মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪২৬
৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত।
দুই ঈদ——ঈদুল ফিতর' বা রোযার ঈদ এবং ‘ঈদুল আযহা' বা কোরবানীর ঈদ। এ ব্যাপারে হাদীসসমূহ আলোচনা করিয়া ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) এ সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, ঈদের নামায ওয়াজিব। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলেরও এই মত। ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম মালেকের মতে সুন্নত। সূর্যোদয়ের কিছু পর হইতে সূর্য স্থির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাযের সময়। ঈদের নামায দুই রাকআত। ঈদের নামায মাঠের বড় ঈদগাহে পড়া সুন্নত। হুযূর (ﷺ) ইহা সর্বদা মাঠের ঈদগাহেই পড়িয়াছেন। ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে লোক আজ এই সুন্নত পালনে অমনোযোগী।
দুই ঈদ——ঈদুল ফিতর' বা রোযার ঈদ এবং ‘ঈদুল আযহা' বা কোরবানীর ঈদ। এ ব্যাপারে হাদীসসমূহ আলোচনা করিয়া ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) এ সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, ঈদের নামায ওয়াজিব। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলেরও এই মত। ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম মালেকের মতে সুন্নত। সূর্যোদয়ের কিছু পর হইতে সূর্য স্থির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাযের সময়। ঈদের নামায দুই রাকআত। ঈদের নামায মাঠের বড় ঈদগাহে পড়া সুন্নত। হুযূর (ﷺ) ইহা সর্বদা মাঠের ঈদগাহেই পড়িয়াছেন। ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে লোক আজ এই সুন্নত পালনে অমনোযোগী।
১৪২৬। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহের দিকে বাহির হইয়া যাইতেন এবং তথায় যাইয়া প্রথমে যাহা করিতেন তাহা হইল নামায। অতঃপর ফিরিয়া জনতার দিকে মুখ করিয়া দাড়াইতেন আর জনতা তখন নিজেদের ছকে বসা থাকিত। তিনি তাহাদিগকে উপদেশ দিতেন, নসীহত করিতেন এবং নির্দেশ দিতেন। আর যদি কোথাও সৈন্য প্রেরণের ইচ্ছা রাখিতেন। তাহাদিগকে বাছাই করিতেন অথবা যদি কাহাকেও কোন নির্দেশ দিবার থাকিত নির্দেশ দিতেন। (ইহাই হইল হুযুরের খোতবা) অতঃপর বাড়ী ফিরিতেন। মোত্তাঃ
بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يخرج يَوْم الْفطر وَالْأَضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلَاةُ ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ فَيَعِظُهُمْ وَيُوصِيهِمْ وَيَأْمُرُهُمْ وَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ أَوْ يَأْمر بِشَيْء أَمر بِهِ ثمَّ ينْصَرف
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মদীনার সে ঈদগাহ্ (মোসাল্লা) মসজিদে নববী হইতে আনুমানিক সাড়ে তিন শত গজ দূরে অবস্থিত।
