মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫১২
৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনও এইরূপ হাসিতে দেখি নাই, যাহাতে তাহার আল-জিভ দেখিতে পাই। তিনি শুধু মুচকি হাসিতেন। তিনি যখন মেঘ অথবা প্রবল বাতাস দেখিতেন, ইহার চিহ্ন তাঁহার চেহারা বিচলিত হইয়া পড়িত। (কেননা, ঝড় ও প্লাবন দ্বারা আল্লাহ্ অনেক জাতিকে ধ্বংস করিয়াছেন।) — মোত্তাঃ
بَابٌ فِي الرِّيَاحِ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يتبسم فَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا عُرِفَ فِي وَجهه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাসি তিন রকম হয়ে থাকে। এক হল মুচকি হাসি। এ হাসিতে মুখ খোলে না ও দাঁত দেখা যায় না। কেবল ঠোঁট প্রসারিত হয় ও চেহারা উদ্ভাসিত হয়। আরবীতে একে تَبسم ও اِبتِسَامُ বলে। যে হাসিতে মুখ খুলে যায় ও দাঁত দেখা যায় কিন্তু শব্দ হয় না, তাকে ضحك বলে। আর যদি শব্দও হয়, তবে তাকে বলা হয় قهقهَةٌ অর্থাৎ অট্টহাসি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও অট্টহাসি দিতেন না। অধিকাংশ সময় তাঁর হাসি হতো মুচকি হাসি। যেমনটা এ হাদীছে বলা হয়েছে। কখনও কখনও তিনি মুখ খুলেও হাসি দিতেন। তখন তাঁর সামনের দাঁতসমূহ দেখা যেত।
مُسْتَجْمعًا শব্দটির উৎপত্তি اِسْتِجمَاعٌ থেকে। এর অর্থ একত্র করা, জড়ো করা, পরিপূর্ণরূপে সম্পাদন করা। এর দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাসিতে ঠোঁট, দাঁত, মুখগহ্বর ইত্যাদি হাসির অঙ্গসমূহের পরিপূর্ণ ব্যবহার করতেন না। অর্থাৎ সবগুলো অঙ্গের ব্যবহার দ্বারা পূর্ণাঙ্গ হাসি তিনি দিতেন না। অধিকাংশ সময় কেবল ঠোঁটের সাহায্যে মুচকি হাসি দিতেন।
এর দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য হাসির ক্ষেত্রেও তিনি পরিমিত স্বভাবের ছিলেন। হাসির বিপুল বিস্তার ও অট্টহাসি দিয়ে তিনি নিজ ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করতেন না। যত বড় আনন্দের বিষয়ই হোক না কেন, তাতে তাঁর শান্ত সমাহিত ভাব ক্ষুণ্ণ হতে পারত না। সে আনন্দের প্রকাশে তিনি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন। বড়জোর সামনের দাঁত দেখা যেত। এর বেশি নয়। অর্থাৎ কখনওই শব্দ করে হাসতেন না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
গাম্ভীর্য ও ধীর-শান্ত প্রকৃতি রক্ষা করা সর্বাবস্থায় কাম্য ও প্রশংসনীয়। এমনকি হাসি ও আনন্দ প্রকাশের ক্ষেত্রেও।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও অট্টহাসি দিতেন না। অধিকাংশ সময় তাঁর হাসি হতো মুচকি হাসি। যেমনটা এ হাদীছে বলা হয়েছে। কখনও কখনও তিনি মুখ খুলেও হাসি দিতেন। তখন তাঁর সামনের দাঁতসমূহ দেখা যেত।
مُسْتَجْمعًا শব্দটির উৎপত্তি اِسْتِجمَاعٌ থেকে। এর অর্থ একত্র করা, জড়ো করা, পরিপূর্ণরূপে সম্পাদন করা। এর দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাসিতে ঠোঁট, দাঁত, মুখগহ্বর ইত্যাদি হাসির অঙ্গসমূহের পরিপূর্ণ ব্যবহার করতেন না। অর্থাৎ সবগুলো অঙ্গের ব্যবহার দ্বারা পূর্ণাঙ্গ হাসি তিনি দিতেন না। অধিকাংশ সময় কেবল ঠোঁটের সাহায্যে মুচকি হাসি দিতেন।
এর দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য হাসির ক্ষেত্রেও তিনি পরিমিত স্বভাবের ছিলেন। হাসির বিপুল বিস্তার ও অট্টহাসি দিয়ে তিনি নিজ ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করতেন না। যত বড় আনন্দের বিষয়ই হোক না কেন, তাতে তাঁর শান্ত সমাহিত ভাব ক্ষুণ্ণ হতে পারত না। সে আনন্দের প্রকাশে তিনি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন। বড়জোর সামনের দাঁত দেখা যেত। এর বেশি নয়। অর্থাৎ কখনওই শব্দ করে হাসতেন না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
গাম্ভীর্য ও ধীর-শান্ত প্রকৃতি রক্ষা করা সর্বাবস্থায় কাম্য ও প্রশংসনীয়। এমনকি হাসি ও আনন্দ প্রকাশের ক্ষেত্রেও।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
