মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪২৫
৪৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ( জেহাদ উদ্দেশ্যে) যাজনান্ ও উসফান নামক স্থানের মধ্যবর্তী স্থলে উপস্থিত হইলেন। তখন মুশরিকরা বলিল, এই মুসলমানদের একটা নামায আছে, যাহা তাহাদের নিকট তাহাদের পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্তুতি অপেক্ষাও অধিক প্রিয়তর, আর তাহা হইল আছরের নামায। সুতরাং তোমরা দলবদ্ধ হও এবং (তাহারা আছর পড়িতে থাকাকালে) হঠাৎ তাহাদের উপর আপতিত হও। এসময় নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট হযরত জিবরাঈল (আঃ) উপস্থিত হইলেন এবং তাহাকে নির্দেশ দিলেন তিনি যেন তাঁহার সহচরগণকে দুই দলে বিভক্ত করেন এবং এক দলকে লইয়া নামায পড়েন আর অপর দল তাঁহাদের অপর দিকে (শত্রুর মোকাবেলায়) দাঁড়াইয়া থাকে; কিন্তু সব সময় ( এমন কি নামাযেও) যেন তাঁহাদের পক্ষে সম্ভাব্য সতর্কতা এবং নিজেদের অস্ত্র-শস্ত্র গ্রহণ করেন। ইহাতে তাহাদের নামায এক এক রাকআত হইবে আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হইবে দুই রাকআত।—তিরমিযী ও নাসায়ী
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ بَيْنَ ضَجْنَانَ وَعُسْفَانَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: لِهَؤُلَاءِ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ وَهِيَ الْعَصْرُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ فَتَمِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ شَطْرَيْنِ فَيُصَلِّيَ بِهِمْ وَتَقُومَ طَائِفَةٌ أُخْرَى وَرَاءَهُمْ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ فَتَكُونَ لَهُمْ رَكْعَةٌ وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘তাঁহাদের নামায এক এক রাকআত'—অর্থাৎ, হুযূরের সহিত জামাআতে এক রাকআত অথবা সর্বসাকুল্যে এক রাকআত। দ্বিতীয় অবস্থায় ইহা 'সালাতুল খওফ'-এরই বৈশিষ্ট্য, অন্যথায় ফরয নামায কখনও এক রাকআত হয় না। এই অবস্থায় ইহা 'সালাতুল খওফ'-এর ষষ্ঠ পদ্ধতি হইবে। মোটকথা, 'সালাতুল খওফ'-এর এমন কতক বৈশিষ্ট্য রহিয়াছে যাহা অন্য নামাযে নাই।
ইহাতে ফরয নামায যথাসময় সম্পন্ন করার এবং উহা জামাআতের সহিত পড়ার গুরুত্ব কতখানি তাহা উপলব্ধি করা যায়। এই অবস্থায়ও না নামায তরক করার অনুমতি রহিয়াছে, না জামাআত তরক করার।
ইহাতে ফরয নামায যথাসময় সম্পন্ন করার এবং উহা জামাআতের সহিত পড়ার গুরুত্ব কতখানি তাহা উপলব্ধি করা যায়। এই অবস্থায়ও না নামায তরক করার অনুমতি রহিয়াছে, না জামাআত তরক করার।
