছে। ইহাতে বুঝা যায় যে, তাহাজ্জুদের নামায সুন্নত নামাযসমূহ অপেক্ষাও উত্তম। কারণ উহাতে কষ্ট অধিক হইয়া থাকে। আর কাহারও মতে রাতের নামায অর্থে এখানে বিতির নামাযকেই বুঝান হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২০৩৯ | মুসলিম বাংলা